(৩৮তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া মুবারক পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।
পূর্ব প্রকাশিতের পর
পবিত্র সুন্নতী চাদরের পরিমাপ
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتِ الْوَاقِدِيُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ أَنَّ طُوْلَ رِدَائِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ سِتَّةَ أَذْرُعٍ فِيْ عَرْضٍ ثَلَاثَةِ أَذْرُعٍ وَشِبْرٍ كَانَ يَلْبَسُهُمَا فِي الْجُمُعَةِ وَالْعِيْدَيْنِ
অর্থ: হযরত ইমাম ওয়াক্বিদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত চাদর মুবারক উনার পরিমাপ ছিলেন, ছয় হাত লম্বা এবং সাড়ে তিন হাত প্রশস্ত। তিনি চাদর মুবারক পবিত্র জুমুয়া’ ও পবিত্র ঈদাইন উনার ছলাতে পরিধান করতেন। (ফতহুল বারী লি-ইবনে হাজার ২/৪৯৮, আল-ফতহুর রব্বানী লি-তারতীবি মুসনাদিল ইমাম আহমদ বিন হাম্বল আশ-শাইবানী ৬/২৪৪, আত-তাওদ্বীহু লি শরহিল জামিয়িছ ছহীহ ৮/২৩৯, যখীরাতুল উক্ববা ফী শারহিল মুজতাবা ১৭/৪৭)
মহিলাদের ক্বামীছ নিছফে সাক পর্যন্ত পরিধান করা সুন্নত, হাটু থেকে নীচের দিকে প্রয়োজনে একহাত পর্যন্ত ঝুলানো জায়িয আছে
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَرَّ ثَـوْبَهٗ مِنَ الْخُيَلَاءِ لَمْ يَـنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ قَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ السَّادِسَةُ أُمُّ سَلَمَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بِذُيُـوْلِـهِنَّ؟ قَالَ تُـرْخِيْـنَهُ شِبْـرًا قَالَتْ إِذًا تَـنْكَشِفُ أَقْدَامُهُنَّ؟ قَالَ تُـرْخِيْـنَهُ ذِرَاعًا لَا تَزِدْنَ عَلَيْهِ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ পায়ের গোড়ালীর নীচে লুঙ্গি পরিধান করে পরকালে যিনি খালিক, যিনি মালিক, যিনি রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির প্রতি রহমত মুবারক উনার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। তখন হযরত উম্মুল মুমিনীন হযরত আস-সাদিসা আলাইহাস সালাম তিনি সুওয়াল মুবারক করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহিলাদের ঝুল কতটুকু হবে? জাওয়াবে তিনি বলেন, এক বিঘত পরিমাণ। পূণরায় তিনি সুওয়াল মুবারক করলেন, যদি তাদের পায়ের গোড়ালী প্রকাশ পেয়ে যায়? জাওয়াবে তিনি বলেন, তাহলে এক হাত পরিমাণ ঝুলাবে। এর চেয়ে বেশি ঝুলাবে না। (তিরমিযী, নাসায়ী, আহমদ, আবূ দাউদ)
وَالْحَاصِلُ أَنَّ لِلرِّجَالِ حَالَيْنِ حَالُ اسْتِحْبَابٍ وَهُوَ أَنْ يَّـقْتَصِرَ بِالْإِزَارِ عَلٰى نِصْفِ السَّاقِ وَحَالُ جَوَازٍ وَهُوَ إِلَى الْكَعْبَيْنِ وَكَذٰلِكَ لِلنِّسَاءِ حَالَانِ حَالُ اسْتِحْبَابٍ وَهُوَ مَا يَزِيْدُ عَلٰى مَا هُوَ جَائِزٌ لِلرِّجَالِ بِقَدْرِ الشِّبْرِ وَحَالُ جَوَازٍ بِقَدْرِ ذِرَاعٍ وَيُـؤَيِّدُ هٰذَا التَّـفْصِيْلَ فِيْ حَقِّ النِّسَاءِ مَا أَخْرَجَهُ الطَّبَـرَانِيُّ فِي الْأَوْسَطِ مِنْ طَرِيْقِ مُعْتَمِرٍ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبَـرَ لِفَاطِمَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مِنْ عَقِبِهَا شِبْـرًا وَقَالَ هٰذَا ذَيْلُ الْمَرْأَةِ.
অর্থ: উপরোল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে যা প্রমাণিত হলো: পুরুষদের ইযার পরিধানের ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা। একটি হলো- নিছফে সাক বা পায়ের নালার অর্ধেক পর্যন্ত পরিধান করা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। অপরটি হলো- পায়ের গোড়ালীর উপর পর্যন্ত পরিধান করা জায়িয। তদ্রুপ মহিলাদের ক্ষেত্রেও দুটি অবস্থা। একটি হলো- পুরুষের অনুরূপ হাটু থেকে এক বিঘত পরিমাণ ঝুলানো সুন্নত মুবারক। অপরটি হলো- হাটু থেকে এক হাত পরিমাণ ঝুলানো জায়িয। উক্ত ব্যাখ্যাটিকে আরো শক্তিশালী করে অপর একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ, যা আত্ব-ত্ববারানী ফীল-আওসাত গ্রন্থে নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত রয়েছে। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা হযরত মা’মার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত হুমাইদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন: তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি সাইয়্যদাতুনা হযরত যাহরাহ আলাইহাস সালাম উনাকে উনার নিতাক্ব মুবারক উনার ঝুল এক বিঘত পরিমাণ রাখতে নির্ধারণ করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, এটাই হলো মহিলাদের ঝুলের পরিমাণ। (ফতহুল বারী-১০/২৫৯, আওনুল মা’বূদ-১১/১১৯, তুহফাতুল আহওয়াজী-৫/৩৩৩, ফয়দ্বুল ক্বদীর-৩/১৭৬, যখীরাতুল ঊক্ববা-৩৯/১১২)
মহিলাদের ক্বমীছের সুন্নতী হাতা
قَالَ اِبْنُ رَسْلَانَ وَالظَّاهِرُ أَنَّ نِسَاءَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنَّ كَذٰلِكَ يَعْنِيْ أَنَّ أَكْمَامَهُنَّ إِلَى الرُّسْغِ إِذْ لَوْ كَانَتْ أَكْمَامُهُنَّ تَزِيْدُ عَلٰى ذٰلِكَ لَنُقِلَ وَلَوْ نُقِلَ لَوَصَلَ إِلَيْـنَا كَمَا نُقِلَ فِي الذُّيُـوْلِ مِنْ رِوَايَةِ النَّسَائِيِّ وَغَيْرِهٖ.
অর্থ: হযরত ইবনে রাসলান রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট বিষয় যে, নিশ্চয়ই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও পুরুষদের অনুরূপ সুন্নতী ক্বমীছ মুবারক উনার হাতা প্রলম্বিত করতেন এবং প্রশস্ত করতেন। কেননা, উনাদের সুন্নতী ক্বমীছ উনার হাতার বিষয়ে ব্যতিক্রম যদি কোন নির্দেশনা থাকতো, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা থাকতো। এবং অবশ্যই আমাদের নিকট উক্ত বর্ণনা পৌছে যেত। যেমনটি উনাদের সুন্নতী ক্বমীছ উনার ঝুল এর বিষয়ে হযরত উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস-সাদিসা আলাইহাস সালাম উনার থেকে নাসায়ী শরীফ ও অন্যান্য কিতাবে আমাদের নিকট পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা পৌছেছে। (তুহফাতুল আহওয়াজী-৫/ ৩৭৫)
قَالَ فِي الْإِقْـنَاعِ وَالْاَدَابِ الْكُبْـرٰى وَالْفُرُوْعِ وَشَرْحِ الْمُنْـتَـهٰى وَغَيْرِهِمْ: إنَّهٗ يُسَنُّ تَطْوِيلُ كُمِّ الرَّجُلِ إلٰى رُءُوسِ أَصَابِعِهٖ أَوْ أَكْثَـرَ يَسِيْـرًا وَتَـوْسِيْـعُهٗ قَصْدًا وَقَصْرُ كُمِّ الْمَرْأَةِ وَتَـوْسِيْـعُهٗ مِنْ غَيْرِ إفْـرَاطٍ.
অর্থ: তিনি বলেন, ইক্বন’ আদাবুল কুবরা ওয়াল ফুরুউ’ ও শরহুল মুনতাহা এবং অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে- ক্বমীছ উনার হাতা কব্জি থেকে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত প্রলম্বিত করা সুন্নত। প্রশস্ততা সুবিধা অনুযায়ী প্রশস্ত করে নিবে। আর মহিলাদের হাতা কব্জি থেকে আঙ্গুলের পর্যন্ত প্রলম্বিত এবং প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে সম্মানিত শরীয়ত অনুসরণ করতে হবে। (গিজাউল আলবাব ফী শারহি মানজূমাতিল আদাব-২/২৩৭)
মহিলাদের دِرْعٌ (দিরউন) তথা ক্বমীছ পুরুষের ক্বমীছেরই অনুরূপ
عَنْ حَضْرَت أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ أَنَّ أَبَاهُ أُسَامَةَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَسَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُـبْطِيَّةً كَثِيْـفَةً كَانَتْ مِمَّا أَهْدَاهَا دَحْيَةُ الْكَلْبِيِّ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ فَكَسَوْتُـهَا امْرَأَتِيْ فَـقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَالَكَ لَمْ تَـلْبَسِ الْقُبْطِيَّةَ قُـلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَسَوْتُـهَا امْرَأَتِيْ فَـقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْهَا فَـلْتَجْعَلْ تَحْتَـهَا غِلَالَةً إِنِّيْ أَخَافُ أَنْ يَّصِفَ حَجْمَ عِظَامِهَا.
অর্থ: হযরত উসামা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয়ই উনার পিতা বলেন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি আমাকে মিশরের তৈরী পাতলা একটি ক্বমীছ মুবারক হাদিয়া করলেন। যে ক্বমীছ মুবারক হযরত দাহ্ইয়াতুল ক্বলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছিলেন। (হযরত উসামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু) তিনি বলেন, আমি উক্ত ক্বমীছ মুবারক আমার আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে পরিধান করার জন্য দিয়ে দিলাম। অতপর, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে ওসামা আপনি কেন মিশরের তৈরী ক্বমীছটি পরিধান করেন না। আমি বললাম ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত ক্বমীছ মুবারকটি আমি আমার আহলিয়া উনাকে পরিধান করতে দিয়ে দিয়েছি। তখন মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, আপনি উনাকে নির্দেশ প্রদান করুন, যাতে উক্ত ক্বমীছের নীচে একটি গিলালাহ (সেমিজ) পরিধান করে নেয়। কেননা, আমার আশংকা হয় উক্ত পাতলা ক্বমীছ পরিধান করলে উনার শরীর বা দেহের গঠন প্রকাশ পেতে পারে। (মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে বাযযার-৭/৩০, মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা-১/ ১২৬)
মহিলাদের ক্বমীছ তথা জামা পুরুষের জামারই অনুরূপ পার্থক্য হলো- মহিলাদের গলাবন্ধনীর গুটলী প্রয়োজনে সামনে বা পিছনে রাখতে পারে। তবে মহিলাদের গলাবন্ধনীর গুটলী ডান কাঁধ বা বাম কাঁধের উপর রাখাই সুন্নত। আর ক্বামীছ পূর্ণ হাতা বিশিষ্ট নিছফে সাক্ব হতে হবে। নিছফে সাক্বের নীচে প্রয়োজনে একহাত পরিমান ক্বামীছ ঝুলানো জায়িয। তবে তাদের দোপাট্টা বা স্যালোয়ার পায়ের পাতা সহ সম্পূর্ণ অঙ্গই ঢেকে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত-
مُرْهَا فَـلْتَجْعَلْ تَحْتَـهَا غِلَالَةً إِنِّيْ أَخَافُ أَنْ يَّصِفَ حَجْمَ عِظَامِهَا.
অর্থ: আপনি উনাকে নির্দেশ প্রদান করুন, যাতে উক্ত ক্বমীছের নীচে একটি গিলালাহ (সেমিজ) পরিধান করে নেয়। কেননা, আমার আশংকা হয় উক্ত পাতলা ক্বমীছ পরিধান করলে উনার শরীর বা দেহের গঠন প্রকাশ পেতে পারে। (মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে বাযযার-৭/৩০, মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা-১/ ১২৬)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত ক্বমীছ যদি এমন পাতলা হয়, যার দ্বারা দেহের গঠন অনুভব করা যায়, তাহলে উক্ত ক্বমীছের নীচে গিলালাহ বা সেমিজ পরিধান করা আবশ্যক।
উড়না পরিধান করা পবিত্র সুন্নত মুবারক
এই বিষয়ে যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلْيَضرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُـوْبِـهِنَّ
অর্থ: মহিলারা অবশ্যই যেন তাদের গলা ও বক্ষদেশ উড়না দ্বারা ঢেকে নেয়। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ -৩১)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَّادِسَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْـهَا وَهِيَ تَخْتَمِرُ فَـقَالَ لَيَّةً لَا لَيَّـتَـيْنِ.
অর্থ: হযরত উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস-সাদিসা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা আমার নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। এমতাবস্থায় আমি উড়না মুবারক পরিহিতা অবস্থায় ছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, এক প্যঁাচ দেয়াই যথেষ্ট, দু প্যাচ দিতে হয়না। (আবূ দাউদ শরীফ)
(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)