ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-২২

সংখ্যা: ১৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রীস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রীষ্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of a British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]

(ধারাবাহিক) আমার উদ্দেশ্য ছিলো এভাবে নজদের মুহম্মদকে বিভ্রান্ত করা। যেহেতু সে তখন নিজেকে একজন বিপ্লবী হিসেবে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। ফলে সহজেই সে আমর চিন্তাভাবনাগুলোকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করলো। যাতে সব ব্যাপারে সে আমার আস্থাভাজন হতে পারে। একদিন সুযোগ মতো তাকে বললাম, “জিহাদ করা ফরয নয়।” সে প্রতিবাদ করলো। বললো, “তা কি করে হয়। যেখানে আল্লাহ পাক বলেছেন, “কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করুন।” (সূরা তওবা ৭৩) আমি বললাম, “তাহলে কেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন না। আল্লাহ পাক বলেন, “জিহাদ ঘোষণা করুন কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে।” [অপরদিকে মাওয়াহিবু লাদুন্নিয়া’-এ লিখা আছে যে, কাফিরদের বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। জিহাদে ব্যবহৃত সে সব তরবারী এখন ইস্তাম্বুল যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। মুনাফিকরা মুসলমান হিসেবে ভান করতো, তারা মসজিদে নববীতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে নামায আদায় করতো। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতেন তারা মুনাফিক, তথাপি তিনি কাউকে বলেননি ‘তুমি মুনাফিক।’ যদি তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন তাহলে লোকে বলতো, যারা নবীর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে তিনি তাদেরই হত্যা করেছেন। তাই এদের বিরুদ্ধে তিনি মৌখিকভাবে জিহাদ করেছেন। জিহাদ ফরয। এটা হতে পারে দৈহিকভাবে। অথবা সম্পদের মাধ্যমে অথবা বক্তৃতার মাধ্যমে। উপরের আয়াত শরীফে কাফিরদের বিরুদ্ধেই জিহাদ করার হুকুম দেয়া হয়েছে। এই আয়াত শরীফে নির্দিষ্ট বলা হয়নি কোন ধরনের জিহাদ করতে হবে। কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই জিহাদ। আর মুনাফিকদের বেলায় জিহাদ করতে হয় ধর্মোপদেশ ও প্রচারের মাধ্যমে। এই আয়াত শরীফে উভয় জিহাদের কথাই ব্যক্ত হয়েছে। ]  -এম সিদ্দিক গূমুজ। মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব বললো, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন উপদেশের মাধ্যমে। আমি বললাম, “জিহাদ যদি ফরযই হবে তাহলে মৌখিকভাবে বললেই কেন হবে?” সে বললো, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধও করেছেন।” আমি বললাম, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন আত্মরক্ষার জন্যে। কেননা, কাফিররা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করতে চেয়েছিলো।”  সে সম্মতি প্রকাশ করলো। অন্য এক সময় বললাম, “মুতা বিবাহ শরীয়ত সম্মত।”  (মুতা বিবাহ হচ্ছে একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মিলিত হবার চুক্তি। ইসলামে এ ধরনের বিবাহ নিষিদ্ধ।) সে প্রতিবাদ করলো, “না তা নয়।” (অসমাপ্ত)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন