ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা- ২৩

সংখ্যা: ১৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন বতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of a British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূরক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)

(ধারাবাহিক)

আমি বললাম, “মহান আল্লাহ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তোমরা তাদেরকে ব্যবহারের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তাদের মোহর প্রদান করবে।”

নজদের মুহম্মদ বললো, “হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফতের সময় দু’টো মুতা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। যে মুতা বিবাহ চালু করবে তাকে তিনি শাস্তি দেবার কথা বলেছিলেন।”

আমি বললাম, “আপনি বলেছেন আপনি উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আবার বলছেন উনাকে অনুসরণের কথা। অপরদিকে যেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বিষয়ের অনুমতি দিয়েছেন তা জানার পরেও হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তা নিষিদ্ধ করলেন।”

{মুতা বিবাহ আজকাল …. রক্ষিতা রাখার মত। শিয়াদের মতে এটা জায়িয। হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এমন কথা বলেননি। আর সব খ্রিস্টানদের মতই এই গুপ্তচরও হযরত ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উন ার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো এবং এই সুযোগে উনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছে মাত্র। ‘হুজাজ-ই কাতিইয়া’ কিতাবে লিখা আছে, হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুতা নিকাহ নিষিদ্ধ করে গেছেন। যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কর্তৃক নিষিদ্ধ তিনি তা চালু করতে অনুমতি দেননি। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সবাই একত্রে খলীফার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। সে সময় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু তিনিও ছিলেন। এক্ষেত্রে “ডকুমেন্ট অব রাইট ওয়ার্ড” প্রণিধানযোগ্য।}

সেক্ষেত্রে আপনি কেন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথাকে পাশ কাটিয়ে হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কথা মানতে চাইছেন? সে কোন উত্তর দিলো না। আমি বুঝলাম মুহম্মদের একটা বিয়ে দরকার। কেননা সে তখনও একা। আমি তাকে বললাম, “চল আমরা দু’জনেই মুতা বিবাহ করে স্ত্রী গ্রহণ করি। তাহলে তাদের সাথে আমাদের ভাল সময় কাটবে।” সে মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করলো। সেটা ছিল আমার জন্য বড় সুযোগ। সুতরাং আমি তাকে বিয়ের জন্য একজন মহিলাকে খুঁজে দেবার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলাম। সে শর্ত দিলো, আমি যেন বিষয়টা কেবল আমার এবং তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি। এমনকি মেয়েটির কাছেও তার নাম গোপন রাখি। আমি তখন দ্রুত খ্রিস্টান মহিলাদের কাছে ছুটে গেলাম। মুসলিম যুবকদের প্রলুব্ধ করার জন্যই ঔপনেবিশিক মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে নিযুক্ত করে সেখানে পাঠানো হয়েছিলো। (অসমাপ্ত)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন