মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

সংখ্যা: ১৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমাজে প্রতারণার কাহিনী ও ধরণ বিস্তর। প্রতারক ও কপট অফিসার, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবীদ, আইনজীবি এমনকি শিক্ষকের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু অন্য সবক্ষেত্রে প্রতারিত হয়েও মানুষ ততবেশী ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়না যতটা না হয় যখন একজন ডাক্তারের কাছে ডাক্তারের ব্যবসায়িক স্বার্থগত কারণে সে প্রতারিত হয়। কমিশনের লোভে রোগীর হাতে অপ্রয়োজনীয় টেস্টের ফিরিস্তি ধরিয়ে দেয়া, এপেন্ডাসাইটিস না হয়েও, সিজারিয়ানের সিস্টেম না হবার পরও শুধুমাত্র অপারেশনের বাড়তি টাকাটা কামিয়ে নেয়ার জন্য বিনা অপারেশনের রোগীকে অপারেশন করিয়ে নেয়া সহ অপারেশনের নামে  কিডনী চুরি করার কাহিনীও এখন অনেক।

এসব লোমহর্ষক কাহিনী ছাড়াও ডাক্তারের গাফলতিতে রোগী যে ভূক্তভোগী হয় অথবা মারা যায় তার জন্যও মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। কারণ অন্য সবক্ষেত্রে প্রতারণা বা গাফলতি করলেও তা সময়, সম্মান বা অর্থের ক্ষেত্রে যায়। কিন্তু ডাক্তার যখন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে তখন মানুষের খোদ জীবনটাই প্রতারিত হয়। জীবন নিয়ে বানিজ্য যাকে বলা হয়। তাই এক শ্রেণীর ডাক্তাররা মানুষের ক্ষতিও যেমন করে সবচেয়ে বেশী, আবার তাদের প্রতি মানুষের ক্ষোভও ভয়ানক বেশী।

 কারণ অন্য সবাই প্রতারণা করলেও জীবন নিয়ে প্রতারণা করেনা। জীবন নিয়ে ব্যবসা করেনা।

তবে এসব নরাধম ব্যবসায়ী ডাক্তারের চেয়েও খারাপ আরো একটি শ্রেণী আছে। যাদের চেয়ে খারাপ আর কেউ হতে পারে না। নিকৃষ্ট এই শ্রেণীটি হল যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে।

 কারণ জীবনের প্রথম, শেষ ও সার্বিক আশ্রয় হলো দ্বীন। আর সে দ্বীনকে পুজি করে একটি শ্রেণী যখন মানুষকে প্রতারিত করে আজ এ ফতওয়া, কাল তার বিপরীত ফতওয়া দেয়, হালালের নামে হারাম আমল করে তখন তা যে শুধু ইহলৌকিক জীবনকেই বিভ্রান্ত করে শুধু তাই নয় পরকালেও জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়।

প্রসঙ্গতঃ কোরআন শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ধর্মব্যবসায়ীদের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে, বিকৃত আমল করে যারা জাহান্নামে যাবে তারা আল্লাহ পাক-এর কাছে আরজ করবে ঐসব ধর্মব্যবসায়ীদের হাজির করার জন্য। অতঃপর তাদেরকে লাথি মেরে তাদেরকে মাড়িয়ে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য।

হাদীছ শরীফে ধর্মব্যবসায়ীদের নিকৃষ্ট বলার পেছনে অনেক কারণ। কারণ এরা এতই মুনাফিক যে স্বগোত্রীয়দের বিরুদ্ধেও মুনাফিকী করতে পারে।

প্রসঙ্গতঃ আজকের ধর্মব্যসায়ী জামাত যে ক্ষমতাসীন দলের সাথে জোট বেধেছে এবং সে দলকে  ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিচ্ছে ’৯৬-এ তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করেছে। আর ঐ তাদের কথিত ইসলাম বিরোধী দলের সাথেই আঁতাত করেছে।

শুধু তাই নয় নিজ দলের ক্ষেত্রেও স্বার্থগত কারণে তাদের এ মুনাফিকী কিরূপ হতে পারে তার একটি উদাহরণঃ

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী দৈনিক সমকালে একটি ছবির ক্যাপশন ছিল গত ২৮শে জানুয়ারী সাতকানিয়ায় শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন ছাত্র শিবির নেতা আনোয়ার হত্যা মামলার আসামী চেয়ারমান মুজিবুর রহমান।

০০০

“শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামী ফুলের মালা দিলেন শিল্পমন্ত্রী নিজামীর গলায়।”

শীর্ষক এই খবরে বলা হয়, নিজ দলের ছাত্র সংগঠনের নেতার হত্যাকারী বলে অভিযুক্ত ব্যক্তির হাত থেকে নিজামীর মালা নেওয়ার এই অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটে গত  ২৮শে জানুয়ারী সাতকানিয়া হাইস্কুল  মাঠে। ……. জানা যায়, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ওই মালা নেয়ার ঘটনা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় শিবিরের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ ঘটনাকে দুঃখজনক অ্যাখ্যায়িত করে সমকালকে বলেছেন, “যার হাতে আমার সহযোদ্ধা রক্তে  রঞ্জিত, তার হাত থেকে কীভাবে মন্ত্রী মহোদয় ফুলের মালা নিলেন। আমরা এখন কার কাছে গিয়ে এই  নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই?”

উপরোক্ত সংবাদভাষ্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুনাফিক ধর্মব্যবসায়ী জামাত, জামাতের জন্যই নির্মম ও বিশ্বাসঘাতক হতে পারে। ধর্মের নামে ব্যবসা, স্বার্থ বা সম্মান ও প্রতিপত্তি  হাছিলের জন্য তারা স্বীয় পিতাকে এমনকি আল্লাহ পাককেও অস্বীকার করতে পারে।

বাংলার ইহুদী খ্যাত সাঈদীর এখন হিন্দুর ভোট কামানোর জন্য ‘কৃষ্ণ ও রামকে শ্রদ্ধা  করি’ বক্তব্য প্রদান তারই প্রমাণ।

প্রসঙ্গতঃ আরো একটি মজার বিষয় হলো, জামাত প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর লেখনীভাষ্য অনুযায়ী জামাত এখন তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত, অথর্ব প্রমাণিত হয়েছে।

মওদুদী তার ‘ইসলামী বিপ্লবের’ পথ শীর্ষক বইয়ে লিখেছে, “… … … এই খিলাফত পরিচালনার কাজে এমন সব লোকই অংশীদার হবে, যারা এই আইন ও বিধানের প্রতি ঈমান আনবে এবং তা অনুসরণ ও কার্যকর করার জন্যে প্রস্তুত থাকবে। তাদেরকে এমন স্থায়ী অনুভূতির সাথে এ মহান কাজ পরিচালনা করতে হবে যে সামষ্টিকভাবে আমাদের সকলকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রত্যেককে এর জন্যে সেই মহান আল্লাহ তায়ালার সম্মুখে জবাবদিহি করতে হবে, গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই যার অবগতিতে রয়েছে। যার জ্ঞানের বাইরে কোনো কিছুই গোপন নেই।

ইসলামী রাষ্ট্র (?) প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্যে প্রয়োজন এক বিশেষ ধরনের মানসিকতা। এক স্বতন্ত্রধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এক অনুপম কর্মণৈপুন্য।

এ রাষ্ট্র (?) পরিচালনার জন্যে এমন নৈতিক বলিষ্ঠতার অধিকারী একদল লোক প্রয়োজন, পৃথিবীর ধনভান্ডার হস্তগত হলেও যারা নিখাঁদ আমানতদার প্রমানিত হবে। ক্ষমতা হস্তগত হলে জনগণের কল্যাণ চিন্তায় যারা বিনিদ্র রজনী কাটাবে।

আর জনগণও তাদের সুতীব্র দায়িত্বানুভূতিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণাধীনে নিজেদের জানমাল, ইজ্জত আবরুসহ যাবতীয় ব্যাপারে থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত।

ইসলামী রাষ্ট্র (?) পরিচালনার জন্যে প্রয়োজন এমন একদল লোকের, যারা কোনো দেশে-বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করলে সেখানকার লোকেরা গণহত্যা, জনপদের ধ্বংসলীলা, যুলুম নির্যাতন, গুন্ডামী বদমায়েশী এবং ব্যভিচারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হবে না।

বরঞ্চ বিজিত দেশের অধিবাসীরা এদের প্রতিটি সিপাহীকে পাবে তাদের জানমাল, ইজ্জত আবরু ও নারীদের সতীত্বের হিফাযতকারী। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তারা এতটা সুখ্যাতি ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে যে, তাদের সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়নতা, নৈতিক ও চারিত্রিক মূলনীতির অনুসরণ এবং প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি পালনের ব্যাপারে গোটা বিশ্ব তাদের উপর আস্থাশীল হবে।

এ ধরনের এবং কেবলমাত্র এ ধরনের লোকদের দ্বারাই ইসলামী রাষ্ট্র (?) প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কেবলমাত্র এমন লোকেরাই ইসলামী হুকুমাত পরিচালনা করতে সক্ষম।

মওদুদীর উপরোক্ত প্রেসক্রিপশনের প্রেক্ষিতে আমরা তার প্রতিষ্ঠিত জামাতীদের ’৭১ এ খুন, ধর্ষণ, লুষ্ঠনের চেহারা ছাড়াও বর্তমানে ক্ষমতাসীন হওয়ারপর তাদের কীর্তি-কলাপের দু’একটি নমুনা মাত্র পেশ করছি-

“মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিবিরকর্মী গ্রেফতার।” (জনকণ্ঠ ৬ জুন/০৬)

“ঢাবিতে জামাতি শিক্ষকের ছাত্রী লাঞ্ছনা ধামাচাপা দিতে জামাত শিবিরের উড়ো লিফলেট।” (ভোরের কাগজ ১ জুন/০৬)

“বগুড়ায় পরস্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়েছে জামাত কর্মী, প্রতিবাদে মাদ্রাসা ঘেরাও।” (জনকণ্ঠ ৩১ মে/০৬)

কাহলুতে জামাত নেতা তার প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রী সহ নগদ দেড়লাখ টাকা নিয়ে উধাও। (যুগান্তর ৩১মে/০৬)

মেয়েকে বিয়ে দিতে নাপেরে জামাত নেতা কোপালেন ছেলের বিধমা মাকে।” (জনকণ্ঠ ২১ মে/০৬)

“বিধবার সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করতে গিয়ে ধরা পড়ল জামাত কর্মী॥ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।” (জনকণ্ঠ ৬ মে/০৬)

“ধর্ষণ করেছে জামাত নেতা॥ নওগায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা।” (জনকণ্ঠ ১২ মার্চ ০৬)

“ঋণ আত্মসাৎ সিরাজগঞ্জের ৩ জামাত নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।” (ভোরের কাগজ ৫ মে/০৬)

বালাৎকার করায় শিবির কর্মী খুন করেছে জামাত নেতাকে। (জনকণ্ঠ ৪ঠা মে/০৬)

ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা॥ জামায়াত  কর্মী শিক্ষককে গণধোলাই। (জনকণ্ঠ ৩ মে/০৬)

শিশু ধর্ষণের চেষ্টা সুনামগঞ্জে জামায়াত কর্মীকে জুতাপেটা। (সমকাল ১ লা মে/০৬)

সাতক্ষীরায় জামাত নেতা দু সুন্তানের জননীর সাথে অবৈধ কাজে হাতে নাতে ধরা।” (ইনকিলাব ২২ শে এপ্রিল/০৬)

মাদারীপুরে জামাত নেতার লুটপাতের তান্ডব। (সমকাল ১৪ ফেব্রু/০৬)

পুঠিয়ায় জামাত নেতার দুর্নীতি ফাঁস করলেন ছাত্রদল সভাপতি। (সমকাল ১৩ ফেব্রুয়ারী/০৬)

উল্লেখ্য রাধুনীর জন্য ভাত একটা টিপলেই যেমন যথেষ্ট তেমনি জামাতের নেতা কর্মীদের বর্তমান চেহারা- চরিত্র কি তা বোঝার জন্য সংক্ষিপ্ত কলেবরে এ সংবাদ শিরোনাম গুলোই যথেষ্ট।

যা থেকে প্রতিভাত হয় যে, মওদুদী বিবৃত “ইসলামী রাষ্ট্র (?) পরিচালনার জন্য প্রয়োজন এমন একদল লোকেরা যারা কোন দেশে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করলে সেখানকার লোকেরা গণহত্যা জনপদের ধ্বংসলীলা, যুলুম-নির্যাতন গুন্ডামী বদমায়েসী এবং ব্যাভিচারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হবেনা”- এই আদর্শের সম্পূর্ন উল্টো  অনাদর্শ, অনৈতিকতা আর দুর্নীতিতে আপাদমস্তক জরাগ্রস্থ  হয়েছে আজকের জামাতীরা।

মওদুদী বিবৃত, “বিজিত দেেেশর অধিবাসীরা এদের প্রতিটি সিপাহিকে পাবে তাদের জানমাল, ইজ্জত আবরু ও নারীদের সতীত্বের হেফাযত কারীরূপে”- এই বক্তব্যের উল্টো বিজিত দেশ নয় বরং নিজ দেশের মুসলমানদের মা-বোনের ইজ্জত লুটেরাও শুধু নয় এমনকি সুযোগ পেলে নিজ দলের লোকের উপরও নির্যাতনকারী রূপে যার প্রমাণঃ কক্সবাজারে এক হোটেলে শিবিরকর্মী ও জামাত নেতা এক রুমে থাকায় জামাত নেতা উক্ত শিবির কর্মীকে বলাৎকার করে। যার কারণে ক্ষোভে দুঃখে ঐ শিবির কর্মী উক্ত জামাত নেতাকে হত্যা করে। (জনকণ্ঠ ৪ঠা মে/০৬)

অতএব, মওদুদী বিবৃত কী নিখাদ আমানতকারী, জনগণের কল্যাণ কামনায় বিনিদ্র রজনী যাপনকারী, ইজ্জত আবরুসহ যাবতীয় নিরাপত্তা প্রদানকারী, উন্নত চরিত্রের অধিকারী তার প্রতিষ্ঠিত জামাতীর কর্মীরা আজ হয়েছে তা বলাইবাহুল্য।

বরং মওদুদী যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকার কথা বলেছিল সেই যুলুম নির্যাতন, গুন্ডামী বদমায়েশী  এবং ব্যাভিচারের ব্যাপকতায় ব্যাপ্ত হয়েছে তার তথাকথিত জামায়াতে ইসলামী। এমনকি বর্তমানে তাদের নেতা নিজামীও এ থেকে বাদ নয়।

“নিজামীর গোমর ফাঁস।” কৃষিমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভায় শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর গোমর ফাঁস  হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এটা পরিস্কার হয়েছে দেশের বিদ্যমান সার সঙ্কটের  নেপথ্যের মানুষ আর কেউ নয় শিল্পমন্ত্রী স্বয়ং।” (জনকণ্ঠ ২৪শে মার্চ/০৬)

“সাঁথিয়ায় আবারো নিজামীর অনুষ্ঠান বর্জন করছেন চেয়ারম্যানরা … … ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, শিল্পমন্ত্রী নিজামী সব উন্নয়নমূলক কাজে জামাত নেতাদের অগ্রাধিকার দেন। এরা শিল্পমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় গত ৫ বছরে উন্নয়নমূলক কাজের চাল, গম, …… টাকা লুটপাট করেছে।

এছাড়া শিল্পমন্ত্রীর নামে দৈনিক সংবাদে পাবনার সাথিয়ার দু’শ কোটি টাকার গাছ লোপাটের খবর এসেছে।

কাজেই দেখা যাচ্ছে লুটপাট ধর্ষণ হত্যা ও দুর্নীতি জামাতীদের আজন্ম চরিত্র।

হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী তুমি যদি শোন যে উহুদ পাহাড় স্থানান্তরিত হয়েছে তবে তাও বিশ্বাস করো। কিন্তু কারো খাছলত পরিবর্তন হয়েছে সে কথা বললে বিশ্বাস করো না।”

মূলতঃ জামাতীদের ক্ষেত্রে এ হাদীছ শরীফ একশতে একশ খাটে। কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে এরা তাই ইসলামী আন্দোলনের জন্য চরম বিশ্বাসঘাতক মুনাফিক ও চরম ফাসিকের অন্তর্ভূক্ত।

এক্ষেত্রে জামাতীরা যে আসলে ইসলামের কাজের জন্য আদৌ উপযুক্ত নয় সেটা ওদের জন্মদাতা মওদুদীও স্বীকার করে গেছে । সে লিখেছে-

“পক্ষান্তরে বস্তুবাদী স্বার্থান্বেষী (Utilitarian) লোকদের দ্বারা কিছুতেই একটি ইসলামী রাষ্ট্র (?) প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হতে পারে না। বরং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে এ ধরনের লোকদের অস্তিত্ব অট্টালিকার অভ্যন্তরে উই পোকার অস্তিত্বের মতোই বিপজ্জনক।

এরা পার্থিব স্বার্থ এবং ব্যক্তি ও জাতির স্বার্থে নিত্য নতুন নীতিমালা তৈরী করে। এদের মগজে না আছে আল্লাহর ভয়, না পরকালের।

বরঞ্চ তাদের সমগ্র চেষ্টা তৎপরতা এবং নিত্য নতুন পলিসির মুলকথা হচ্ছে কেবলমাত্র পার্থিব লাভ লোকসানের ‘ধান্দা’।”

আল্লাহ পাক-এর কুদরত। জামাতের জন্মদাতা মওদুদীর কণ্ঠেই আজকের জামাতের সম্পর্কে কী নির্ভুল ও একশতভাগ সত্য মন্তব্য ব্যক্ত হয়েছে এবং তা মওদুদীর “ইসলামী হুকুমাত কিছ তরাহ কায়েম হোতি হ্যায়” কিতাবে লিখিতও রয়েছে। আর তার বঙ্গানুবাদ ‘ইসলামী বিপ্লবের পথ’ শীর্ষক বই জামাতীদেরই প্রকাশনা শতাব্দী প্রকাশনী ৪৯১/১, মগবাজার, ওয়ারলেস রেলগেট থেকে নভেম্বর ১৯৯১ এ প্রকাশিত হয়েছে।

পরিশেষে মজার কথা হলো, জামাতীদের পরিণতি সম্পর্কেও তার জন্মদাতা মওদুদীও স্বার্থকভাবে বলে গেছে, “এই বিধানের অনুসরণ এবং তা কার্যকর করার ব্যাপারে আমরা যদি বিন্দুমাত্র ত্রুটি করি, এ কাজে যদি অণু পরিমাণ স্বার্থপরতা, স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্বেষ, পক্ষপাতিত্ব, কিংবা বিশ্বাসঘাতকতার অনুপ্রবেশ ঘটাই, তাহলে আল্লাহর আদালতে এর শাস্তি অবশ্যি আমাদেরকে ভোগ করতে হবে, দুনিয়ার জীবনে শাস্তি ভোগ থেকে যতোই মুক্ত থাকিনা কেন?

-মুহম্মদ ওয়ালিউর রহমান, ঢাকা।

তথাকথিত জাতীয় খতীব জাতীয় মিথ্যাবাদী হিসেবে জাতির কাছে প্রমাণিত হয়েছে ॥

শবে বরাতের ফতওয়াসহ তার সব মিথ্যা ফতওয়া আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে

কথাটা তারা বেশ জোরেশোরে প্রচার করে থাকে যে, “আল বাইয়্যিনাতে জাতীয় মসজিদের খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী আমিনী, মাহিউদ্দীন, সাঈদী, নিজামী ইত্যাদির বিরুদ্ধে বলা হয়ে থাকে।”

যদিও আল বাইয়্যিনাত-এর মূলনীতিতেই এর স্পষ্ট জবাব রয়ে গেছে। “আল্লাহ পাক-এর জন্য মুহব্বত, আল্লাহ পাক-এর জন্য বিদ্বেষ, আল্লাহ পাক-এর জন্য আদেশ এবং আল্লাহ পাক-এর জন্যই নিষেধ।” আবু দাউদ, তিরমিযী এবং মিশকাত শরীফে ব্যক্ত এই হাদীছ শরীফই আল বাইয়্যিনাত-এর আদর্শ।

সুতরাং আল বাইয়্যিনাত বিরোধীদের প্রতি সঙ্গতকারণেই একটা প্রশ্ন বিদ্ধ হয় যে, “আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে কাজ করলে আপনারা চুপ থাকবেন, সমর্থন করবেন কিন্তু যারা এই বিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে আপনারা ক্ষেপে গর্জে ফুঁসে উঠবেন”- এ কেমন কথা?

আপনারা কি তাহলে আল্লাহ পাক-এর বান্দা, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত?

নাকি তথাকথিত ঐ খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাহিউদ্দীন, সাঈদী ওরফে ইহুদী, নিজামী গংয়ের বান্দা ও উম্মত?

এটা কি আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাদ দিয়ে নিছক মুরুব্বী পূঁজা নয়?

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তাদেরকে যখন আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে আহ্বান করা হয় তারা তখন বলে, আমরা ঐ পথেই যাব যে পথে আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি।”

বলাবাহুল্য, আয়াত শরীফে উদ্ধৃত বাপ-দাদাকে মুহব্বতকারীরা যেমন আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়েও বেশী প্রাধান্য দিয়েছে।

 তেমনি তথাকথিত খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাহিউদ্দীন, সাঈদী, নিজামী গংয়ের অনুসারীরাও তাদেরকে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়ে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে।

ছবি তুলতে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। তারপরেও তারা ছবি তুলছে। কিন্তু এতে তাদের অনুসারীরা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হচ্ছে না। উল্টো ক্ষুব্ধ হচ্ছে আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি। তারা যে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশের খেলাপ করছেন আল বাইয়্যিনাতে সে কথাটি তুলে ধরার কারণেই তারা ক্ষুব্ধ হচ্ছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

এমনিভাবে তারা নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়া, বেপর্দা হওয়াসহ হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, ইসলামের নামে নির্বাচন ও গণতন্ত্র করাসহ সব বিজাতীয় আমল করছে সেসব ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কারণ, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-খ্রীস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তাদেরকে যারা বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।”

এতদ্বপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, তথাকথিত খতীব থেকে শুরু করে শাইখুল হাদীছ, মুফতে আমিনী, মাহিউদ্দীন, সাঈদী ওরফে ইহুদী, নিজামী কুরআন শরীফের আয়াত অনুযায়ীই ইহুদী-খ্রীস্টানদের বন্ধু তথা ধর্মব্যবসায়ীতে পরিগণিত হয়।

কিন্তু তারপরেও তাদের অনুসারীরা তাদের প্রতি না ক্ষেপে উঠে বাইয়্যিনাত-এর প্রতি ফুঁসে ওঠে। কুরআন শরীফের আলোকে তারা আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরোধী যে হারাম কাজগুলো করছে তা আল বাইয়্যিনাতে উল্লেখ করার কারণেই ফুঁসে উঠে। অর্থাৎ তারা নিজেরা যেমন গোমরাহ হয়েছে তাদের জাহিল অনুসারীদেরও তেমনি গোমরাহ ও বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

মূলত: মাসিক আল বাইয়্যিনাতে একজন শাইখুল হাদীছ, আমিনী, মাহিউদ্দীন, সাঈদী, নিজামী বা খতীবের বিরুদ্ধে বলা হয়না, লেখা হয়না।

বরং আল বাইয়্যিনাতে চিরন্তন ধর্মব্যবসায়ী তথা দাজ্জালে কাজ্জাবদের বিরুদ্ধে লেখা হয়।

ধর্মব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ধর্মব্যবসায়ীরা আল্লাহ পাক-এর যমীনে নিকৃষ্ট প্রাণী।”

উল্লেখ্য, সবার মাঝে যে সবচেয়ে খারাপ তাকেই নিকৃষ্ট বলা হয়। যার চেয়ে নীচে আর কিছু হতে পারেনা। আর উলামায়ে ‘ছূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা সে শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত।

আর এ শ্রেণীটির বৈশিষ্ট্য হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে যে, “তারা এমন সব কথা বলবে; যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ শুনেনি।”

ঠিক চিরন্তন ধর্মব্যবসায়ীর মুখপাত্র তথাকথিত জাতীয় মসজিদের খতীব উবাইদুল নাহক্বের বিভিন্ন বক্তব্য তাই প্রমাণ করে।

প্রসঙ্গত: শবে বরাত একটি বরকতপূর্ণ রজনী। হাদীছ শরীফে এ রাতে মানুষের তকদীর ফায়সালাসহ বিভিন্ন ফযিলত, বরকতের কথা বলা হয়েছে। যে প্রেক্ষিতে প্রায় পনের শত বছর ধরে মানুষ শবে বরাত পালন করে আসছে। কিন্তু এক্ষনে তথাকথিত খতীব ফতওয়া ঝারছে, “যারা শবে বরাত উপলক্ষে দিনে রোজা রাখে এবং রাতে নফল ইবাদত এবং আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানাদী পালন করে তারা এটাকে প্রথা বা একটা রসম-রিওয়াজ হিসাবে ব্যবহার করবে; তারা আল্লাহ পাক-এর কাছে কোন প্রকার খায়ের, বরকত হাছিল করতে পারবে না।” (দৈনিক সংগ্রাম, ৬-১২-’৯৭)

তথাকথিত খতীব শবে বরাত পালনের মধ্যে রসমের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন কিন্তু এ গন্ধ কিসের গন্ধ তা নিয়ে ওয়াকিফহাল মহল সন্ধিগ্ধ আছেন। কারণ, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় এসেছে, “তথাকথিত খতীব যে কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনের নেতা সে কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলন চলছে ‘র’ এবং কাদিয়ানীদের টাকায়।” (দৈনিক যায়যায়দিন, ২৮ জুলাই/২০০৬)

 এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, তথাকথিত খতীব এখন এসবের পাশাপাশি ওহাবী ঘরানার সাথেও ঐ একই টাকার গন্ধে বেশামাল হয়েছে।  উল্লেখ্য, ‘র’-এর মতই ইহুদীরাও ওহাবীদের মাধ্যমেই ওদের এজেন্ট ধর্মব্যবসায়ী নিযুক্ত করে।

ইহুদীরা চায় মুসলমানের আমল নষ্ট করতে, বন্ধ করতে। আমলের অনুভূতি নষ্ট করতে। মানুষকে আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে মাহরূম করতে।

বলাবাহুল্য, শবে বরাত মানুষের মধ্যে আমলের অনুভূতি জাগায়। আল্লাহ পাক-এর রহমত পাওয়ায়। কিন্তু তথাকথিত খতীব এটাকে বলেছেন, রসম-রেওয়াজ হিসেবে। সর্বোপরি তিনি শবে বরাত পালন ও তার আমল পরিহার সম্পর্কে ওকালতি করেছেন।

কিন্তু কথা হলো, রসম-রেওয়াজের জন্য শবে বরাত পালন যদি পরিহারযোগ্য হয় তাহলে নববর্ষ পালন যা পারস্যের অগ্নিপূজক ও মুসলিম বিদ্বেষী আমেরিকা, ইউরোপদের বিশেষ উৎসব সে নববর্ষ পালনের রসম-রেওয়াজকে তথাকথিত খতীব আগ্রহভরে আল্লাহ পাক-এর নেয়ামত হিসেবে স্বীকার করেন কিভাবে?

গত ১০ই এপ্রিল ২০০৪ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত হয়েছে, খতীব মুসলমানদের বাংলা নববর্ষ পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ এটা হলো বিধর্মীদের রসম।

সত্যিই আশ্চর্য্য খতীবের নিকৃষ্টতা। শবে বরাত পালন রসম-রেওয়াজ কিন্তু তার বক্তব্যানুযাই নববর্ষ আল্লাহ পাক-এর বড় নেয়ামত। (নাউযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য,  এই সে ধর্মব্যবসায়ী নিকৃষ্ট খতীব, যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মহিলা কুস্তি অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। (দৈনিক সংবাদ, ২২ জুলাই/২০০৪ ঈসায়ী)

এই খতীব সে ব্যক্তি যে মসজিদে মহিলাদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই বলে উল্লেখ করেছে। (দৈনিক ইনকিলাব, ৫ই জুলাই/২০০৫ ঈসায়ী)

এই সে খতীব যে, “ভোট দেয়া আমানত। এটা আল্লাহ পাক-এর কথা”- যা কুরআন শরীফের আয়াত বলে উল্লেখ করে কুরআন শরীফ সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছে।

অথচ আল্লাহ পাক কোথাও ভোট শব্দ উচ্চারণ করেননি।

উল্লেখ্য, খতীবের এই মিথ্যাচারীতা তার ভোল পাল্টানো খাছলত এখন জাতীয় পত্রিকাগুলোতেও প্রকাশিত ও প্রমাণিত হচ্ছে।

৮ই ডিসেম্বর/২০০৫ ঈসায়ী-এ দৈনিক ভোরের কাগজে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, বচন বিশ্লেষন- জঙ্গীদের হঠাৎ বিরোধী করা। ভোল পাল্টালেন খতীব উবায়দুল হক। অবশেষে নিজ হাতে গড়া খতমে নুবওওয়াতকে অস্বীকার করলেন খতীব উবায়দুল হক। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৭শে ডিসেম্বর/২০০৫ ঈসায়ী)

উল্লেখ্য, খতীবের মিথ্যাচার ও স্ববিরোধীতা সম্পর্কে এ রকমের রিপোর্ট বহু।

মূলত: তথাকথিত জাতীয় মসজিদের খতীব আজ জাতীয় মিথ্যাবাদীরূপে জাতির কাছে জাতীয়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই মিথ্যাবাদী দাজ্জাল সম্পর্কে হাদীছ শরীফের অবশিষ্ট অংশে বলা হয়েছে, “তোমরা তাদের কাছে যেয়োনা, তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিয়োনা। তবে তারা তোমাদের গোমরাহ করতে পারবে না।”

অতএব, মিথ্যাবাদী খতীবের শবে বরাতের মিথ্যা ফতওয়া সহ সব মিথ্যা ফতওয়া পরিহার করা এবং খোদ খতীবকেই পরিত্যাজ্য করা এখন আমাদের জাতীয়  দায়িত্ব ও কর্তব্য।

-মুহম্মদ ওয়ালী উল্লাহ, ঢাকা।

আল বাইয়্যিনাত বিরোধী ধর্মের লেবাস ও নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ী মাওলানাদের আমল খুবই বদ॥ সাধারণ মানুষ এদের নিকৃষ্টতা সম্পর্কে কমই জানে

কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে যারা দুষ্ট প্রকৃতির তাদেরকেই আমি নবী-রসূল তথা আউলিয়ায়ে কিরামের শত্রু করেছি।”

মূলত: বিরোধীতা হওয়া, অপবাদ রটনা হওয়া সুন্নত। সে সুন্নত পালিত হচ্ছে বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস্ সুন্নাহ্, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ক্ষেত্রেও। সারাদেশে তথা বিশ্বে উলামায়ে ‘ছূ’রা তাঁর নামে অপবাদ রটনা করছে, বিরোধিতা করছে। কিন্তু যারাই করছে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, এরা প্রত্যেকেই খুব বদ আমলের অধিকারী। অসততা, মিথ্যাবাদী এমনকি চরিত্রহীনতারও অধিকারী।

হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ইহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন কিতাবে এ সমস্ত আলিম নামধারীদের দোষত্রুটি তুলে ধরলে তা মোটেই গীবত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন। বরং বলেছেন, “কিছুক্ষণ সময় নামধারী মাওলানাদের দোষত্রুটি তুলে ধরা ষাট বছরের বে-রিয়া নফল ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।”

এতদ্বপ্রেক্ষিতে আমরা বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত তুলে ধরলাম। মহান আল্লাহ পাক কবুলের ও হেফাজতের মালিক।

নীলফামারীতে জামায়াত কর্মীর

লালসার শিকার কাজের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা

নীলফামারীতে পল্লীতে জামায়াত কর্মী এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক বাড়ির কাজের মেয়ে অন্তসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাম সালিশ বৈঠকে জামায়াত কর্মী শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও কাজের মেয়েটি বলেছে, তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক তার সর্বনাশ করেছে। পাশাপাশি হুমকি ধমকির কারণে সে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না। বৃহস্পতিবার সে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অভিযোগ মতে, জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা গ্রামের আলি মাহমুদের পুত্র গোলনা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক দুই সন্তানের জনক জামায়াত কর্মী মহুবার রহমান তার বাড়িতে একই গ্রামের অসহায় ওমর আলীর মেয়ে কান্দুরী দীর্ঘদিন ধরে ঝিয়ের কাজ করে আসছে। একদিন সুযোগ পেয়ে মেয়েটিকে সে ধর্ষন করে। এরপর বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে স্ত্রী হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে দলীয়ভাবে হুমকি ধমকি দেয়ায় এগিয়ে আসার সাহস পাচ্ছে না। (জনকণ্ঠ, ৯ সেপ্টেম্বর/০৫)

মাদ্রাসা ছাত্রী-শিক্ষক উধাও

সেনাবাগ উপজেলার উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামের নূরাণী তালিমুল মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়া আক্তারকে (১৩) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার একই মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ সিহাব উদ্দিন (২৭) তাকে অপহরণ করে বলে অপহৃতার পরিবারের দাবি। তবে স্থানীয়রা জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তারা পরস্পরের হাত ধরে উধাও হয়েছে।

বনগ্রাম মহিলা মাদ্রাসায় অনিয়ম দুর্নীতি

কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম জাকি মিয়া হাবিবিয়া গউস পাক (র.) মহিলা দাখিল মাদ্রাসার কমিটি ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে আনীত ৭টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বেকার শিক্ষিত লোকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১ লাখ ৮৮হাজার ৩৫০ টাকা আদায়, কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বোর্ডে ৬৭ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ, বিনামূল্যের বই মাদ্রাসায় বিতরণ না করে বাজারে বিক্রি, মাদ্রাসার নামে ১৬ হাজার টাকার আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়ম, ২ লাখ টাকা উন্নয়নের নামে গরমিল ও কমিটির সদস্য মোঃ সোলায়মানকে কোন নিয়োগপত্র ছাড়াই সুপারের দায়িত্ব প্রদান। (সংবাদ, ১৮সেপ্টেম্বর/০৫)

ছাত্রকে বলাৎকার। বেগমগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

শনিবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আল মাদ্রাসাতুল ইসলামীয়া আজিজুল উলুম (কাজী নগর মাদ্রাসা) এর জামাতে ইয়াজদাউমর ছাত্র বেলাল হোসেনকে বলাৎকার করার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক জামাতে ইয়াজদাউমের ছাত্র বেলাল হোসেনকে ক্লাস রুম থেকে ডেকে নিজের রুমে নিয়ে তাকে বলাৎকার করে। এর আগেও সেই মাদ্রাসার জামাতে নাউমের ছাত্র মোঃ শোয়েব সুপারের লালসার শিকার হয়। (জনকণ্ঠ, ১৮ সেপ্টেম্বর/০৫)

 উল্লেখ্য, এসব উলামায়ে ‘ছূ’দেরকে হাদীছ শরীফে “সৃষ্টির সবচেয়ে খারাপ জীব বা নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। যারা সবচেয়ে কঠিন আযাব ভোগ করবে।”  অন্য হাদীছ শরীফে আরো বলা হয়েছে, “তোমরা তাদের কাছে যেয়োনা আর তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিয়োনা তবে তারা তোমাদের গোমরাহ করতে পারবে না।”

মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন