বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-১১৯

সংখ্যা: ১৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলঃ হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছে দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহম্মদ ফজলুল হক

 

হযরত মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন  ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি

(৬৫৯-৭২৯ হিজরী)

হযরত মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন ইউছুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি সুলত্বানুল মাশায়িখ হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খলীফা ছিলেন। তিনি শায়খের সীমাহীন মুহব্বতের ও দয়ার পাত্র ছিলেন। তিনি সুলত্বানুল মাশায়িখ হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সিনিয়র মুরীদ ও খলীফাগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন তাঁর অন্য কোন মুরীদগণকে খিলাফত দিতেন তখনও শায়খ ওয়াযীহুদ্দীন ইউছুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খিলাফতনামাকে নবায়ন করতেন।

তাঁর অনেক কারামত ও বুযুর্গী রয়েছে। এমন ঘটনাও প্রসিদ্ধ আছে যে, যখন তিনি স্বীয় শায়খের দরবার শরীফে পায়ে হেঁটে যেতেন তখন তিনি মনে মনে ফিকির করতেন যে, শায়খের (খিদমতে) দরবার শরীফে পায়ে হেঁটে যাওয়া ঠিক হবে না। তৎক্ষণাত মহান আল্লাহ পাক তাঁকে উড়ে যাওয়ার শক্তি দান করতেন এবং তখন তিনি উড়ে গিয়েই শায়খের দরবার শরীফে পৌঁছতেন। অনেক সময় এমনো হয়েছে যে, তিনি শায়খের নিকটে অবস্থান করা অবস্থায় শায়খের নির্দেশে মুহূর্তের মধ্যে চান্দেরী নামক স্থানে হাজির হতেন। চান্দেরীর অধিকাংশ লোকই তাঁর মুরীদ ও তাঁর প্রতি আস্থাশীল ছিল।

তাঁর মাজার শরীফ চান্দেরীতেই অবস্থিত। মহান আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। (আমীন)

হযরত মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন পায়েলী রহমতুল্লাহি আলাইহি

(৬৩৮হিঃ- ৭২৯হিঃ)

হযরত শায়খ ওয়াযীহুদ্দীন পায়েলী রহমতুল্লাহি আলাইহি মস্তবড় আলিম এবং তৎকালীন সময়ের নির্ভরযোগ্য শায়খ ছিলেন। যুহুদ ও তাক্বওয়ায় তিনি ছিলেন শীর্ষস্থানীয়। জীবনের শেষাংশে তিনি সুলত্বানুল মাশায়িখ হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বাইয়াত হন এবং তাঁর থেকেই তিনি পূর্ণতা হাছিলের মনস্থ করেন।

বর্ণিত আছে যে, হযরত মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন পায়েলী রহমতল্লাহি আলাইহি নিজেই বর্ণনা করেন, একবার আমি ছফর অবস্থায় পানিপথে যাচ্ছিলাম, তখন জনৈক ছূফী লোকের সাথে আমার সাক্ষাত হলো। তখন আমার অন্তরে সেই ছূফী লোকের প্রতি কিছুটা অবজ্ঞাভাব চলে আসল। সে অবস্থায় কাশফ-এর মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম যে, হে মাওলানা অচিরেই তুমি কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হবে। বাস্তবেও অবস্থা তাই হলো। কিছু ইলমি বিষয়ে আমি সমস্যায় পড়লাম (আমি বুঝতে পারিনি)। তখন আমি ঐ ছূফী ব্যক্তিকে আমার সমস্যার বিষয় প্রশ্ন করলাম, তিনি এক এক করে অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় দলীলভিত্তিক উত্তর প্রদান করলেন। অনেক কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কার মুরীদ?

আমি উত্তরে বললাম, সুলত্বানুল মাশায়িখ হযরত নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর। তখন সেই ছূফী ব্যক্তি বললেন, হযরত শায়খ নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি আমারও কুতুব।

বর্ণিত আছে যে, একদা শায়খ নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন পায়েলী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বললেন, আমার এবং তোমার মাঝে মহান আল্লাহ পাক-এর হাযির-নাযির দীর্ঘস্থায়ী হোক।

হযরত মাওলানা ওয়াযীহুদ্দীন পায়েলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফ দিল্লীর হাউজে শামসী-এর ঐ অংশে যেখানে তাঁর শাগরিদ ছদ্রে জাহান কাজী কামালুদ্দীন ও কতলুখ খান-এর মাজার শরীফ অবস্থিত।

মহান আল্লাহ পাক তাঁর  প্রতি স্বীয় রহমত বর্ষণ করুন। (আমীন)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৯৯)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-১০১

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-১০

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-১০৩

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-১০৪