৩৩তম ফতওয়া হিসেবে
“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
১১১
বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের নব্য দালাল নাছীরুদ্দীন আল বানী ও জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক!
পূর্বেই বলা হয়েছে, লামাযহাবীদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সকলেই তৎকালীন ইংরেজ সরকারের দালাল ও গোলাম ছিলো। ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের স্বাধীনতা আন্দোলনে ফাটল সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ইংরেজ সরকারই এই মতবাদটি দাঁড় করিয়েছিলো। ইংরেজ সরকার নিজেই তাদের জন্য ‘আহলে হাদীছ’ নামটি বরাদ্দ দেয়। উলামায়ে হাক্কানী-রব্বানী উনাদের সীমাহীন ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময়ে ইংরেজ বেনিয়ারা এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ইংরেজদের পতনের সাথে সাথে তাদের মদদপুষ্ট ‘আহলে হাদীছ’ মতবাদটিও প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের আকাবিরগণ পৃথকভাবেও এই মতবাদের বিরুদ্ধে জোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। উনাদের সীমাহীন কুরবানীর ফলে কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত লা মাযহাবী ফিতনাটির দরজা প্রায় বন্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের অবহেলার সুযোগে তারা আবার নতুন করে মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। এতো দিন তারা গর্তে লুকিয়ে ছিল, এখন বের হয়ে মাযহাবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
এক্ষেত্রে যারা নিকৃষ্ট ভূমিকা পালন করেছে, তাদের অন্যতম হলো- নাছীর উদ্দীন আলবানী। এর মাধ্যমেই আরব বিশ্বে বিষাক্ত মতবাদটি বিস্তার লাভ করেছে। সে হাদীছ বিষয়ে আরবী ভাষায় বেশ কিছু বিতর্কিত বই-কিতাব সংকলন করেছে। ফলে মৃতপ্রায় লা মাযহাবী ফিতানাটি নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আরব দেশ সহ আরো অনেক দেশে।
বর্তমানে লা মাযহাবী মতবাদের হাল ধরেছে কথিত চিকিৎসক জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক। বর্তমানে সে ইসলামী কথিত বিশেষজ্ঞ ও সংবাদ মাধ্যমে বক্তা। সে স্পষ্টরূপে লা মাযহাবী মতবাদের দালালী করে যাচ্ছে এবং মাযহাবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান অবলম্বন করেছে। ফলে লা মাযহাবীরা কাফির নায়েককে নিজেদের মান্যবর হিসেবে বরণ করে নিয়েছে। নিম্নে নাসির উদ্দীন আলবানী এবং কাফির নায়েকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো-
আলবানী পরিচিতি
নাসির উদ্দিন আলবানীর বাড়ি সিরিয়ার আলবেনিয়া নামক স্থানে। তার পিতা নুহ নাজাতী হানাফী মাযহাবের শীর্ষ আলেমে দ্বীন ছিলেন। ছেলের বিতর্কিত আচরণে অধৈর্য হয়ে ছেলেকে অবাধ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। সিরিয়ার জনগণ এই আলবানীকে বিতর্কিত মতবাদের কারণে সিরিয়া থেকে বের করে দেয়। তারপর সে সৌদি আরবে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে সৌদির আলেম-ওলামা ও জনসাধারণ তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন। ফলে সরকারী নির্দেশে ১৯৯১ সালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সে আরবভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়। সেখান থেকে পালিয়ে সে জর্দানে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করে।
আলবানী অনেক বিতর্কিত কিতাব ও রাসায়েল লিখেছে। তার কোন নিয়মতান্ত্রিক উস্তাদ ছিল না। সে ইহুদী ওহাবীদের মদদে পুষ্ট হয়ে কথিত গবেষণা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে যা বুঝেছে তা-ই লিখেছে। তার লিখিত অন্যতম একটি কিতাব হচ্ছে- ‘সিলসিলাতুল আহাদীসিয যায়ীফাহ ওয়াল মাউযুআহ’। এই গ্রন্থে সে ‘জয়ীফ’ হাদীছের সাথে ‘মাউযু’ হাদীছও উল্লেখ করেছে এবং উভয়টিকে একাকার করে ফেলেছে। অথচ জঈফ এবং মাউযু হাদীছের মাঝে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ‘মাউযু’ তো হাদীছ শরীফই নয়; বরং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা। পক্ষান্তরে হাদীছ শরীফ কখনো জঈফ হয় না বরং সনদ ছহীহ, হাসান, জঈফ ইত্যাদি হয়ে থাকে। আলবানীর এই চক্রান্তের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর অন্তরে জঈফ হাদীছ শরীফের ব্যাপারে অবিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছে এবং জঈফ-মাউযু একই স্তরের বলে ভুল ধারণা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ছহীহ-জঈফ-হাসান’ ইত্যাকার পরিভাষাগুলো হচ্ছে সনদের ছিফত। হাদীছ শরীফ উনার ছিফত নয়। এগুলো দ্বারা সনদের অবস্থা বুঝানো হয়।
বর্তমান আরব বিশ্বেও আলবানীর বিরুদ্ধে বহু কিতাব লেখা হয়েছে। তন্মধ্যে ‘তানাকুযাতে আলবানী’ নামক কিতাবটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। লেখক এই কিতাবে আলবানীর স্ববিরোধী কাজ-কর্মগুলো দায়িত্বের সাথে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, আলবানী কোন একটি হাদীছ তার মতের স্বপক্ষে হওয়ায় সেটাকে ছহীহ বলেছে। আবার ওই একই সনদে বর্ণিত হাদীছ শরীফ দ্বারা যখন তার প্রতিপক্ষ দলীল দিয়েছেন, তখন সেটাকে নির্দ্বিধায় জঈফ বলে দিয়েছে। এ জাতীয় বহু ঘটনা ওই কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরো বহু কিতাব তার বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে এবং লেখকগণ তার ভ্রান্ত মতবাদের চিত্র চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। যার সারাংশ হলো- আলবানী হাদীছ গবেষণার ক্ষেত্রে কোন ধরণের নীতিমালার তোয়াক্কা করেনি। মনগড়া তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে মাযহাবের প্রতি আক্রমন করেছে এবং মুসলিম উম্মাহর মাঝে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
জাকির নায়েক পরিচিতি
ডাক নাম- জাকির নায়েক। মূল নাম- জাকির আব্দুল করীম নায়েক। ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ ইং সনে ভারতের মুম্বাই প্রদেশে তার জন্ম। সেন্টপিটার্স হাই স্কুল থেকে মেট্রিক, কৃষ্ণচন্দ্র রাম কলেজ মুম্বাই থেকে এস, এস, সি এবং মুম্বাই মেডিকেল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস. ডিগ্রি অর্জন করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সে একজন চিকিৎসক। ইসলামী মূলধারার [আরবী) শিক্ষায় সে শিক্ষিত নয়। কোন অভিজ্ঞ আলেমের নিকট শিক্ষা অর্জন করে আলেমও হয়নি। আলেম হওয়ার দাবিও করে না। ইসলাম সম্পর্কে নিজে নিজে গবেষণা করেছে বলে দাবী করে।
সে চিকিৎসকের পেশা পরিত্যাগ করে নিজেকে ইসলামের প্রচারে নিয়োগ করে। বর্তমানে সে কথিত ইসলামী স্কলার ও মিডিয়া পার্সন বক্তা। সে সামাজিক মাধ্যমসমূহে বক্তব্য দিয়ে মানব সমাজে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। তার বিভিন্ন ধর্মের তুলনামূলক আলোচনাগুলো শুনলে মনে হবে, আন্তর্জাতিক লেভেলে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নেই।
কাফির নায়েক ইসলামকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চর্চা করে। যদি কোন মুসলমান ব্যক্তিগত শিক্ষার দ্বারা ইসলামের দাওয়াতী কাজ করতে চায়, তাহলে অনুমতি রয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে-
বিজ্ঞ আলেমের পৃষ্ঠপোষকতায় করতে হবে। তবে এ পর্যায়ের কোন লোক ইসলামের ইজতিহাদী বা গবেষণালব্ধ বিষয়ে হস্তক্ষেপ/মন্তব্য বা পর্যালোচনা করার মোটেও অধিকার রাখে না। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের একচ্ছত্র অধিকার কেবলমাত্র মুজতাহিদ ইমামগণের।
কাফির নায়েক শরয়ী এই মূলনীতির ওপর দ্বীন প্রচারের শুরুলগ্ন থেকে প্রায় আট দশ বছর পর্যন্ত অবিচল ছিলো। তখন তাকে গবেষণালব্ধ কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে স্পষ্টভাষায় জাবাব দিতো- এটা আমার বিষয় নয়, আমাকে আমার বিষয়ে প্রশ্ন করুন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কাফির নায়েক এই নীতির ওপর শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকতে পারেনি। অবশেষে সে বিজ্ঞ আলেম না হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের গবেষণালব্ধ বিষয়ে অবিরাম মত প্রকাশ করা শুরু করলো। অথচ এটি তার কাজ নয় এবং তার ক্ষমাতাধীনও নয়।
যখন থেকে কাফির নায়েক ইজতিহাদী বিধানের মধ্যে অনধিকার হস্তক্ষেপ করতে শুরু করলো, তখনই হক্কানী উলামায়ে কিরামের নিকট তার মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেলো। ফলে চতুর্দিক থেকে তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হলো। আরব বিশ্বে তার বিরুদ্ধে বই লেখা হলো। বাংলাদেশ-হিন্দুস্থানেও অনেক পুস্তিকা প্রকাশ পেল। বর্তমানে কাফির নায়েক স্পষ্টরূপে “আহলে হাদীছ” মতবাদের দালালী করছে। মাযহাবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। ফলে লা মাযহাবীরা তাকে নিজেদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম বলেন যে, “জাকির নায়েক আসলে কাফির নায়েক।” যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘দৈনিক আল ইহসান শরীফ’ ও ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ উনাদের মধ্যেও তাকে কাফির নায়েক আখ্যা দেয়া হয়।
তখন কেউ কেউ বিষয়টি মেনে নিতে না পারলেও এখন সকলেই জাকির নায়েকের ‘কাফির’ হওয়ার ব্যাপারে একমত। আমাদেরকে অনুসরণ করে এখন অনেকেই তাকে কাফির ফতওয়া দিচ্ছে।
বলা হয়, পৃথিবীর প্রায় ৫০০ ইসলামী প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে। আর তা বাস্তব ও দলীলসম্মতও বটে। কারণ, তার বক্তব্য ও প্রকাশনার মাধ্যমে তার কাফির হওয়ার হাজারো প্রমাণ বের হয়ে এসেছে। তার হাজারো কুফরী বক্তব্য ও লিখনী থেকে নিম্নে কতিপয় কুফরী বক্তব্য ও লিখনী তুলে ধরা হলো-
১. ‘রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারে।’ নাউযুল্লিাহ! (জাকির নায়েক: লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-২, ১৬২ পৃষ্ঠা)
www.youtube.com/watch?v=Ngg_Ygff1N4
২. ‘পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ব্যাকরণগত ভুল আছে।’ নাউযুবিল্লাহ! (জাকির নায়েক: লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-১, ৫১২ পৃষ্ঠা)
www.youtube.com/watch?v=ZtfrJ6prJQo
৩. ‘ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া যাবে।’ নাউযুবিল্লাহ! (জাকির নায়েক: লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-২, ৬২৬ পৃষ্ঠা)
www.youtube.com/watch?v=RaMwSNWFhyI
৪. সে ‘ইয়াজিদের নামের সাথে ‘রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু [Peace Be Upon Him] এই পবিত্র বাক্য ব্যবহার করে থাকে।’ নাউযুবিল্লাহ!
www.youtube.com/watch?v=1mMQbR_48IU
৫. ‘হিন্দুদের বেদ মহান আল্লাহ পাক উনার বাণী হতে পারে।’ নাউযুবিল্লাহ! (জাকির নায়েক: লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-২, ১৬২ পৃষ্ঠা)
৬. ‘ইসলামে ৪ জন মহিলা নবী ছিলো।’ নাউযুবিল্লাহ! (ভলিয়ম-১, ৩৫৫ পৃষ্ঠা)
৭. ‘সম্মানিত মাযহাব উনার ৪ জন ইমামই ভুল করেছেন।’ নাউযুবিল্লাহ! (ভলিয়ম-৫, ৯২ পৃষ্ঠা)
৮. মহান আল্লাহ পাক উনাকে বিষ্ণু ও ব্রাহ্ম নামে ডাকা যাবে।’ নাউযুবিল্লাহ! (ভলিয়ম-১, ২৬৫ পৃষ্ঠা)
৯. ‘নূরে মুজসাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী নন। হায়াতুন নবী হলে দাফন করা হলো কেন?’ নাউযুবিল্লাহ! (ভলিয়ম-৯৫, ৯৫ পৃষ্ঠা)
১০. সে হিন্দুদের ভাই বলে সম্বোধন করে এবং বলে- আমরা হিন্দু ভাইদের ভালোবাসি।’ নাউযুবিল্লাহ! (concept of God in Major religions-from the CD-ÓPresenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
১১. মহান আল্লাহ পাক উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। যেমন তিনি লম্বা বেটে মানুষ তৈরি করতে অক্ষম।’ নাউযুবিল্লাহ! (সুত্র: Is Quraan Word of God, from the CD Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
১২. মুসলমান উনাদের জন্য দাড়ী রাখা ফরয নয়, সুন্নত। নাউযুবিল্লাহ! (Muhammed in various world religious scriptures – from the CD-Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
১৩. ‘হুর’ শব্দ দ্বারা মহিলা ও পুরুষ উভয়কেই বুঝানো হয়েছে। জান্নাতী মহিলারা পুরুষ হুর পাবেন। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র-১, পৃষ্ঠা-৩৫৯)
১৪. মহিলাদের মুখে নেকাব দেয়া ফরয নয় এবং চেহারা ঢেকে রাখা আবশ্যক নয়। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র-১-১৪, পৃষ্ঠা-১৭৫)
১৫. জুমুয়ার খুতবা আরবী হওয়া জরুরী নয়। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র-৪, পৃষ্ঠা-২৩৯)
১৬. তারাবীহ নামায যত খুশি তত পড়তে পারবে। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র: ভলিয়ম-৫, ২৪৭ পৃষ্ঠা)
১৭. যারা হিন্দুস্থানে বাস করে তারা সকলেই হিন্দু। কাজেই আমাকে হিন্দু বলতে পারেন। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-২, ৩৬৯ পৃষ্ঠা)
১৮. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামায পড়া জায়িয। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-৪, ২৩৪ পৃষ্ঠা)
১৯. মাযহাব মানা জরুরী নয়। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক চললেই হয়। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম-৫, ১০২ পৃষ্ঠা)
২০. পুরুষ ও মহিলাদের নামাযে কোনো পার্থক্য নেই। নাউযুবিল্লাহ! (লেকচার সমগ্র, ভলিয়ম-৪, ২৪৫ পৃষ্ঠা)
২১. কাফির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না। সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probability) দ্বারা বিশ্বাস করে। (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক) (সূত্র: Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- ÍÓPresenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২২. কাফির নায়েক সে ‘পবিত্র সুরা ত্ব-হা শরীফ’ উনার ২৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ বিকৃত করে বলেছে- “হে আল্লাহ পাক! আমার মস্তিস্ককে (কেন্দ্র) প্রশস্ত করে দিন।” সে আরবী ‘ছদর’ শব্দের অর্থ করেছে ‘মস্তিস্ক’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, বর্তমান বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে ক্বলব নয়; বরং মস্তিস্কই সকল চিন্তা শক্তির উৎস। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Is Quraan Word of God, from the CD-Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions -Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৩. কাফির নায়েক সে তার এক লেকচারে বলেছে যে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত রসূল ছিলেন এবং একই সাথে উনারা দুনিয়ার রাজা ছিলেন।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Similarities between Islaam and Christianity- from the CD-Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৪. কাফির নায়েক সে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার সাথে কবির দাস (ভারতের তথাকথিত এক মুসলমান যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মকে এক করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল) এর শ্লোকের তুলনা করছে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (concept of God in major religions- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৫. কাফির নায়িককে প্রশ্ন করা হয়েছিল সে কেন বিধর্মীদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে থাকে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনেক বিষয়ে ব্যাখা করার চেষ্টা করে। সে বলেছিল বিধর্মীরা পবিত্র কুরআন শরীফ বিশ্বাস করে না। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Muhammed in various world religious scriptures–Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৬. কাফির নায়েক সে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৩ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ তৈরী করেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Salaah- The programming towards righteousness- Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৭. কাফির নায়েক নাস্তিকদের স্বাগত জানায় কারণ তারা কালিমা শরীফ এর প্রথম অংশ “লা ইলাহা” অথাৎ “কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- Í”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৮. কাফির নায়েক চরম মুর্খতা জাহির করে বলেছে, যে কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তা উনার কালাম? তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব। (নাউযুবল্লিাহ মনি যালকি) (Symposium- religion in the right perspectiveÍÍ” Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions–Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
২৯. কাফির জাকির নায়েক সে বলেছে যে, মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে মুল পার্থক্য হলো মুসলমান বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার অর্থাৎ everything is God‘s অন্যদিকে হিন্দুরা বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ everything is God (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) (Universal brotherhood- ÍÍ ÓPresenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
৩০. কাফির নায়েক পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৫৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত ..বরং তারা জীবিত” এর অর্থ হলো পরকালে তারা আবার জীবিত হবে (পুনরুত্থান) এবং তাদের পুরষ্কৃত করা হবে। (নাউযুবল্লিাহ মিন যালিক) (Terrorism & Jihaad- an islaamic perspective- released by Peace Center) কাফির নায়েক সে আরো বলেছে-
৩১. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওজা মুবারকে সশরীরে মৃত। নাউযুবিল্লাহ!
৩২. হায়েয-নেফাস ঋতুবর্তী মহিলারা অর্থাৎ স্বাভাবিক মাজুর ও সন্তান হওয়ার কারণে মাজুরতা মহিলারা পবিত্র কুরআন শরীফ পড়তে পারবে। নাউযুবিল্লাহ!
৩৩. পবিত্র ঈদ উনার দিন পবিত্র জুমুআর নামায পড়া লাগে না। নাউযুবিল্লাহ!
৩৪. পবিত্র তারাবীহ নামায ও পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায এক-ই নামায। নাউযুবিল্লাহ!
৩৫. পবিত্র তারাবীহ নামায শুধু ৮ রাকায়াত আদায় করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!
৩৬. ফজরের আযানের পরও সাহরী খাওয়া যাবে।
৩৭. এক সাথে ৩ তালাক দিলে ১ তালাক হবে।
৩৮. খ্রিষ্টান শার্ট-প্যান্ট-টাই-কোর্ট এইগুলো নামায আদায়ের সবচাইতে উত্তম পোষাক। নাউযুবিল্লাহ!
৩৯. কাকড়া ও কচ্ছপ খাওয়া হালাল। নাউযুবিল্লাহ!
৪০. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একাধিক বিবাহ ছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। নাউযুবিল্লাহ!
৪১. ক্বাযা নামায পড়া লাগে না। নাউযুবিল্লাহ!
৪২. কাফির শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে পার্থক্যটা শুধু মাত্র ‘রাজনৈতিক, আক্বীদা গত নয়। নাউযুবিল্লাহ!
৪৩. শিয়া এবং সুন্নিদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নাউযুবিল্লাহ!
৪৪. টিভিতে কার্টুন ছবি দেখা জায়িয। নাউযুবিল্লাহ!
এরকম হাজারো সুস্পষ্ট কুফরী ও ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী হওয়ার পরও কি তার ভক্তরা তাকে অন্ধের মত অনুসরণ করে বেঈমান হয়ে জাহান্নামের পথ ধরবে?
অতএব, সকলের উচিত- সময় থাকতে খালিছ তওবা করে ফিরে আসা। আলবানী ও কাফির নায়েকের ফিতনা হতে নিজে সুরক্ষিত থাকা এবং অধীনস্তদেরকে সুরক্ষিত রাখা। নচেৎ জাহান্নামে যাওয়া ব্যতীত কোনো গত্যন্তর থাকবে না।
(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)