ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪

সংখ্যা: ১৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

—————ভাষান্তরঃ মুহম্মদ রুহুল হাসান—————

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of a British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]

  (ধারাবাহিক)

   ছয়. রাস্তাঘাট নিরাপদ নয়। যানবাহন ব্যবস্থা ও চলাচল কষ্টকর।

   (রাস্তাঘাট এমন নিরাপদ ছিলো যে, বসনিয়া থেকে মক্কা শরীফ পর্যন্ত যে কেউ অনায়াসে চলাচল করতে পারতো। পথে কোন গ্রামে বিনা পয়সায় থাকা খাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারতো। গ্রামবাসীরা অধিকাংশ সময় উপহার প্রদান করতো।)

  সাত. কলেরা, প্লেগ প্রভৃতি মহামারীর ব্যাপারে কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়না। এসব রোগে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক মারা যায়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অস্বীকৃত।

 (হাসপাতাল এবং আশ্রয় কেন্দ্র ছিলো। নেপোলিয়নও অট্যোমানদের চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলো। সব মুসলমান এই হাদীছ শরীফের অনুগত “যার ঈমান আছে, সেই পরিচ্ছন্ন।”)

  আট. শহরগুলো প্রায় ধ্বংসের পথে। পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই।

  (এই মিথ্যাচারের কোন জবাব নেই। দিল্লীর ফিরোজ শাহ ১৩৮৮ খ্রীস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তার নির্দেশে নির্মিত হয় ২৪০ কি.মি. দীর্ঘ এক খাল। এই সেঁচের ফলে সজিব থাকতো ফলের বাগান। ইংরেজরা এলে তা বিরাণভূমিতে পরিণত হয়।)

   নয়. বিদ্রোহী দমনে প্রশাসন অক্ষম এবং সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। এবং যে কুরআন শরীফ নিয়ে তারা গর্ব করে বাস্তবে তার ওপর তাদের আমল নেই।

   (তারা নিশ্চয়ই সেই সব জেনারেল যারা মৎস ধরার বিরাট জালে বিষ্ঠা নিক্ষেপের জন্য পুরুস্কৃত হয়েছিলো। তাদের সাথে অট্যোমানদের গুলিয়ে ফেলেছে।)

  দশ. অর্থনৈতিক অবস্থা করুণ, দারিদ্রও অভাব সর্বত্র।

   এগারো. কোন সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নেই। নেই পরিমাণগত অস্ত্র-শস্ত্র। যাও আছে তা পুরনো ও সেকেলে।

   [তারা উরহান গাজীর প্রতিষ্ঠিত সুশৃঙ্খল বাহিনী সম্বন্ধে বেখবর। উরহান গাজী হিজরী ৭২৬ সাল অনুযায়ী ১৩২৬ সালে অট্যোমান সিংহাসনে আসীন হন। তারা ইনাদিরীম (বজ্র) বায়জিদ খানের দুর্ধর্ষ বাহিনীর খবরও রাখেনা। যারা ৭৯৯ হিজরী মোতাবেক ১৩৯৯ সালে নিদাবুনুতে ক্রুসেডারদের বিরাট সৈন্যদলকে পরাজিত করেছিলো।]- গ্রন্থকার।

  বারো. নারীর অধিকার লংঘন প্রায় সর্বত্র।

   (এক সময় ব্রিটিশরাই নারীর অধিকার শিল্পকলা ও অস্ত্রবিদ্যা সম্পর্কে উদাসীন ছিলো। অট্যোমানরা এ সম্পর্কিত ধারনা প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।)

   তেরো. পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতাবোধের অভাব।

  (রাস্তাঘাট ছিল ভীষণ পরিস্কার। বস্তুত: রাস্তা থেকে থুথু পরিস্কারের জন্যও স্বাস্থ্যসেবা খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হতো। )

   মুসলমানদের দূর্বল জায়গাগুলোর বর্ণনার পর বইটিতে উপদেশ দেয়া হয়েছে কি করে মুসলমানদের বিশ্বাস, ইসলাম এবং জাগতিক এবং পারলৌকিক ক্ষেত্রে সে শ্রেষ্ঠত্ব তা কি করতে বিস্মিৃত ঘটানো যায়। অতঃপর সেখানে ইসলাম সম্পর্কে নীচের তথ্যগুলো পরিবেশন করেছে-

   ১. ইসলাম একতা এবং সমঝোতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং বিভেধ সৃষ্টি করতে নিষেধ করেছে।

   কুরআনুল কারীমে উল্লেখ করা হয়েছে “সমবেতভাবে আল্লাহর রুজ্জুকে শক্ত করে ধর।”

   ২। ইসলাম আদেশ করে শিক্ষিত এবং সচেতন হতে। কুরআনুল কারীমে বর্ণিত আছে, “পৃথিবীতে ভ্রমণ কর।”

   ৩। ইসলাম জ্ঞান আহরণের নির্দেশ দেয়। হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, “প্রত্যেক মুসলমান নর এবং নারীর জন্য ইলম হাছিল করা ফরজ।”

    ৪। ইসলাম দুনিয়াতে কাজ করতে তাগিদ দেয়। কুরআন মজিদে বর্ণনা করা আছে “হে আল্লাহ পাক আমাদের দান করুন পৃথিবীতে যা কিছু আছে সুন্দর এবং পরকালেও।”

   ৫। ইসলাম পরামর্শ করতে বলে। কুরআন মজিদে উল্লেখ আছে “পরস্পরের পরামর্শক্রমে তাদের কার্যক্রম সম্পাদিত হয়।”

    ৬। ইসলাম রাস্তাঘাট নির্মানের আদেশ দেয়। কুরআন মজিদে উল্লেখ আছে, “দুনিয়াতে চলাচল কর।” (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন