কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১২

সংখ্যা: ১৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা”দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

এর অর্থ হলো ফসফরিক এসিড অন্তর্ভুক্তির ধারণা কেন্ডলারে নিজস্ব উদ্ভাবন, মূল ফর্মুলাতে এটি ছিল না। কিন্তু চার্লস কেন্ডলার একই বইতে উল্লেখ করেছে যে পেমবারটনের ফর্মুলাতে সুস্বাদুকারী একটি এসিড অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্ভবত এ এসিডটি ছিল ফর্মুলাটি থেকে কেন্ডলার যে উপাদানসমূহ বের করে নিয়েছিল তার একটি। অথবা এটি এক প্রকার লেবুর আরক হতে পারে। কোকের রাসায়নিক বিশ্লেষণে যে সকল উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে লেবুর রস তার মধ্যে অন্যতম একটি উপকরণ (United states V. Forty Barrels and twenty kegs of Coca-Cola) বা ‘আমেরিকা বনাম চল্লিশ ব্যারেল এবং বিশ কেস কোকাকোলা”মামলাটিতে কোকাকোলার কয়েকটি রাসায়নিক বিশ্লেষণ প্রমাণ হিসেবে উদ্ধৃত করা হয়। ১৯০৯ সালে ফেডারেল গভর্নমেন্ট আটলান্টা থেকে চাতানোগার একটি বোতলজাত করণ স্থাপনায় যাওয়ার পথে উল্লেখিত পরিমাণ কোকাকোলা সিরাপ বা নির্যাস আটক করে এবং কোকাকোলাকে বিশুদ্ধ খাদ্য আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এক দশক ধরে মামলা, শুনানি ও আপিল চলে।

একটি বিশ্লেষণে নিম্নোক্ত

উপাদান দাবী করা হয়ঃ

 ক্যাফিন (প্রতি ফ্লুইড আউন্সে গ্রাম)-০.৯২-১.৩০ ফসফরিক এসিড (H3PO4) (শতকরা)-০.২৬-০.৩০ শর্করা, সর্বমোট (শতকরা)-৪৮.৮৬-৫৮.০০ এ্যালকোহল (শতকরা পরিমাণ) – ০.৯০-১.২৭ দগ্ধ শর্করা, গ্লিসারিন, লেবুর আরক অপরিহার্য তেল এবং উদ্ভিদের নির্যাস- উপস্থিত পানি (শতকরা)- ৩৪.০০-৪১.০০

শুনানির এক পর্যায়ে আরেকটি

বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ

 ক্যাফিন শতকরা ০.২০ অথবা প্রতি আউন্সে ১.১৯ গ্রেইনস। ফসফরিক এসিড শতকরা ০.১৯, চিনি শতকরা ৪৮.৪৬ ভাগ।  এ্যালকোহল শতকরা ১.২৭ ভাগ। দগ্ধ শর্করা, গ্লিসারিন, লেবুর আরক, ক্যাসিয়ার তেল- উপস্থিত। পানি শতকরা ৪১ ভাগ। (প্রায়)

১৯০৯-এ এ ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় যে কোক-কোলাতে লাইম জুস সিরকা আছে কিনা। বর্তমান কোকে এর উপস্থিতি নিশ্চিত করবার জন্যে কোক-কোলা কোম্পানীর কাছে লাইম জুস সম্পর্কে প্রশ্ন করে চিঠি পাঠায়। তারা (কোক-কোলায় বনিটা বোলডার) উত্তর পাঠায় “যদিও কোক-কোলাতে ব্যবহৃত বিবিধ স্বাদ-গন্ধ সৃষ্টিকারি উপাদানসমূহ সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে আমরা অপরাগ তবু এ কথার নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি যে কোক-কোলাতে কোন লাইম জুস বা কোন ধরনের ফলের জুসই নেই। লাইম জুস উদ্বায়ী এবং কিছুটা ঘোলাটে এবং এর মান প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই সভাবতই সহজে পরিবর্তনীয় নয় এমন কিছু, কোক এর পরিবর্তে ব্যবহার করে থাকবে। সাইট্রিক এসিড এবং লেবুর রসের বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত কোন উপাদানের মিশ্রণ (যা লেবুর খোসায় প্রাপ্ত আরক থেকে ভিন্ন) কোক-কোলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকবে। কিন্তু এমনভাবে এটি করা হয় যে, সত্যিকার লেবুর আরকের পরিবর্তে এর  ব্যবহারের ফলে যাতে কেউ কোক-কোলার স্বাদে কোন পরিবর্তন অনুভব করতে না পারে। লেবু গোত্রের জুসসমূহ নকল করা সহজ। কোক-কোলা অনেক কোমল পানীয় তৈরী করে, যেমন- ইটি,সি-অরেঞ্জ, হাই সি লেমোনেড, হাই সি পাঞ্চ, এবং হাই সি গ্রেপ যেগুলোতে আদৌ কোন ফলের রস ব্যবহৃত হয় না। (অসমাপ্ত)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন