বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

সংখ্যা: ১৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ মুহম্মদ রুহুল হাসান

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রীষ্টীয় বিৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বিৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ধ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]     (ধারাবাহিক) আব্দুর রিদার বাসায় এক নৈশ ভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন কোন এলাকার এক শিয়া পণ্ডিত। নাম ছিল জাওয়াদ। সে সময় নজদের মুহম্মদ এবং শিয়া পণ্ডিতের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলো।  শেখ জাওয়াদঃ আপনি যখন স্বীকার করেন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একজন মুজতাহিদ ছিলেন তবে তাঁকে অনুসরণ করতে আপনার আপত্তি কিসের? নজদের মুহম্মদঃ হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ইজতিহাদকেই কেন দলীল হিসেবে গণ্য করতে হবে। শুধু কুরআন এবং সুন্নাহ্কেই নির্ভরযোগ্য দলীল বলে মানতে হবে। (মূল বিষয় হচ্ছে হযরত ছাহাবা আজমাঈনগণের ক্বওল হচ্ছে দলীল। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি এবং আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ অনুসরণীয়।)  শেখ জাওয়াদঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার দরজা।” এতে কি এটাই বোঝায় না তিনি অন্যান্য ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের চেয়ে আলাদা? নজদের মুহম্মদঃ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কথাই যদি দলীল হবার যোগ্যতা রাখবে তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে যেতেন, আমি তোমাদের জন্য কুরআন-সুন্নাহ্ এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে রেখে গেলাম। শেখ জাওয়াদঃ  হ্যাঁ, আমরা তাই ধরে নিতে পারি, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটিই বলেছেন। কেননা তিনি বলেছেন, আমি রেখে গেলাম আল্লাহ পাক-এর কিতাব এবং আহলে বাইত। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হচ্ছে আহলে বাইতের একজন সদস্য। নজদের মুহম্মদ অস্বীকার করলো যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটা বলেছেন। যাই হোক, শেখ জাওয়াদ যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে তার ভুলগুলো দূর করার চেষ্টা করলো। নজদের মুহম্মদ বললো, আপনি যদি বলেন যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি রেখে গেলাম আল্লাহ পাক-এর কিতাব ও আহলে বাইত” তবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত মুবারক কোথায় গেল? শেখ জাওয়াদঃ সুন্নত হচ্ছে কুরআন শরীফের ব্যাখ্যা। “আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ পাক-এর কিতাব আর আহলে বাইত রেখে গেলাম” বাক্যে আহলে বাইতের মধ্যে সুন্নত অন্তর্ভুক্ত। নজদের মুহম্মদঃ আহলে বাইত বলতে যদি কুরআন শরীফের ব্যাখ্যা বোঝাবে তাহলে হাদীছ শরীফ দিয়ে আর কুরআন শরীফের ব্যাখ্যার কি প্রয়োজন? শেখ জাওয়াদঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিদায় নিলেন তখন উম্মতগণ ভাবলেন কুরআন শরীফের একটা ব্যাখ্যা থাকা উচিত যা বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন মিটাবে। এ কারণেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদেশ করেছেন, উম্মতরা মূল কুরআন শরীফের অনুসরণ করবে আর আহলে বাইত কুরআন শরীফের এমন ব্যাখ্যা করবেন যা কিনা বিভিন্ন সময়ের প্রয়োজন মিটাবে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন