ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২৬

সংখ্যা: ২০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

মুহম্মদ আলী পাশা সুলতান মাহমুদ খান-এর নির্দেশ আনুগত্যের সাথে মেনে নিয়ে আবার মিসর হতে রওয়ানা দিলেন। সে সময় শরীফ গালীব আল এফেন্দী উসমানীয়ান খিলাফত-এর মুজাহিদীনে কিরাম সৈনিকদের সাথে অবস্থান করছিলেন নরাধম পাপিষ্ঠ দস্যু, রক্তপিপাসু যালিম, উসমান আল মুদায়িকী লা’নতুল্লাহি আলাইহি তাকে তন্ন তন্ন করে খোঁজার জন্য। সুপরিকল্পিত ও সুসংঘবদ্ধ তালাশের পর সেই ঘৃণ্য দস্যু উসমান আল মুদায়িকীকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রথমত মিশর অতঃপর ইস্তাম্বুলে প্রেরণ করা হয়। মুহম্মদ আলী পাশা শরীফ গালীব এফেন্দিকে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন, এফেন্দি মক্কা শরীফ-এ আগমন করার পর এবং স্বীয় ভ্রাতা হযরত ইয়াহইয়া ইবনে মাসুদ এফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে মক্কা শরীফ-এর আমীর এর দায়িত্ব দেন। মুবারক ইবনে মাঘায়ান, আরেক দস্যুকেও গ্রেফতার করা হয়, অতঃপর ইস্তাম্বুলে প্রেরণ করা হয় ১২২৯ হিজরী সনের মুহররম মাসে। এই দুই দস্যু যারা হাজার হাজার মুসলমানদের রক্তে প্লাবিত করেছিলো পবিত্র আরব উপত্যকায়, তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার পূর্বে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় রাস্তায় হাঁটিয়ে দেখানো হয়েছিল। শরীফ গালীব এফেন্দি, যিনি মক্কা শরীফ এর আমীর ওরফে খাদিম হিসেবে ২৬ বছর খিদমত করেছিলেন, উনাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাপূর্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিলো ইস্তাম্বুলে। সেখান থেকে উনাকে পুনরায় স্যালোনিকায় প্রেরণ করা হয়েছিলো যেখানে তিনি ১২৩১ হিজরী সনে রফিকে মাওলা উনার দীদারে গমন করেন। স্যালোনিকায় উনার মাজার শরীফ এখনো জিয়ারতপ্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। হিজাজে দস্যু দমনের পর নতুন এক ডিভিশন পাঠানো হয় সুদূর ইয়েমেন পর্যন্ত সেসব এলাকা মুক্ত করার জন্য। মুহম্মদ আলী পাশা স্বয়ং সেনাদলের নেতৃত্ব দানের জন্য গমন করেন এবং পুরো অঞ্চলে পূর্ণ শৃঙ্খলা স্থাপন করেন। তিনি মক্কা শরীফ-এ প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১২৩০ হিজরীর রজব মাস পর্যন্ত অবস্থান করেন। অতঃপর স্বীয় পুত্র হাসান পাশা উনাকে মক্কা শরীফস্থিত গভর্নর ওরফে খাদিম নিযুক্ত করেন এবং মিশরে প্রত্যাবর্তন করেন। সাউদ বিন আব্দুল আযীয ১২৩১ হিজরী সালে জাহান্নাম গমন করে এবং তার পুত্র আব্দুল্লাহ বিন সাউদ তার স্থলাভিষিক্ত হয়। মুহম্মদ আলী পাশা স্বীয় পুত্র ইবরাহীম পাশা উনাকে এক ডিভিশন সৈন্যসহ প্রেরণ করেন আব্দুল্লাহ বিন সাউদ-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য। আব্দুল্লাহ বিন সাউদ তশুন পাশাকে এই মর্মে মুচলেকা দেয় যে সে উসমানীয়ান খিলাফতের প্রতি অনুগত থাকবে এই শর্তে যে তাকে দারীয়ার গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। কিন্তু মুহম্মদ আলী পাশা সর্বপ্রকার সমঝোতা নাকচ করে দেন, এই চুক্তির প্রস্তাবকে পরিষ্কার অগ্রাহ্য করেন ।অতএব, ইবরাহীম পাশা মিসর হতে যাত্রা করেন ১২৩১ হিজরী বর্ষের শেষ দিকে এবং দারীয়াতে অবতরণ করেন ১২৩২ হিজরী সনের প্রারম্ভে। আব্দুল্লাহ ইবনে সাউদ স্বীয় সেনাবাহিনীসহ প্রাণপণে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা সত্ত্বেও রক্তাক্ত যুদ্ধে পরাজিত হয়ে গ্রেফতার হয় ১২৩৩ হিজরী সনের যুলক্বাদাহ মাসে। এই বিজয়ের শুভ সংবাদ মিসরে অত্যন্ত খুশির সাথে গ্রহণ করা হয়, ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করা হয় হাজারো গর্জনের মাধ্যমে। আগ্নেয়াস্ত্রের সুগর্জনে রাজপ্রাসাদ হতে, সাত দিন সাত রাত ঈদ পালন করা হয় সরকারিভাবেই। পথঘাট প্রান্তর পতাকা দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়। মিনার সমূহের উপর থেকে বারবার তাকবীর ধ্বনি এবং মুনাজাত ছড়িয়ে পড়ছিলো দিকে দিকে। (অসমাপ্ত)
-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার