বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৬)

সংখ্যা: ১২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূল: হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ভাষান্তর: মুহম্মদ শামসুল আলম

হযরত শায়খ নুরুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি পূর্ব প্রকাশিতের পর তখন তিনি বললেন, গত পরশু রাত মুল্কে ‘ইয়ার পর’ এর শায়খের সাথে  স্বপ্নে আমার মুলাকাত হয়েছিল, তখন তিনি আমাকে বললেন, এই মাদী ঘোড়াটি খাজা হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিকে তোহ্ফা দিয়ে দিবেন। তখন খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, এটা তো আপনার শায়খের ফরমান। কিন্তু আমার শায়খ যিনি, তিনি যদি এই তোহ্ফা কবুল করার নির্দেশ প্রদান করেন তবেই তা কবুল করতে পারি। অতঃপর দ্বিতীয় মজলিসে তিনি দশটি মাদী ঘোড়া নিয়ে আসলেন তখন আমি এটাকে তোহফায়ে  খোদাওয়ান্দী  মনে করে এটাকে কবুল করে নিলাম। তারপর আমার ঘরে বহু ঘোড়া জমা হয়ে গেল। অন্যান্য লোকদের থেকে এ ধরণেরও রেওয়ায়েত রয়েছে, যে সময় মুল্কে ‘ইয়ার পর’ এর শায়খ দিল্লীতে তাশরীফ আনেন তখন প্রথম প্রথম তিনি ঐ খানটায় ক্বিয়াম করতেন যেখানে আজ তাঁর মাযার মুবারক অবস্থিত। ঐ সময় সেখানকার (প্রসিদ্ধ বুযুর্গ) শায়খ আবু বকর তুসী কলন্দর রহমতুল্লাহি আলাইহি বাস করতেন। তাঁর সাথে মুল্কে ‘ইয়ার পর আঁ’ এর শায়খের সাথে (কোন এক ব্যাপারে) মতানৈক্য দেখা দিল। এক পর্যায়ে আবু বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আপনি এখানে কিভাবে আসলেন? জবাবে শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমার পীর ও মুর্শিদ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। হযরত আবূ বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর জবাবে দলীল তলব করলেন। তখন শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি দিল্লী থেকে অদূরবর্তী যেখানে তাঁর পীর, মুর্শীদ অবস্থান করতেন সেখানে তিনি সামান্য সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে স্বীয় শায়খ থেকে ইজাযতনামা নিয়ে আসলেন যা কিনা এই অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব ছিল। তিনি ইজাযতনামা হযরত আবূ বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দেখালেন। আর ঐ সময় থেকেই লোকজন তাঁকে মুল্কে ‘ইয়ার পর আঁ’ বলতে লাগলো। আল্লাহ পাকই অধিক জ্ঞাত। তাঁর রওযা মুবারক দিল্লীতে যমুনা নদীর কিনারায় হযরত আবূ বকর তুসী কলন্দর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খানকা শরীফ-এর সামনে অবস্থিত যা কিনা অসামান্য সুন্দর, খুব ছূরত, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কোন কোন লোকদের থেকে এ ধরণেরও বর্ণনা রয়েছে যে, ঐ জায়গায় মূল্কে ‘ইয়ার পর’ এর শায়খ অবস্থান করেন।  হযরত শায়খ জিয়াউদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬৫৯, ওফাতঃ ৭২১ হযরত শায়খ জিয়াউদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি বড় বড় মাশায়িখে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মধ্যে গন্য। তিনি হযরত শায়খ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন। সুলতান কুতুবুদ্দীন আলাউদ্দীন খলজী রহতুল্লাহি আলাইহি তাঁর মুরীদ ও খলীফা ছিলেন। বর্ণিত রয়েছে, তাঁর ইন্তিকালের তিনদিন পর সুলতানুল মাশায়িখ হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর যিয়ারতের জন্য গিয়েছিলেন। ঐ সময় সুলতান কুতুবুদ্দীনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সালামের জবাবও দিলেন না এবং তাঁকে কোন প্রকার ইজ্জত-সম্মানও জানালেন না। হযরত সুলতানুল মাশায়িখ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে এ ধরণের ঘটনা বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি শায়খ জিয়াউদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে স্বয়ং শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার এক আল্লাহওয়ালা বন্ধু সামার প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং সামার মাহফিলে তাঁর হাল উঠে যেত। ইন্তিকালের পর আমি তাঁকে খাবে দেখলাম, তিনি জান্নাতের এক উচ্চ মাক্বামে অবস্থান করছেন। কিন্তু  জান্নাতের ঐ উচ্চতম মাক্বামে অবস্থান করা সত্ত্বেও আমি তাঁকে চিন্তা পেরেশানী অবস্থারত অবস্থায় দেখতে পেলাম। তিনি জান্নাতে দাখিল হওয়ার কারণে আমি তাঁকে মুবারকবাদ দিলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার চিন্তান্বিত হওয়ার কারণটা কি? জবাবে (জান্নাতী বন্ধু) বললেন, জান্নাতের সকল নিয়ামতই আমার মিলেছে কিন্তু সামার লজ্জত ও হাল থেকে আমি মাহরূম রয়েছি।  তাঁর মাযার মুবারক খাজা কুতুবুদ্দীন ঢালী সড়ক সুলতান মুহম্মদ আদিল বাদশাহ্র বিজীত এলাকায় প্রসাদের সামনে। (আমীন)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৫)

  বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৬)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

  বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৮৮