মঙ্গা নিয়ে হালের পুঁজিবাদী সংবাদপত্র মালিকদের সাংবাদিকরা লিখা শুরু করেছেন অনেক দেরীতে। যা লিখেছেন তাও কলেবরে কম। তাতে যতটা না হৃদয়গ্রাহী আবেদন আছে, চেতনা তৈরীর প্রবণতা রয়েছে তার চেয়ে ঢেড় বেশী পেশাদারীত্ব দায়বদ্ধতা ঠেকানোর দায়সারা মনোভাবের পাশাপাশি ব্যবসায়িক আলোড়ন তৈরীর উদ্দেশ্যও রয়েছে। প্রসঙ্গ টেনেছিলেন চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দীন।
অকপটে লিখেছেন, উত্তরবঙ্গের মর্মন্তদ অভাবের কাহিনী লিখার সাফল্যের টাকায় শহরের অভিজাত হোটেলের দামী খাবারে তার উদর পূর্তি হচ্ছে। কাজেই এসব অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা তো রয়েছেই। মঙ্গা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ক্ষেত্রেও। বিষয়টি নিয়ে যে আন্দোলন তৈরীর কথা ছিল তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মঙ্গা নিয়ে অভিযোগ উত্তরাঞ্চলের বিত্তশালী অথবা শিল্পপতিদের ক্ষেত্রেও। পুঁজিবাদী মানসিকতার কারণে তারা উত্তরাঞ্চলে বড় বা ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেননি।
মঙ্গা নিয়ে অভিযোগ এনজিওদের বিরুদ্ধে
এদিকে স্বাধীনতা উত্তর এনজিওগুলোর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটলেও মঙ্গার ক্ষেত্রে তাদের কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। এনজিওগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রম সফল হলেও মঙ্গাপীড়িত —– থেকেছে এনজিও কার্যক্রমের বাইরে। প্রায় প্রতি বছরই সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত (আমন ফসল ঘরে তোলার পূর্ব পর্যন্ত) মঙ্গা স্থায়ী হয়। বাংলাদেশে সরকারের সহযোগী হিসেবে উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং দারিদ্র বিমোচনের মূল লক্ষ্য নিয়ে এনজিওগুলোর দাবীকৃত যাত্রা। বিশ্বব্যাংকসহ বহুপাক্ষিক দাতা সংস্থাগুলো এনজিওগুলোকে তহবিল যোগান দেয়। এর বাইরেও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও উন্নত দেশগুলোর পক্ষে এনজিওদের সহায়তা দেয়া হয়। যেমন, ব্রিটিশ ওভারসীজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (সিডা), নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন, সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সী, নেদারল্যান্ড অর্গানাইজেশন, ড্যানিস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট ইসিসট্যান্স, ইউএসআইডি প্রভৃতি। অথচ ইসলাম বৈরী মনোভাব বিস্তারের পাশাপাশি এনজিওগুলো আসলে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছে। যেখানে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না, সেখানে তারা যায় না। আবার বাংলাদেশকে সাহায্য দেয় এমন অনেক দেশই এখন এনজিওদের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব কর্মসূচী বাস্তবায়নে বেশি আগ্রহী। যেমন প্রাথমিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পল্লী ব্যাংকিং, পরিবার পরিকল্পনা, দক্ষতা বৃদ্ধি, জেন্ডার ইস্যু, মানবাধিকার, পরিবেশ প্রভৃতি। কিন্তু কর্মসংস্থানের দিকে তারা নজর দেয় না। যাতে প্রতিভাত হয় যে, এদেশকে স্বাবলম্বী নয় বরং উল্লিখিত কর্মসূচীর ব্যানারে তারা আসলে তাদের মতাদর্শ তথা শরীয়ত বিরোধী চেতনা প্রসারেই প্রবৃত্ত ও প্রচেষ্ট। ফলে এনজিওগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সেভাবে নিরূপিত হয় না। বাংলাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম রয়েছে। অতএব, তাই প্রশ্ন উঠে এরপরেও মঙ্গা হবে কেন? উল্লেখ্য যে, গত দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা সংস্থাগুলোর অর্থ ব্যয় সরকারের চেয়ে বেসরকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই বেশী হচ্ছে। এই সুবাদে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকাসহ এনজিওগুলো বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউরোপীয় কমিশন, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা লাভ করে। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাক অন্যান্য সংস্থা থেকেও অর্থ তহবিল পেয়ে থাকে। ১৯৭২-৭৩ সালে বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সেখানে ১৯৮৬-৮৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ কোটি ডলারে। এখন বাংলাদেশে বিদেশী সাহায্যের পরিমাণ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পাইপ লাইনেও পড়ে আছে সাত বিলিয়ন ডলার। ক্ষুদ্র ব্যবসায় অর্থায়ন উদ্যোগ বিষয়ক এক গবেষণায় গবেষক জে লিবিট স্কী বলেছেন, কিছু নির্বাচিত এলাকা চিহ্নিত করে এনজিওগুলো পকেট উন্নয়ন করছে। নইলে গত তিন দশক ধরে এনজিওদের কার্যক্রমের এই বিস্তৃতির পরও বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ থাকতো না। মার্কিন অর্থনীতিবিদ জ্যাফরি স্যাক্সও বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের মঙ্গার মত অবস্থার পেছনে বিশ্বব্যাংকের নীতিই দায়ী। তার মতে, দারিদ্র্য পীড়িত এসব গ্রামে দরকার প্রচুর অর্থ সাহায্য যা দিয়ে কৃষি উৎপাদনে অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, জমির ঊর্বরতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া যাবে। অথচ এনজিওদের এসব নিষ্ক্রিয়তা ও কুতৎপরতা সম্পর্কে সংবাদপত্রগুলোও আদৌ কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করছে না। যদিও মঙ্গার তীব্রতা সম্পর্কে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত ২/১টি রিপোর্টই সংবেদনশীলের চোখ প্লাবিত হয়। মঙ্গা পীড়িত কুড়িগ্রামের মানুষের আহাজারি- “ওজার দিনগুলোই ভাল ছিল, এ্যালা খিদা লাগে, ঘরত খাবার নাই। হামরা মরি যাচ্ছি।” (দৈনিক জনকণ্ঠ ৯-১১-০৫) ড “দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা- কারণ অভাব।” (সংবাদ ১৫ই অক্টোবর-২০০৫) ড “দুই দিন উপোস থেকে জাউ খাওয়ার পর মারা গেলেন বৃদ্ধ রাজ্জাক।” (সংবাদ ২৪শে অক্টোবর-২০০৫) দু’দিন ধরে শুধু পানি খেয়ে রোযা ছিল, ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে প্রতিবেশীর কাছে অনুনয় বিনয় করে দেড় কেজি চাল ধার এনেছিল। এ চাল থেকে কিছুটা জাউভাত রাঁধে নুন দিয়ে। খাওয়ার ঘণ্টাখানিক পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আব্দুর রাজ্জাক (৬৫)। স্ত্রী জারিমন জানান, “আমি, আমার সোয়ামী ও ছোট পোলার বউ হগ্গলেই দুই দিন ধইরা শুধু পানি খাইয়া রোযা আছিলাম।” মঙ্গার চিত্র সম্পর্কে যৎকিঞ্চিত পত্রিকান্তরে যা লিখা হয়েছে তা থেকেও এর আভাস পাওয়া যায়। যদিও প্রকৃত অবস্থা আরো করুণ। মঙ্গাজনিত দুর্ভোগ এখন উত্তরাঞ্চলে অনেকগুণ বেড়ে গেছে বন্যার কারণে। চলতি কার্তিকের আগেই বন্যা, মঙ্গা আর পানিবদ্ধতা, তিন চক্রের কবলে পড়ে উত্তরাঞ্চলের প্রায় অর্ধ কোটি লোক নিদারুণ হাহাকারে সম্মুখীন হয়। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। মঙ্গাতো রোধ হয়ইনি, গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে অক্টোবরে ভয়াবহ বন্যা ঘটে গোটা উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতিকে দুর্ভিক্ষে পরিণত করার অবস্থাতেই ঠেলে দিয়েছে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো অতিবর্ষণ ও উজানের ঢল নেমে আকস্মিক বন্যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও দিনাজপুরকে ডুবিয়ে দেয়। তার ওপর বেশ কয়েকটি জেলায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার মানুষের জীবনে মহাবিপর্যয় ডেকে আনে। আগে বা পরে কোন সময়ই স্থানীয় বা কেন্দ্রীয়ভাবে উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মঙ্গা বা মঙ্গা-বন্যা পানিবদ্ধতা দূর করার কোন রকম কার্যকর ব্যবস্থাই গৃহীত হয়নি। প্রকাশিত তথ্য হচ্ছে, ঐসব এলাকায় গরিব-দিনমজুরদের হাতে কাজ নেই। দিনমজুরি মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়ে যাওয়ার পরও প্রতিদিন মানুষের কাজ জুটছে না। বস্তুত, উত্তরাঞ্চলে এবং দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত মঙ্গার বিস্তৃতি দ্রুত ব্যাপক দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাকেই বাস্তব করে তুলছে। দুর্ভিক্ষের নানা আলামত, যেমন দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা, খুদ আর চাল ভাজা খেয়ে রোজা রাখা, শুধু নুন মুখে দিয়ে ইফতার করা, অভাবের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা, রিলিফ নিতে গিয়ে গৃহবধূর চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হওয়া- এ জাতীয় বিভিন্ন ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু যুগপৎ বিস্ময় ও দু:খজনক হলেও সত্য যে, মঙ্গার এহেন অবস্থায় এদেশের গণমানুষকে ইসলামী খিলাফতের সুখ-শান্তির স্বপ্ন প্রদর্শনকারী তথাকথিত ইসলামী দলগুলো মঙ্গার প্রেক্ষিতে ইসলামী আদর্শের দরদী মনোভাবের পক্ষে কুরআন-সুন্নাহ্র একটা কথাও তুলে ধরেনি। পত্রিকায় বিবৃতি দেয়নি। কোন সভা-সমাবেশ করেনি। সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করেনি। নিজেরাও কিছু করেনি। অথচ তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির সুবাদে তারা প্রত্যেকেই এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। কিন্তু ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা আমিরুল মু’মিনীন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, “ফোরাতের তীরে একটা কুকুরও যদি না খেয়ে থাকে তবে আমি উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে তার জন্য জবাব দিতে হবে।” এই কথায় উচ্চকিত হতে পারতেন ইসলামের দাবীদার রাজনৈতিক দলগুলো। এছাড়াও কুরআন-সুন্নাহ্র অগণিত বাণী তাদের জন্য মওজুদ ছিলো। “কোন কাজ সবচেয়ে উত্তম- ‘মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো।” (বুখারী শরীফ) “যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অভাবে সাহায্য করবে আল্লাহ পাক তার অভাবে সাহায্য করবেন।” “ঈমানদার পারস্পরিক সহানুভূতি বন্ধুত্ব ও দয়া অনুগ্রহের ক্ষেত্রে একটি দেহের মত। যখন দেহের একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন সমস্ত শরীর অসুস্থ হয়।” হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, “রোজ ক্বিয়ামতে আল্লাহ পাক বিত্তশালীদের বলবেন, আমি ক্ষুধার্ত অবস্থায় তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি। বান্দা বলবে, আল্লাহ পাক আপনি তো খান না। আর খাবারও চাননি। আল্লাহ পাক জবাব দিবেন, আমার ক্ষুধার্ত বান্দারা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলো, তারা ক্ষুধার্ত থাকা মানে আমিও ক্ষুধার্ত থাকা। আর তাদের খাবার দেয়া মানে আমাকেই খাবার দেয়া।” কবি আব্দুল কাদির-এর ভাষায়, “খোদা বলিলেন – হে আদম সন্তান, আমি চেয়েছিনু ক্ষুধায় অন্ন, তুমি কর নাই দান। মানুষ বলিবে – তুমি জগতের প্রভু, আমরা কেমনে খাওয়াব তোমারে, সে কাজ কি হয় কভু? বলিবেন খোদা – ক্ষুধিত বান্দা গিয়েছিল তব দ্বারে, মোর কাছে তুমি ফিরে পেতে তাহা যদি খাওয়াইতে তারে।” মূলত: ধর্মীয় উদ্দীপনা তৈরীর ক্ষেত্রে এর চেয়ে বড় অনুভূতি প্রবণ ও সংবেদনশীল কথা আর কি হতে পারে? অথবা এই হাদীছ শরীফগুলোর ওয়াজ করলে কোন বিত্তশালী মুসলমানের দিলে ভাবাবেগ তৈরী না হতে পারে? কিন্তু না, তথাকথিত ইসলামী দলগুলো ফোরাতের কুকুরের হক আদায়ের অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হবার বদলে নিজেরাই স্বার্থলোভী কুকুরের মত সুবিধাবাদী রাজনীতির খুদ কুড়াতে ব্যস্ত। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান না জানিয়ে তারা বরং শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নিষ্ফল সার্কের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে নির্লজ্জ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। মঙ্গায় বিপর্যস্ত মানুষের আহাজারিতে ইসলামের মমত্ববোধের আওয়াজ না তুলে তারা বরং ইসলামের দোহাই দিয়ে ভোট সংগ্রহেই লিপ্ত। খোদাদ্রোহী কমিউনিস্টদেরও একটা ে াগান ছিলো ‘ভোটের আগে ভাত চাই।’ কিন্তু আজকে তথাকথিত ইসলামী দলগুলো কার্যত সেই কমিউনিস্টদের চেয়েও অধম হয়েছে। লক্ষ-কোটি মানুষের পেটে ভাত নেই, সেদিকে ইসলামের চেতনা বিস্তার না করে নির্লজ্জ নির্মমের মত ভোট আর ক্ষমতার আঁতাতেই আত্মতৃপ্ত হয়েছে। হাদীছ শরীফে এদেরকেই মাওলানার ছদ্মাবরণে নিকৃষ্ট, হীন বলা হয়েছে। এরা দেশ, জাতি ও মুসলমানদের জন্য লা’নত স্বরূপ।
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫