ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভুমিকা-৪৮

সংখ্যা: ১৭৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

-ভাষান্তর: আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী-খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ”ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ধ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। (ইনশাআল্লাহ)]

 (ধারাবাহিক) ওহাবী মতবাদের নীল নকশা

 দলীলসমৃদ্ধ, চমকপ্রদ এমন একটি কিতাব দেয়ায় আমি সচিবকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না লন্ডনে এক মাস থাকার পর মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে নির্দেশ দেয়া হলো ইরাকে গিয়ে নজদের ওহাবের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে। আমি যখন আমার মিশনে যাত্রা শুরু করবো তখন সচিব আমাকে বলেছিলো, “নজদের সেই ওহাবের ব্যাপারে কখনই উদাসীন থেকো না। এ যাবৎ গোয়েন্দাদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী বিষয়টি পুরোপুরি বোঝা গেছে যে, আমাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য ওহাবী নজদী অত্যন্ত উপযোগী গবেট প্রকৃতির এক লোক।” সচিব আরো বললেন, ওহাবী নজদীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করবে। আমাদের এজেন্টের সাথে তার ইস্পাহানে খোলামেলা কথা হয়েছে এবং সে শর্তসাপেক্ষে আমাদের ইচ্ছাপূরণ করতে রাজী হয়েছে।  সে যে শর্তগুলো আরোপ করেছে তা এরকমঃ তার মত, পথ ব্যাক্ত করার পর যখন সে নিশ্চিতভাবে তার দেশ এবং আলিম উলামা দ্বারা আক্রমণের সম্মুখীন হবে তখন সেই সম্ভাব্য বাঁধা এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনে তাকে যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ ও অস্ত্রবল দিয়ে সাহায্য করতে হবে। ছোট আকারে হলেও তার আদর্শ অনুযায়ী তার দেশে তার জন্যে একটি শাসন ব্যবস্থা চালু করে দিতে হবে। মন্ত্রণালয় তার এই শর্ত মেনে নেয়। যখন আমি (হেমপার) এ সংবাদ পেলাম তখন খূশীতে মনে হচ্ছিল আমি আকাশে উড়ছি। আমি সচিবকে প্রশ্ন করলাম আমার এ ব্যাপারে কি করা উচিত। তার উত্তর ছিল “ওহাবী নজদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটা স্কীম তৈরী করা হয়েছে। স্কীমটা হলোঃ ১. ওহাবী নজদীকে বলতে হবে তার মতাদর্শে বিশ্বাসী ছাড়া সবাই কাফির। ফলে এ সকল কাফিরদের হত্যা করা, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, সম্ভ্রমহানি করা, লোকদের ক্রীতদাস বানিয়ে, মেয়েদের রক্ষিতা হিসেবে বাজারে ক্রয় বিক্রয় করা হলাল। ২. তাকে আরও বলতে হবে, কা’বা ঘর মাটির তৈরী এবং মুর্তির অনুরুপ (নাউযুবিল্লাহ) ফলে তা ধ্বংস করে ফেলতে হবে। হজ্জ পালনের মত ইবাদত বন্দেগী নষ্ট করার লক্ষ্যে বিভিন্ন গোত্রের হাজীদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মালামাল লুণ্ঠন এবং কতল করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ৩. খলীফাকে মানার ব্যাপারে মুসলমানদেরকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। খলীফার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাদেরকে  প্ররোচিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তাকে সৈন্যদল প্রস্তুত করতে হবে। হিজাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং তাদের সম্মানে আঘাত হানতে তাকে সকল সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ৪. তাকে এই বলে লোকদের প্ররোচিত করতে হবে যে, মাযার, সমাধি এবং মুসলিম দেশগুলোতে অবস্থিত সব পবিত্র স্থানসমূহ হচ্ছে পৌত্তলিকতার নির্দশন। ফলে, এসব ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ওহাবী নজদীকে আরও ব্যবস্থা নিতে হবে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খুলাফায়ে রাশেদীন এবং সকল মাযহাবের ইমামগণের শানের খিলাফ কিছু করা বা বলার ব্যাপারে। ৫. সকল মুসলিম দেশগুলোতে অরাজকতা, অত্যাচার এবং বিপ্লব-বিদ্রোহকে উসকে দেয়ার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। ৬. তাকে (ওহাবী নজদী) কুরআন মজীদে নতুন সংযোজন এবং বিয়োজনের চেষ্টা করতে হবে। যেমনটি হাদীছ শরীফের ক্ষেত্রে করা হয়েছে। এই ছয়টি স্কীম ব্যাখ্যা করে সচিব আরও বলেন, তবে এই কর্মসূচীর মাধ্যমে কোন আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবেনা। কারণ আমাদের কর্তব্য হচ্ছে ইসলামকে ধ্বংস করে দেয়ার বীজ বপন করা। পরবর্তী প্রজন্ম এসে বাকী কাজ শেষ করবে। বৃটিশ সরকার ধাপে ধাপে এগুতে চায় এবং ধৈর্য্য ধারনের একটা অভ্যাস গড়ে তুলতে চায়। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো একটা জাগরণ এনেছিলেন। ওহাবী নজদীও একটা বিপ্লব সৃষ্টি করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কয়েকদিন পর আমি (হেমপার) মন্ত্রী ও সচিবের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে এবং আমার পরিজনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বসরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। যখন বিদায় নিচ্ছিলাম, আমার ছেলে বললো, বাবা তাড়াতাড়ি চলে এসো। আমার চোখ ভিজে গিয়েছিল। অনেক কষ্টের পর রাতের বেলায় বসরায় পৌছি। যখন আবু রিদার বাড়ীতে পৌছলাম তখন সে ঘুমে আচ্ছন্ন। ঘুম থেকে জেগে আমাকে দেখে খুব খুশী হলো। সে আমাকে আতিথেয়তা প্রদর্শন করলো। তার ওখানেই রাত অতিবাহিত করি। পরদিন সকালে সে বললো, ওহাবী নজদী আমার এখানে এসেছিল। সে তোমাকে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠি খুলে পড়লাম। (চলবে)

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন  

ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলো এখন বিদ্যমান ধর্মীয় আইন উৎখাতের  জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে

আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর কারণে এখন উহাদের অবস্থা হইয়াছে ‘গোস্বায়, ক্ষোভে আঙ্গুল কামরাইবার মত’ 

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ।  তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ১২

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১২