(৩৬তম ফতওয়া হিসেবে)
“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খেদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতিপয় সুওয়াল-জাওয়াব
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতিপয়
সুওয়াল-জাওয়াব
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
সুওয়াল-১০
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জমি রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী-বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে স্থানান্তর করা জায়িয আছে কি?
জাওয়াব: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জমি রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী-বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে স্থানান্তর করা জায়িয নেই। কারণ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জমি বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জন্য ওয়াকফকৃত জমি উনার একমাত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। এখানে যদি কখনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ ঘর মুবারক নাও থাকে, তারপরেও জমিটি কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জমি হিসেবেই থাকবেন এবং তা মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত মসজিদ মুবারক হিসেবে সংরক্ষণ করা ফরয। ব্যতিক্রম করা কাট্টা কুফরী। উক্ত স্থানে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ইত্যাদি করা, উক্ত জমি স্থানান্তর বা বিক্রি করা, পরিবর্তন করা কখনোই জায়িয হবে না; বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী হবে।
এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহের বিখ্যাত কিতাব ‘ফতওয়ায়ে আলমগীরীর’ মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
وَلَوْ كَانَ مَسْجِدٌ فِـىْ مَـحَلَّةٍ ضَاقَ عَلٰى اَهْلِهٖ وَلَا يَسَعُهُمْ اِنْ سَاَلَـهُمْ بَـعْضُ الْـجِيْـرَانِ اَنْ يَّـجْعَلُوْا ذَالِكَ الْـمَسَجِدَ لَهٗ لَـيَدْخُلُهٗ فِـىْ دَارِهٖ وَيُـعْطِيْهِمْ مَكَانَهٗ عَرْضًا مَا هُوَ خَيْـرٌ لَهٗ فَـيَسَعُ فِيْهِ اَهْلُ الْـمَحَلَّةِ قَالَ مُحَمَّدٌ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَا يَسَعُهُمْ ذَالِكَ كَذَا فِـى الذَّخِيْـرَةِ
অর্থ: “যদি কোনো মহল্লায় এমন একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক থাকেন, যা মহল্লাবাসীদের জন্য সংকীর্ণ হন এবং তাদের স্থান সংকুলান না হয়, (আর তারা উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার আয়তন বৃদ্ধি করতে সক্ষম না হয়,) আর এই কারণে কোনো প্রতিবেশী যদি তাদের নিকট আবেদন করে যে, তারা যেন উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা তার অধিকারভুক্ত করে দেয়, যাতে করে সে ব্যক্তি তা আপন বাড়ির অন্তভুর্ক্ত করে নিতে পারে। আর উনার পরিবর্তে সে ব্যক্তি তাদেরকে তদাপেক্ষা একটি উৎকৃষ্ট স্থান প্রদান করবে, যার মধ্যে মহল্লাবাসী সবার (নামাযের) স্থান সংকুলান হবে। হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এরূপ করাটা তাদের জন্য জায়িয হবে না। ‘জখীরাহ্’ কিতাবেও অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২/৪৪৪)
‘ফতওয়ায়ে আলমগীরীর’ মধ্যে আরো উল্লেখ রয়েছে,
فِـىْ فَـتَاوَى الْـحُجَّةِ لَوْ صَارَ اَحَدُ مَسْجِدَيْنِ قَدِيْـمًا وَتَدَاعِىْ اِلَـى الْـخَرَابِ فَاَرَادَ اَهْلُ السّكة بِبَـيْعِ الْقَدْيْـمِ وَصَرْفِهِ الْـمَسْجِدِ الْـجَدِيْدِ فَاِنَّهٗ لَا يَـجُوْزُ اَمَّا عَلٰى قَـوْلِ اَبِـىْ يُـوْسُفَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَلِاَنَّ الْـمَسْجِدَ وَاِنْ خَرَبَ وَاسْتَـغْنٰـى عَنْهُ اَهْلُهٗ لَا يَـعُوْدُ اِلـٰى مِلْكِ الْـبَانِـىِّ
অর্থ: “ফতওয়ায়ে হুজ্জাত নামক কিতাবে রয়েছে, যদি দুইখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনাদের মধ্যে একখানা পুরাতন ও বিরাণ হয়ে যান, তখন যদি মহল্লাবাসীরা উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা বিক্রি করে উনার মূল্য নতুন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ ব্যায় করার ইচ্ছা পোষণ করে, নিশ্চয়ই তা জায়িয হবে না। হযরত ইমাম আবূ ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতানুসারে যদিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা বিরান (বা ধ্বংস) হয়ে যান এবং লোকেরা তা আর ব্যবহার না করে, তারপরেও তা নির্মাতার মালিকানায় ফিরে যাবেন না।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২/৪৪৫)
উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ রয়েছে,
وَالْفَـتْـوٰى عَلٰى قَـوْلِ اَبِـىْ يُـوْسُفَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اِنَّهٗ لَايَـعُوْدُ اِلـٰى مِلْكِ مَالِكٍ اَبَدًا كَذَا فِـى الْـمُضْمِرَاتِ
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতের উপরই ফতওয়া। উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক কখনোই মালিকের মালিকানায় ফিরে যাবে না। যেমনটি ‘আল মুদ্বমিরাত’ কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২/৪৪৫)
অর্থাৎ কারো পক্ষেই উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক বিক্রি বা স্থানান্তর করার অধিকার নেই। কারণ, ওয়াক্বফকৃত স্থানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক থাকুক বা না থাকুক, সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক উনার মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক সংরক্ষণ করা সকলের জন্যই ফরযে আইন। এর ব্যতিক্রম করা কাট্টা কুফরী ও হারাম।
‘ফতওয়ায়ে শামীর’ মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
(وَلَوْ خَرَبَ مَا حَوْلُهٗ الخ) اَىْ وَلَوْ مَعَ بَـقَائِهٖ عَامِرًا وَكَذَا لَوْ خَرِبَ وَلَـيْسَ لَهٗ مَا يُـعْمَرُ بِهٖ وَقَدْ اِسْتَغْـنٰـى النَّاسُ عَنْهُ لِـبِنَاءِ مَسْجِدٍ اٰخَرَ (قَـوْلُهٗ عِنْدَ الْاِمَامِ وَالثَّانِـىْ) فَلَا يَـعُوْدُ مِيْـرَاثًا وَلَا يَـجُوْزُ نَـقْلُهٗ وَنَـقْلُ مَالِهٖ اِلـٰى مَسْجِدٍ اٰخَرَ سَوَاءٌ كَانُـوْا يُصَلُّوْنَ فِيْهِ اَوْ لَا وَهُوَ الْفَـتْـوٰى
অর্থ: “যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার পার্শ্ববতীর্ স্থান বিরাণ হয়ে যান অর্থাৎ যদিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা টিকে থাকেন এবং ব্যবহারযোগ্য থাকেন; (কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার পার্শ্ববতীর্ স্থান বিরাণ হয়ে যায়) অথবা যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা ধ্বংস হয়ে যান এবং পুনর্নির্মাণের জন্য কোনো উপকরণ না থাকে এবং লোকজন অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক তৈরী করার কারণে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক থেকে বিমুখ হয়ে যায় বা নামায পড়া ত্যাগ করে থাকে, তাহলে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত ইমাম আবূ ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের মতে উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক কোনো উত্তরাধিকারীর অধিকারভুক্ত হবে না। উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ লোকজন নামায পড়–ক অথবা না পড়–ক উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক এবং উনার সম্পত্তি অন্য কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ স্থানান্তরিত করাও জায়িয হবে না। ” (ফতওয়ায়ে শামী ৪/৩৫৮)
যদি বিরান হয়ে যাওয়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকও স্থানান্তরিত করা জায়িয না হয়, তাহলে চালু বা সচল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক স্থানান্তরিত করা জায়িয হয় কিভাবে?
উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার একচ্ছত্র মালিক যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি, তাই কোনো অবস্থাতেই অন্য কারো জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জায়গা স্থানান্তরিত করা অর্থাৎ রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী-বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জায়গা স্থানান্তরিত করা জায়িয নেই; বরং হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তভুর্ক্ত। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ اَظْـلَمُ مِـمَّنْ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللهِ اَنْ يُّذْكَرَ فِـيْـهَا اسْـمُهٗ وَسَعٰى فِـىْ خَرَابِـهَا اُولٰٓئِكَ مَا كَانَ لَـهُمْ اَنْ يَّدْخُلُوْهَا اِلَّا خَآئِـفِيْـنَ لَـهُمْ فِـى الدُّنْـيَا خِزْىٌ وَّلَـهُمْ فِـى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ
অর্থ: “ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে বিরান করতে চেষ্টা করে। (অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভেঙ্গে ফেলে বা বন্ধ করে রাখে, হক্ব আদায় করে না, তা’যীম-তাকরীম করে না) তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে প্রবেশ করা জায়িয নেই। তাদের জন্য রয়েছে ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে জালালাইন শরীফ ও তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনাদের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
لَا اَحَدَ اَظْـلَمُ مِـمَّنْ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللهِ اَنْ يُّذْكَـرَ فِـيْـهَا اسْـمُهٗ
অর্থ: “ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে বড় যালিম, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক স্মরণ করতে বাধা দেয়।” (অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ বন্ধ করে রাখে, হক্ব আদায় করে না তা’যীম তাকরীম করে না) (তাফসীরে জালালাইন ১/২৪, তাফসীরে মাযহারী ১/১১৬)
‘তাফসীরে সমরকন্দী শরীফ, তাফসীরে খাযিন শরীফ ও তাফসীরে বাগবী শরীফ’ উনার মধ্যে وَمَنْ اَظْـلَمُ “ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে?” এই অংশের ব্যাখ্যায় উল্লেখ রয়েছে, وَمَنْ اَكْفَرُ “ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় কাফির আর কে?
অর্থাৎ ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে বড় কাট্টা কাফির, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে।” (অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ বন্ধ করে রাখে, হক্ব আদায় করে না, তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করে না) না‘ঊযুবিল্লাহ! (তাফসীরে সমরকন্দী শরীফ ১/৮৬, তাফসীরে খাযিন শরীফ ১/৭২, তাফসীরে বাগবী শরীফ ১/১৫৭)
‘তাফসীরে আহমাদী’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
اِنَّـهَا تَدُلُّ عَلٰى اَنَّ هَدْمَ الْمسَاجِدِ وَتَـخْرِيْــبَـهَا مَـمْنُـوْعٌ وَكَذَا الْمَنْعٌ عَنِ الصَّلٰوةِ وَالْعِـبَادَةِ وَاِنْ كَانَ مَـمْلُوْكًا لِلْمَانِعِ
অর্থ: “উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা বুঝা যায় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ধ্বংস করা বা বিরান করা নিষিদ্ধ। অনুরূপ উনার মধ্যে নামায ও ইবাদত করতে নিষেধ করাও হারাম ও কুফরী। যদিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকখানা নিষেধকারীর অধীনে থাকেন।” (তাফসীরে আহমাদী ১৬ নং পৃষ্ঠা)
দলীলসমূহ- ১. তাফসীরে ত্ববারী, ২. তাফসীরে খাযিন, ৩. তাফসীরে বাগবী, ৪. তাফসীরে মাযহারী, ৫. তাফসীরে আহমাদী, ৬. তাফসীরে সামারকন্দী, ৭. তাফসীরে জালালাইন, ৮. তাফসীরে দুররে মানছূর, ৯. তাফসীরে নিশাপুরী, ১০. তাফসীরে মাওয়ারাদী, ১১. মাজমাউয যাওয়াইদ, ১২. জামি‘উছ ছগীর, ১৩. ফাতহুল কাবীর, ১৪. জামি‘উল আহাদীছ, ১৫. কাশফুল খফা, ১৬. আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্, ১৭. কানযুল উম্মাল, ১৮. সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, ১৯. মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ্, ২০. শুআবুল ঈমান, ২১. ত্ববারানী শরীফ, ২২. ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ২৩. ফতহুল ক্বাদীর, ২৪. জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ্, ২৫. বাহরুর রায়িক, ২৬. আইনী, ২৭. ইনায়াহ্, ২৮. আইনুল হিদায়াহ্, ২৯. হিদায়াহ্ মায়াদ দিরায়াহ্, ৩০. দুররুল মুখতার, ৩১. কুদরী, ৩২. ফতওয়ায়ে দেওবন্দ ইত্যাদি।
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন