ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-২৮

সংখ্যা: ১৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ মুহম্মদ রুহুল হাসান

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রীষ্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of a British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]

(ধারাবাহিক)

কারবালা হচ্ছে শিয়াদের শহর এবং রয়েছে অনেক শিয়া মাদ্রাসা। নাজাফ এবং কারবালা শহর একে অপরকে সহযোগিতা করে। এই দু’টো শহরে যাবার জন্যে আমি বসরা ত্যাগ করে বাগদাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। পরে সেখান থেকে চলে যাই ‘হুল্লা’ নামের একটি শহরে যা ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। টাইগ্রীস (দজলা) এবং ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদী দু’টো তুরস্ক থেকে আরম্ভ হয়ে ইরাকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে গিয়ে পড়েছে। ইরাকের কৃষি এবং সাফল্যে এই দুই নদীর অবদান রয়েছে।

আমি লন্ডনে ফিরে গিয়ে উপনিবেশ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব করলাম, এই নদী দু’টোর পানি প্রবাহের গতি পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমরা ইরাককে আমাদের প্রস্তাবে রাজী করাতে পারি এবং এ ব্যাপারে একটা প্রকল্প হাতে নেয়া যেতে পারে। যখন ইরাকের পানি বন্ধ করা হবে তখন ইরাক বাধ্য হবে আমাদের দাবী মেনে নিতে।

একজন আজারবাইজানী ব্যবসায়ী হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে আমি হুল্লা থেকে নাজফে ভ্রমন করি। শিয়া ধর্মের লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে আমি তাদের বিভ্রান্ত করতে শুরু করলাম। আমি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে শুরু করলাম। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, সুন্নীদের মত শিয়ারা বিজ্ঞান মনস্ক নয় এবং সুন্নীদের মত সুন্দর নৈতিক গুণাবলীও তাদের নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- ১. তারা ছিলো তুর্কী শাসক শ্রেণীর ঘোর বিরোধী। কেননা, তারা ছিল শিয়া আর তুর্কীরা সুন্নী। শিয়াদের মত অনুযায়ী সুন্নীরা কাফির।

২. শিয়া পন্ডিতরা ছিল সম্পূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় শিক্ষাদানে মশগুল, পার্থিব বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান ছিলো না যেমনটা ছিলো আমাদের অতীতের স্থবির ইতিহাসের কারণ সেই ধর্মযাজকদের মত।

ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিয়াদের কোন ধারণা ছিলো না। এমনকি সমকালীন বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি উন্নতি সম্পর্কে নূন্যতম ধারণাও তাদের ছিলো না।

একদিন আমি নিজেকে বললাম, শিয়ারা কেমন বিধ্বস্ত একটি জাতি। এরা এখনও ঘুমিয়ে আছে যেখানে সমস্ত পৃথিবী জাগ্রত। একদিন বন্যা এসে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অনেকবার আমি তাদের বুঝিয়েছি খলীফার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য। দুর্ভাগ্যবশত কেউ আমার কথায় সাড়া দেয়নি। শিয়াদের কেউ কেউ আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো যখন আমি তাদের তুর্কী সভ্যতা ধ্বংস করে দিতে বললাম। তাদের ধারণা, খলীফা হচ্ছে দূর্গের মত যাকে কখনই ধরা যাবে না। তাদের ধারণা অনুযায়ী, যখন হযরত ইমাম মেহেদী আলাইহিস্ সালাম আসবেন তখনই তারা খলীফার নাগপাশ থেকে মুক্তি পাবে।

তাদের মত, হযরত ইমাম মেহেদী আলাইহিস্ সালাম হচ্ছেন দ্বাদশ ইমাম। যিনি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উত্তমপুরুষ এবং যিনি ২২৫ হিজরীতে অদৃশ্য হয়ে যান। তাদের বিশ্বাস তিনি এখনও জীবিত এবং একদিন তাঁর পুনঃআগমন ঘটবে এবং তখন পৃথিবীর সমস্ত অন্যায় অত্যাচার দূর করে দিয়ে পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত করবেন। এটা এক অবাস্তব কল্পনা। কি করে শিয়ারা এত কুসংস্কারে বিশ্বাস করে! এটা যেন খ্রিষ্টানদের ধারণার মত যে একদিন যিশুখ্রিষ্ট ফিরে আসবে এবং দুনিয়াতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে। (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন