বোবা শয়তান হলো- শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব॥ ঈদে মিলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন না করে সীরাতুন্ নবী পালনের এটাই আসল রহস্য

সংখ্যা: ১৪৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

  এক বুযূর্গ ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ‘হুযূর! টয়লেটে বসে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া কেমন?’ জবাবে, বুযূর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘যেমন জায়গা তেমনি খানা।’ এর সমর্থক আরবীতে একটি প্রবাদ রয়েছে ‘যেমন রূহ তেমনি ফেরেশ্তা।’ যেন এরূপই ঘটনা ঘটলো গত ১৮ই জুন-২০০৫ ঢাকার গ্রাণ্ড আজাদ হোটেলের মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে তথাকথিত জাতীয় সীরাত কমিটি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসাবে পুরুস্কার দেয়া হয় হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আহমদ শফিকে। এবার শরীয়তের বিচারে এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা যাক। ১. ‘জাতীয় সীরাত কমিটি বাংলাদেশ’ বলে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তার আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কি? ২. ‘সূরত’ বাদ দিয়ে তথা‘ ঈদে মিলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বাদ দিয়ে শুধু সীরাত কমিটি বলার পিছনে চরম গলদ প্রমাণিত হয়না কি? ৩. এবং এই কারণে কথিত উদ্যোক্তাদের কারো ছূরতেই টুপি-কোর্তা থেকে আরম্ভ করে কোন সুন্নতী ছূরতে দেখা যায়নি। অথচ তারা দাবী করছে জাতীয় সীরাত কমিটি। এটা মুনাফিকীর পরিচয় বহন করেনা কি? ৪. এমনকি পুরুস্কার দাতা একজন চিহ্নিত বিতর্কিত ব্যক্তি। যার মুখে দাড়িও নেই। মাথায় টুপিও নেই। সুতরাং শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব কোন ধরনের ব্যক্তিত্ব থেকে পুরুষ্কার গ্রহণ করলেন? আর এরূপ অনৈসলামী ব্যক্তি থেকে যারা পুরুষ্কার গ্রহণ করেন তারা কতটুকু শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব তা বলার অপেক্ষা রাখে কি? ৫. পুরুষ্কার হিসাবে গ্রহণ করেছেন ক্রেস্ট। যা মূলত: ইসলামী কালচারের বিষয় নয় বরং বিজাতীয় কালচার থেকেই এর প্রচলন। ৬. তথাকথিত জাতীয় সীরাত কমিটি শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নির্বাচন করেছে আহমদ শফিকে। কিন্তু সত্যিই কি তিনি শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব নাকি মুনাফিকীই তার আসল কৃতিত্ব? প্রসঙ্গত: হাটহাজারী মাদ্রাসার মুখপত্র মাসিক মুঈনুল ইসলামের সেপ্টেম্বর-২০০৩ ঈসায়ী সংখ্যায় প্রকাশিত জামিয়া সমাচার শীর্ষক খবর পড়লেই তা স্পষ্ট হয়। এতে বলা হয়, “১লা আগস্ট/২০০৩ ঈসায়ী শুক্রবার হাটহাজারী’র পরিচালক আহমদ শফি ঢাকা সফরের এক পর্যায়ে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুর্কারমে …… জুমা শেষে আয়োজিত ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মুফতী ইজহারের দ্বিতীয় পুত্র মাওলানা মুহম্মদ মূসার সাথে মুহম্মদুল্লাহ্ হাফেজ্জী-এর নাতনী ও হাফেজ আতাউল্লাহ্র একমাত্র কন্যার বিবাহ্ অনুষ্ঠানের মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে আক্দ পড়িয়ে খুত্বা প্রদান ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, বিবাহের খুত্বা প্রদানকালে ফটো সাংবাদিকরা আহমদ শফির ছবি তোলার চেষ্টা করলে আহমদ শফি অত্যন্ত জোরালোভাবে ছবি তুলতে নিষেধ করে সাংবাদিকদেরকে মসজিদের ভিতরে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের জন্য তিরস্কার করেন এবং কুরআন-হাদীছের আলোকে ছবির নিষিদ্ধতা সম্পর্কে এক নাতিদীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন। তার এই সাহসী ও জোরালো ভাষণে উপস্থিত মুসল্লীগণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন।” কিন্তু গত ১৮ই জুন-২০০৫ ঈসায়ী তথাকথিত সীরত কমিটি থেকে তথাকথিত শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্বের পুরুষ্কার আনতে গিয়ে সম্পূর্ণ স্তব্ধ ছিলো তার সে সাহসী ও জোরালো ভাষণ। বরং এই দিন বিশেষ বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি তথাকথিত খতীব, মুফতে আমিনী, মাহিউদ্দীন, চর্মনাই পীর, তথাকথিত শাহতলী পীর এবং অন্যান্য উলামায়ে ‘ছূ’সহ ফটো সংবাদিকের ক্যামেরার সামনা সামনি পোজ দেন। যা তাদেরই মুখপত্র দৈনিক ইনকিলাবের ১৯ জুন, ২০০৫ ঈসায়ী সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক বড় করে ছাপা হয়েছে। অর্থাৎ ঐ দিন শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্বের পুরষ্কার পাবার ও তা প্রচারিত হবার, পত্রিকায় ছাপা হবার বাসনা তাকে পূর্ববৎ ঈমানী জজ্বা থেকে বেমালুম বিরত রেখেছিলো। তিনি এ বিষয়টিতে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ ছিলেন। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “কারো সামনে কোন হারাম কাজ হতে থাকার পরও যদি সে নিশ্চুপ থাকে তাহলে সে হল বোবা শয়তান।” হাদীছ শরীফের ঘোষিত সে বোবা শয়তানই সম্মান পেয়েছে শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে। এই হচ্ছে আমাদের তথাকথিত জাতীয় সীরাত কমিটির আবিস্কার।  মাহিউদ্দীন সহ তথাকথিত খতীব সম্পৃক্ত এই সীরাত কমিটির আরেকটি গোমরাহী ফতওয়া হলো, ‘ঈদে মিলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পালন করা যাবে না। করতে হবে, ‘সীরাতুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ মূলত: বোবা শয়তানের দ্বারা আক্রান্ত হবার ফলেই তারা এরূপ উল্টো-পাল্টা বকে যাচ্ছে। ছবি তোলা জায়িয করছে, লা’নত দিবস জায়িয করছে। বেপর্দা, মৌলবাদ, হরতাল, লংমার্চ, ব্লাসফেমী নির্বাচন, গণতন্ত্র, ভোট ইত্যাদি সব হারামকে হালাল করছে।  আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত প্রকাশের মাধ্যম ঈদে মিলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হারাম করছে।  বস্তুত: বোবা শয়তানের ফাঁদে পড়ে ওরা একের পর এক হারাম আমলের কারণে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুহব্বত হারিয়ে ফেলেছে। মুহব্বত ছাড়া আমলের নামে তাই তারা হারাম আর ফাসিকীতেই জড়িয়ে পড়েছে। এবং প্রকাশ্য হারাম কাজে জড়িত ব্যক্তিকেই শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব নির্বাচন করেছে।  অথচ হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “ফাসিকের প্রশংসা করলে আল্লাহ পাক-এর আরশ কাপে।”

-মুহম্মদ আশরাফুল আলম, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন