বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৫)

সংখ্যা: ১২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

(ধারাবাহিক)

হযরত খাজা ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি

জন্মঃ ৬২২ হিজরী, ওফাতঃ ৬৬১ হিজরী

হযরত শায়খ খাজা ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ছোট ছেলে। দানশীলতা, বদান্যতায় তিনি মশহুর হয়ে আছেন। রূহানী মুয়ামালাতের দিক দিয়েও অতি উচ্চ স্তরের ছিলেন। তিনি (মজ্জুব হওয়ার কারণে) আহলে মালামতের রাস্তার  উপর চলতেন। অর্থাৎ উনার বাহ্যিক আচার-আচরণে মনে হতো আল্লাহ্ পাক-এর সাথে তেমন তায়াল্লুক নেই। প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, অধিকাংশ সময় তিনি মজ্জুবি হালতে থাকতেন, যার কারণে লোকজন উনাকে মালামত করতো। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের সাথে তাঁর বিশুদ্ধ ও গাঢ় সম্পর্ক ছিল। ‘সিয়ারুল আউলিয়া’ কিতাবে বর্র্ণিত আছে যে, তিনি একবার আমরূহা এর রাস্তায় চলছিলেন, হঠাৎ অদৃশ্য থেকে কোন রেজালুল গায়িব এসে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যান।

হযরত মাওলানা শায়খ দাউদ পালহী রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৫৯১ হিজরী, ওফাতঃ ৬৭৯ হিজরী

হযরত মাওলানা শায়খ দাউদ পালহী রহমতুল্লাহি আলাইহি রোদলভী শরীফ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদদের মধ্যে গণ্য। হযরত মাহবুবে সুবহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি অনেক সময় এবং অধিকাংশ বার বলেছিলেন যে, হযরত দাউদ পালহী রহমতুল্লাহি আলাইহি বড় বুযুর্গ ছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমি এবং হযরত মাওলানা দাউদ পালহী রহমতুল্লাহি আলাইহি দু’জনের একদা স্বীয় শায়খ হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খিদমতে ‘আকটা’ যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। দু’জনেই নিজ নিজ হুজরা শরীফ থেকে রওয়ানা হলাম। হযরত দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি দ্রুত পা ফেলে ফেলে আমার থেকে আগেই রওয়ানা হয়ে গেলেন এবং আমার জন্য অপেক্ষা করার তাগিদে তিনি অদূরে নফল নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি অনেক দেরীতে তাঁর নিকট পৌঁছলাম। যেহেতু তাঁর আদত (অভ্যাস) সম্পর্কে আমি ওয়াকিফহাল ছিলাম সেজন্য আমি তাঁকে নামাযের হালতে রেখেই তাড়াতাড়ি তাঁর থেকে এগিয়ে গেলাম। আমি দু’ চার মাইল চলতেই তিনি পিছন থেকে এসে আমার থেকে আগে আরো দু’ চার মাইল এগিয়ে গেলেন এবং পূর্বের আদত মতই তিনি নামায পড়া শুরু করলেন এবং এই রকম গহীন জঙ্গলের মধ্যেও তিনি রাস্তা ভুলতেন না। বর্র্ণিত রয়েছে, তিনি ফজর নামাযের পর স্বীয় হুজরা শরীফ থেকে বের হয়ে জঙ্গলের মধ্যে চলে যেতেন এবং সেখানেই ইলাহীর ইবাদতে মশগুল হতেন। বনের হরিণ এসে তাঁর আশেপাশে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত যওক্ব ও মুহব্বতের দৃষ্টিতে  তাঁর  দীদার হাছিল করতো।

হযরত মাওলানা রাযীউদ্দীন মানছূর রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৫৯৯, ওফাতঃ ৬৮০

তিনি অত্যন্ত বড় মাপের ওলী এবং বুযুর্গ ছিলেন। হযরত শায়খ নাছিরুদ্দীন মাহমুদ চেরাগে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আদ্বো’ (কোন এক জায়গার নাম) এর মধ্যে একজন বুযুর্গ থাকতেন। একদা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তাঁর আশপাশের  লোকজন ধরে নিল, তিনি বোধ হয় আর বাঁচবেন না। এই জন্য তারা তাঁর কাফন দাফনের ব্যবস্থা করে তাঁর ওফাত প্রহর গুনতে লাগলেন। ইতিমধ্যে হযরত মাওলানা দাউদ পালহী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মাওলানা রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ওখানে পৌঁছলেন এবং বললেন, আমরা আপনার নিকট আগমন করেছি এবং আপনার সাথে কথাবার্তা বলা ব্যতিরেকে ফিরে যাবনা। অতঃপর হযরত মাওলানা রাযীউদ্দীন মানছুর রহমতুল্লাহি আলাইহিকে সম্বোধন করে বললেন, অসুস্থ বুযুর্গ রোগীর এক পাশটা আপনি দেখুন এবং অন্য দিকটা আমি দেখি। হযরত মাওলানা দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বুযুর্গের মাথা মুবারকের কাছে বসলেন এবং মাওলানা রাযীউদ্দীন রহমতুল্লাইহি আলাইহি পা মুবারকের কাছে বসলেন। অতঃপর দু’জনই কিছু পড়া শুরু করলেন এবং দাঁড়িয়ে অসুস্থ বুযুর্গ এর হাত ধরে বললেন, উঠুন এবং বসুন। তখন উক্ত বুযুর্গ সাথে সাথে ঐ সময়েই শোয়া থেকে উঠে বসলেন এবং সুস্থ হয়ে গেলেন।  (অসমাপ্ত)

  বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৬)

 বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৬)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

  বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৮৮