বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৪

সংখ্যা: ১৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

 মূলঃ এম সিদ্দিক গূমুজ,

 ভাষান্তরঃ মুহম্মদ রুহুল হাসান

 [শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রীস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রীস্টীয় বিৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ধ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]    (ধারাবাহিক) শিয়ারা এই ভুল বক্তব্যকে কাজে লাগিয়ে তাদের সম্প্রদায়কে সংযত করার চেষ্টা করেছে। শিয়ারা ছিল সংখ্যায় সুন্নীদের দশভাগের একভাগেরও কম। কিন্তু বর্তমানে তারা বেড়ে সংখ্যায় প্রায় সুন্নীদের সমান হয়ে গিয়েছে। এরকম ফলাফল খুবই স্বাভাবিক। ইজতিহাদ হচ্ছে অস্ত্রের মত। এটা ইসলামের ফিক্বাহকে সমৃদ্ধ করবে। এবং কুরআন-সুন্নাহ্কে গভীর উপলদ্ধির সাথে বুঝতে সহায়তা করবে। ইজতিহাদ করার নিষেধাজ্ঞা হলো অকার্যকর অস্ত্রের মত। যা মাযহাবকে একটা গ-ির মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলে। এবং পরবর্তীতে উপলব্ধির দরজাকে বন্ধ করে দেয় এবং সময়ের চাহিদাকে উপেক্ষা করে।  যদি তোমার হাতিয়ার হয় অকেজো, আর শত্রু থাকে সক্রিয় তবে আগে অথবা পরে তোমার শত্রুর কাছে ধরাশয়ী হতে হবে। আমার মনে হয়, সুন্নীদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারা ভবিষ্যতে পুনরায় ইজতিহাদের দরজা খুলে দেবে। আর যদি না করতে পারে, তারা পুনরায় সংখ্যালঘিষ্ট হয়ে যাবে এবং কয়েক শতাব্দীতে শিয়ারা সংখ্যায় যাবে বেড়ে। [বস্তুতঃ চার মাযহাবের ইমামগণ একই দলভুক্ত এবং একই আক্বীদার অনুসারী। তাঁদের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কোন পার্থক্য নেই। যতটুকু পার্থক্য আছে তা আমলের ক্ষেত্রে। এতে মুসলমানদের মধ্যে সুবিধাই হয়েছে এবং ইজতিহাদের দরজাও বন্ধ হয়নি বরং নতুন নতুন বিষয়ে মাযহাবের উছূল বা মূলনীতির আওতায় পরবর্তী মুজতাহিদগণের জন্য মুনতাসিব ইজতিহাদ জায়িয রয়েছে শুধুমাত্র মতলক্ব বা স্বয়ং সম্পূর্ণ ইজতিহাদ জায়িয নেই, কারণ মুজতাহিদ মতলক্ব আর হবেনা। অপরদিকে, শিয়ারা বারোটি গোত্রে বিভক্ত এবং এতে তারা নির্জীব হয়ে পড়েছে। ‘মিলাল ওয়াল নিহল’ গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।] এই ঔদ্ধত যুবক অর্থাৎ নজদের মুহম্মদ কুরআন-সুন্নাহ্ বুঝার ক্ষেত্রে সব সময় নিজের অনুসরণ করতো। সমকালীন সকল আলিমদের মতামতকে সে অগ্রাহ্য করতো। শুধু তাই নয়, চার মাযহাবের ইমামগণ এমনকি বিখ্যাত ছাহাবী হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে মানতে চাইতো না। যখন কোন কুরআন শরীফের আয়াত শরীফের অর্থ, ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ এবং ইমামগণের মতের সাথে মেলাতে ব্যর্থ হতো তখনই বলতো, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের জন্য কুরআন এবং সুন্নাহ্ রেখে গেলাম। তিনি তো বলেননি যে, আমি তোমাদের জন্য কুরআন, সুন্নাহ্, ছাহাবা এবং মাযহাবের ইমামদের রেখে গেলাম।” (এই উক্তিটি হাদীছ শরীফের খেলাফ। যে হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের অনুসরণ করতে বলেছেন।) কাজেই আলিম, ছাহাবা কিংবা মাযহাবের ইমামদের মতামতের সঙ্গে মিল থাকুক বা না থাকুক কুরআন-সুন্নাহ্র অনুসারী হতে হবে। (বর্তমানে সব ইসলামী দেশগুলোতে মূর্খ এবং মুনাফিক ব্যক্তিরা ধার্মিক ব্যক্তি সেজে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আলিমদের আক্রমণ করে যাচ্ছে। তারা ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে এবং বিনিময়ে সৌদি আরব থেকে প্রচুর অর্থ পাচ্ছে। তারা ওহাব নজদীর এ সব বক্তব্যকে ব্যবহার করে। মূলতঃ কোন ছাহাবী এবং ইমামের উক্তি কুরআন-সুন্নাহ্র খিলাফ নয়। তাঁরা নতুন কিছু যোগ করেননি বরং সঠিক বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন। ওহাবীরা তাদের বিৃটিশ প্রভূদের মত মিথ্যার জাল বুনছে এবং মুসলমানদের ধোঁকা দিচ্ছে।)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন