মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-১৩) (৩৮তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে)

সংখ্যা: ৩০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া মুবারক পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পুরুষ ও মহিলাদের সুন্নতী ক্বমীছে গলাবন্ধনী ও গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশটি বুকের উপর হওয়া ই পবিত্র সুন্নত

جيب (জেব) শব্দটি এক বচন, বহু বচনে جُيُـوْبٌ (জুয়ূবুন)। তাফসীর, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ ও ফিক্বাহ ও লোগাতের কিতাব সমূহে জেবের যে সকল সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তাহলো: প্রথমে ক্বমীছ পরিধান করতে মাথা প্রবেশ করার জন্য যা ব্যবহার করা হয়। তারপর গলাবন্ধনীকে একটি গুটলী দ্বারা আটকিয়ে দেয়া হয়। অথবা ক্বমীছ পরিধান করতে যে স্থান দিয়ে মাথা প্রবেশ করা হয় সেটাই জেব। অথবা বলা হয়েছে ক্বমীছ পরিধান করতে মাথা প্রবেশ করার জন্য যে স্থান বা খোলা অংশ ব্যবহার করা হয় সেটাই জেব ইত্যাদি।

উল্লেখ্য যে, ক্বমীছ পরিধান করতে মাথা প্রবেশ করাতে শুধু গলাবন্ধনীই ব্যবহার করা সম্ভব নয়। বরং গলাবন্ধনীর সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশটিও ব্যবহার করা আবশ্যক।

জেব শব্দের উল্লেখিত অর্থ ও সংজ্ঞার কারণে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত জেব/জুয়ূব শব্দ মুবারক উনার কোনটি দ্বারা গলাবন্ধনী উদ্দেশ্য, কোনটি দ্বারা গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশ উদ্দেশ্য, কোনটি দ্বারা গলাবন্ধনী এবং গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশ উভয়টি উদ্দেশ্য, এ বিষয়ের সঠিক সমাধান দেয়া থেকে অধিকাংশেই এড়িয়ে গেছেন।

যার কারণে পুরুষ ও মহিলাদের সম্মানিত সুন্নতী ক্বমীছ মুবারক উনার গলাসংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশটি বুকের উপর হবে? নাকি কাঁধের উপর হবে? এ নিয়ে চরম দ্বিধা ও বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছেন প্রায় সকলেই।

তাছাড়াও, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত جيب (জেব) শব্দ মুবারক নিয়ে নজীরবিহীন ইখতিলাফের মধ্যে যারা সমাধান মূলক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। উনারাও পুরুষ ও মহিলাদের جيب (জেব) শব্দ মুবারক উনার সঠিক অর্থ ও জেবের স্থান সম্পর্কে সঠিক সমাধান দিতে যেমন ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি কেউ কেউ কঠিন বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে ধারাবাহিকভাবে উক্ত দ্বিধা-দ্বন্দ ও বিভ্রান্তির নিরসনমূলক দলীল ভিত্তিক আলোচনা করা হলো:

জেব শব্দ মুবারক উনার পরিচয় ও  বিশ্লেষণ

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে জেব শব্দ মুবারক দ্বারা যেহেতু দু’টি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে; তাহলো গলা এবং বক্ষ। সেহেতু উক্ত গলা ও বক্ষ দ্বারা কি ক্বমীছের গলা উদ্দেশ্য? নাকি ক্বমীছে বুকের ফাঁড়া অংশটি উদ্দেশ্য? তা নিয়েও সমস্ত তাফসীর, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহের কিতাব সমূহে যেমন কঠিনতর ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়েছে, তার চেয়ে বেশী বিভ্রান্তি হয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের ক্বমীছের ফাঁড়া অংশটি বুকের উপর হবে, নাকি কাঁধের উপর হবে এ বিষয়ে।

মূলত: পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই সুন্নতী ক্বমীছের গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশটি বুকের উপরেই হবে এবং এটাই পবিত্র সুন্নত মুবারক অন্তর্ভুক্ত। উক্ত বিষয় সমূহ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার জেব, জুরুব্বান এবং ফুতহা এর পরিচয়

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলা বন্ধনী এবং গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশ, দুটিকে একত্রে জেব বলা হয়েছে। এবং গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট নীচের ফাঁড়া অংশটিকেও এককভাবে জেব বলা হয়েছে। আর পবিত্র হাদীছ শরীফে আলাদাভাবে গলাবন্ধনীকে জুরুব্বান বা জিরিব্বান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বিভিন্ন তাফসীর ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগ্রন্থ, ফিক্বাহ এবং লোগাতসমূহে গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট নীচের ফাঁড়া অংশটিকে ফুতহা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলা বন্ধনী এবং গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশ দুটিকে

একত্রে জেব বলা হয়

যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ

অর্থ: মহিলারা যেন তাদের গলা ও বক্ষদেশ উড়না দ্বারা ডেকে নেয়। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-৩১)

উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে جُيُوب (জুয়ূব) শব্দ মুবারক উনার দ্বারা মহিলাদের গলা ও বক্ষ এই দু’টি স্থানকে উড়না দ্বারা ঢেকে রাখার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। যার দ্বারা এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে, জেব বলতে গলা ও বক্ষকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। যার কারণে গলা ও বক্ষ উভয়টিকে জেব বলা হয়।

সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশকে এককভাবে জেব বলা হয় এবং তা বক্ষের দিকে হওয়াটাই পবিত্র সুন্নত

জেব শব্দ মুবারক দ্বারা সুন্নতী ক্বমীছ উনার বক্ষের উপর ফাঁড়া অংশকেও এককভাবে জেব বলা হয়। জেব বলতে গলাবন্ধনীর নীচের ফাঁড়া অংশটি যে বক্ষের উপরে হবে এই বিষয়ে একটি দলীল হলো: পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে- হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সকল মু’জিজা শরীফ দান করেছেন, তন্মধ্যে একটি হলো: তিনি উনার সম্মানিত হাত মুবারক উনাকে উনার পরিহিত ক্বমীছ মুবারক উনার বক্ষের ফাঁড়া অংশ দিয়ে উনার বগল মুবারকে প্রবেশ করিয়ে বের করলেই তা পবিত্র বিচ্ছুরিত শুভ্র নূর হয়ে বের হয়ে আসত। এ বিষয়ে

যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

أَدْخِلْ يَدَكَ فِيْ جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَـيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوْءٍ

অর্থ: আপনি আপনার হাত মুবারক পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ মুবারক উনার বুকের ফাঁড়া অংশে প্রবেশ করিয়ে দিন। তা পবিত্র বিচ্ছুরিত শুভ্র নূর হয়ে বের হয়ে আসবে। (সম্মানিত  ও পবিত্র সূরা নমল শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-১২)

يعني أَدْخِلْ يَدَكَ بسهولة

অর্থাৎ: আপনি আপনার হাত মুবারক সহজভাবে প্রবেশ করান।

যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اُسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَـيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ

অর্থ: আপনি আপনার হাত মুবারক পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ মুবারক উনার বুকের ফাঁড়া অংশে প্রবেশ করিয়ে দিন। তা ত্রুটিমুক্ত বিচ্ছুরিত শুভ্র নূর হয়ে বের হয়ে আসবে। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বাছাছ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩২)

উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বয়ে পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলাবন্ধনীর নীচের ফাঁড়া অংশকে এককভাবে জেব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, জেব বলতে সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট নীচের ফাঁড়া অংশটি বক্ষের উপর হওয়াই পবিত্র সুন্নত। কেননা, বক্ষস্থিত ফাঁড়া অংশ ব্যতিত বগলের নীচে হাত প্রবেশ করানো সম্ভব নয়।

পবিত্র আয়াত শরীফ দু’টিতে উল্লেখিত أَدْخِل يدك এবং واسْلُك يدك এর মধ্যে পার্থক্য:

তাফসীরুশ শা’রাভী ১৭ খণ্ড, ১০৭৪৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

فما الفرق بين: أَدْخِل يدك، واسْلُك يدك؟ قالوا: لأنه ساعة يُدخِل يده في جيبه  يعني: في فتحة القميص، إنْ كانت فتحة القميص مفتوحة أدخل يده بسهولة فيُسمّى (إدخال) .فإن كانت مغلقة (فيها أزرار مثلاً) احتاج أنْ يسلك يده يعني: يُدخلها برفق ويُوسِّع لها مكاناً

অর্থ: অত:পর, أَدْخِل يدك এবং واسْلُك يدك এই দু’টি বাক্য মুবারক উনার মধ্যে পার্থক্য কি? মুফাস্সিরে কিরামগণ উনারা বলেন, নিশ্চয়ই হাত মুবারক জেবের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য সময়ের প্রয়োজন অর্থাৎ জামার গুটিলী যদি খোলা থাকে সহজভাবে হাত মুবারক প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে إدخال শব্দ ব্যবহৃত হয়। আর জামার গুটলী যদি বন্ধ থাকে, তাহলে হাতকে কোমলভাবে প্রবেশ করাতে তার জন্য জায়গা প্রশস্ত করার প্রয়োজন হয়, সে কারণে জামার গুটলী যদি বন্ধ থাকে তাহলে হাতকে কোমলভাবে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে اسْلُك শব্দ ব্যবহৃত হয়।

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার উল্লেখিত দু’টি পবিত্র আয়াত শরীফ أَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ এবং اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ  দ্বারা পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলা সংশ্লিষ্ট নীচের  ফাঁড়া অংশ বুকের উপর হওয়া সুন্নত প্রমণিত

 তাফসীরু মাক্বাতিল ইবনি সুলাইমান ৩ খণ্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

اسْلُكْ يعني أدخل يَدَكَ اليمنى فِي جَيْبِكَ فجعلها في جيبه من قبل الصدر

অর্থ: وَاسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ অত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ হলো- হে কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম আপনি আপনার ডান হাত মুবারক আপনার পরিহিত সুন্নতী ক্বমীছ উনার জেবে প্রবেশ করুন। যে জেব তৈরী করা হয়েছে বুকের দিকে।

আত-তা’লীকু আলা-তাফসীরিল কুরত্বুবী- ১৭ খণ্ড, ২২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِك……الجيب التي في الصدر

অর্থ: وَاسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ …..অত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে জেব অর্থ ঐ জেব, যে জেব বুকের মধ্যে রয়েছে।

আত-তাফসীরুল মুইয়াসসার- ১ম খণ্ড, ৩৮৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

أدخل يدك في فتحة قميصك المفتوحة إلى الصدر

অর্থ: وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ অত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ হলো- আপনি আপনার হাত মুবারক আপনার পরিহিত সুন্নতী ক্বামীছ উনার ফাঁড়া অংশে প্রবেশ করুন। যে ফাঁড়া অংশ বক্ষের দিকে রয়েছে।

আত-তাফসীরুল ওয়াসীত্ব লি-ত্বনত্বভী- ১০ খণ্ড, ৪০৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

أدخل يدك يا حَضْرَتْ كَلِيْمَ الله (مُوسٰى) عَلَيْهِ السَّلَامُ في فتحة ثوبك

অর্থ: وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ অত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ হলো- হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম আপনি আপনার হাত মুবারক আপনার পরিহিত সুন্নতী ক্বামীছ উনার ফাঁড়া অংশে প্রবেশ করুন।

সিলসিলাতুত তাফসীর লি-মুসÍফা আ’দওয়া-১০ খণ্ড, ৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ- فهو فتحة الصدر

অর্থ: وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ অত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে জাইবুন (جَيْب) অর্থ হলো সুন্নতী ক্বামীছ উনার বক্ষস্থিত ফাঁড়া অংশ।

আইসারুত তাফাসীর ৩০৫৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

أمَرَ اللهُ تَعالى حَضْرَتْ كَلِيْمَ الله (مُوسى) عَلَيْه السَّلَام بأنْ يُدْخِلَ يدَهُ في فَتْحَةِ الصَّدْرِ مِنْ ثَوْبِهِ (جَيْبهِ)

অর্থ: وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ অত্র আয়াত শরীফে যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার পরিহিত ক্বামীছ মুবারক উনার বক্ষের ফাঁড়া অংশে হাত মুবারক প্রবেশ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (১২)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (১৩) 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩৪তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬১তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩৬)