মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত

সংখ্যা: ৩০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩৬তম পর্ব)

[সমস্ত প্রশংসা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা

এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে র্ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-২৮৬), ৩৬. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৫-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-

৩৭তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে

‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক’ পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ

থেকে দলীল:

৮. সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ

এবং উনার তাফসীর বা ব্যাখ্যা

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّ شَانِـئَكَ هُوَ الْاَبْـتَـرُ

অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনার যারা শত্রু রয়েছে, তারা নির্বংশ এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সাথে সংযুক্ত ও সম্পৃক্ত উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা শত্রুতা করবে অথবা যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যেমন- এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘আদ্ দুরারুল কামিনাহ্’ নামক কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,

اِنَّ بَـعْضَ اُمَرَاءِ الْمُغُلِ تَـنَصَّرَ فَحَضَرَ عِنْدَهٗ جَـمَاعَةٌ مِّنْ كِـبَارِ النَّصَارٰى وَالْمُغُلِ فَجَعَلَ وَاحِدٌ مِّنْـهُمْ يَـنْـتَقِصُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُنَاكَ كَلْبُ صَيْدٍ مَرْبُـوْطٌ فَـلَمَّا اَكْـثَـرَ مِنْ ذٰلِكَ وَثَبَ عَلَيْهِ الْكَلْبُ فَخَمَشَهٗ فَخَلَّصُوْهُ مِنْهُ وَقَالَ بَـعْضُ مَنْ حَضَرَ هٰذَا بِكَلَامِكَ فِـىْ (سَيِّدِنَا مَوْلَانَا) مُحَمَّدٍ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) فَـقَالَ كَلَّا بَلْ هٰذَا الْكَلْبُ عَزِيْـزُ النَّـفْسِ وَاِنَّـمَا اَشَرْتُ بِـيَدِىْ فَظَنَّ اَنِّــىْ اُرِيْدُ اَنْ اَضْرِبَهٗ ثُـمَّ عَادَ اِلـٰى مَا كَانَ فِـيْهِ فَاَطَالَ فَـوَثَبَ الْكَلْبُ مَرَّةً اُخْرٰى فَـقَبَضَ عَلـٰى زَرْدَمَتِهٖ اَىْ حَلْقِهٖ فَـقَلَعَهَا فَمَاتَ مِنْ حِـيْـنِهٖ فَاَسْلَمَ بِسَبَبِ ذٰلِكَ نَـحْوُ اَرْبَعِـيْـنَ اَلْفًا مِّنَ الْمُغُلِ

অর্থ: “একবার তাতার (মঙ্গল) জাতির এক কথিত শাসক খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করে। এরপর তার বৈঠকখানায় উপস্থিত হয় কিছু কথিত প্রভাবশালী খ্রিস্টান ও মঙ্গল নেতৃবৃন্দ। তখন তাদের মধ্য থেকে এক কুলাঙ্গার

يَـنْـتَقِصُ النَّـبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

 ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কটূক্তি করতে থাকে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

وَهُنَاكَ كَلْبُ صَيْدٍ مَرْبُـوْطٌ فَـلَمَّا اَكْـثَـرَ مِنْ ذٰلِكَ وَثَبَ عَلَيْهِ الْكَلْبُ فَخَمَشَهٗ فَخَلَّصُوْهُ مِنْهُ

‘সেই সময় সেখানে একটি শিকারী কুকুর বাঁধা ছিলো। যখন ঐ অভিশপ্ত ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কটূক্তি বাড়িয়ে দেয়, তখন হঠাৎ কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে অঁাচড়ে আহত করে ফেলে। তখন লোকজন কুকুরের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে।’

এতে উপস্থিত জনতার কেউ কেউ বলে,

هٰذَا بِكَلَ امِكَ فِـىْ (سَيِّدِنَا مَوْلَانَا) مُحَمَّدٍ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)

‘এটি হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ তোমার কটূক্তির কারণে।’

তখন সে বলে, ‘না; বিষয়টি তা নয়। আসলে এই কুকুরটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আমি কুকুরের দিকে হাত তুলেছিলাম, সে ভেবেছে হয়তো আমি তাকে মারতে যাচ্ছি, তাই সে এমন করেছে।’

এরপর সে আবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কটূক্তি করতে থাকে এবং আরও বাড়িয়ে বলে। না‘ঊযুবিল্লাহ্!

فَـوَثَبَ الْكَلْبُ مَرَّةً اُخْرٰى فَـقَبَضَ عَلـٰى زَرْدَمَتِهٖ اَىْ حَلْقِهٖ فَـقَلَعَهَا فَمَاتَ مِنْ حِيْـنِهٖ

‘তখন কুকুরটি আবার ঝাঁপিয়ে পড়ে তার গলা চেপে ধরে এবং তার গলা ছিঁড়ে ফেলে দেয়। ফলে, সে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়।’

فَاَسْلَمَ بِسَبَبِ ذٰلِكَ نَـحْوُ اَرْبَعِـيْـنَ اَلْـفًا مِّنَ الْمُغُلِ

‘এই অলৌকিক ঘটনা মুবারক উনার প্রভাবে প্রায় ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) তাতার (মঙ্গল) সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ক্ববূল করেন’।” সুবহানাল্লাহ! (আদ্ দুরারুল কামিনাহ্ ৪/১৫৩)

এই সম্পর্কে আরো একখানা ঘটনা মুবারক- এক বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি নিজে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার স্বপ্নে দেখলেন, ক্বিয়ামত ক্বায়িম হয়ে গেছে। উনি হাশরের ময়দানে আছেন। উনার অনেক পিপাসা লেগেছে। উনি পানি খুঁজতেছেন। পানি পাবেন কোথায়? কে দিবে পানি? উনি চিন্তা করলেন, তাহলে সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার কাছে যাই। সেখানে গেলে যদি পানি পাওয়া যায়। উনি সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার কাছে আসলেন। এখানে এসে দেখেন সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি বণ্টনকারী হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা। আর মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি (ওলীআল্লাহ) উনি উনাদের কাছে গিয়ে বললেন, আমাকে দয়া করে পানি দান করুন। আমার তো পিপাসা লেগেছে। উনারা কোনো গুরুত্বই দিলেন না, বুযূর্গ ব্যক্তির কোনো কথাই শুনলেন না। এরপর বুযূর্গ ব্যক্তি অনেক কাকুতি-মিনতি করলেন। কিন্তু উনারা কোনো গুরুত্ব দিলেন না। যখন সেই বুযূর্গ ব্যক্তি দেখলেন যে, এখানে তো কাজ হবে না। পানি তো পাওয়া যাবে না। তাহলে কী করা যেতে পারে? তখন ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি চিন্তা করলেন, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে যাই। উনি তো রহমাতুল্লিল আলামীন, যদি উনি দয়া করে পানি দেন। ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, আমি গিয়ে দেখলাম সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার এক পাশে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন। উনি এক জায়গায় একটা আসন মুবারক-এ বসে আছেন।’ আমি সালাম দিলাম। সালাম দিয়ে বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার তো অনেক পিপাসা লেগেছে। আমি সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি চেয়েছিলাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের নিকট। কিন্তু উনারা আমাকে পানি দেননি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুনলেন। শুনে বুযূর্গ ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোমাকে কি করে পানি দেওয়া যেতে পারে? অর্থাৎ তোমাকে পানি দেওয়া যাবে না। কারণ, তোমার একটা প্রতিবেশী রয়েছে, সে ইমামুল আউওয়াল হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার শত্রু, উনার বিদ্বেষী। সে উনার বিরুদ্ধে নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে থাকে, উনার শান-মান মুবারক উনার খেলাফ কথা-বার্তা বলে থাকে। তুমি তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করোনি। কেন তুমি তার ব্যবস্থা নিলে না? এখন তুমি সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি পাবে না।’ ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিব; সে তো একটা গুণ্ডা প্রকৃতির লোক। আমি কিছু বলতে গেলে সে আমাকে শহীদ করে ফেলবে। এজন্য আমি কিছু বলতে পারি না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ঠিক আছে। তাহলে এক কাজ করো। উনি নিজ থেকে একটা ছুরি মুবারক দিয়ে আমাকে বললেন, ‘তুমি এই ছুরি মুবারকটা নিয়ে এখনই যাও। যেয়ে ঐ লোকটাকে হত্যা করে আসো। তাকে যদি হত্যা করে আসতে পারো, তাহলে তোমাকে সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি দেওয়া হবে।’ ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তখন ছুরিটা নিলাম। নিয়ে কুদরতীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত মুবারক-এ আমি ঐ লোকের বাড়িতে পেঁৗছলাম। পেঁৗছে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখেছি। তখন আমি তাকে উক্ত ছুরি মুবারক দিয়ে জবেহ করে দিয়েছি, হত্যা করে ফেলেছি। কিন্তু ছুরি মুবারকটা ওখানে ফেলে এসেছি। তাকে হত্যা করার সময় কয়েক ফেঁাটা রক্তের ছিটা আমার কাপড়ে লেগেছিল। আমি তাকে হত্যা করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বলেছি, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ঐ কাফিরটাকে হত্যা করে এসেছি।’ তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে; যাও। এখন তোমাকে সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি দেওয়া হবে।’ বুযূর্গ ব্যক্তি বলতেছেন, ‘আমাকে তখন এক পেয়ালা সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার পানি দেওয়া হলো। আমি পান করেছি কিনা আমার স্মরণ নেই।’ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তখন আমি শুনলাম- অনেক হইচই হচ্ছে বাহিরে! কিসের হইচই হচ্ছে? কিছুক্ষণ পর সংবাদ পেলাম আমার প্রতিবেশী ঐ গুণ্ডা প্রকৃতির লোকটাকে হত্যা করা হয়েছে। কে হত্যা করেছে? কারা হত্যা করেছে? অনেক লোকজন জমা হয়েছে। এরপর পুলিশ এসে সন্দেহ করে আশেপাশের কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো। সেই বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি বললেন, ‘আমার হঠাৎ স্মরণ হলো স্বপ্নের কথা। তারপর যেয়ে দেখতে পেলাম, সত্যিই আমিই এই লোকটাকে হত্যা করেছি। আমি যেই ছুরি মুবারক দিয়ে তাকে হত্যা করেছি, সেই ছুরি মুবারকটা সেখানে পড়ে রয়েছেন।’

 তখন বুযূর্গ ব্যক্তি চিন্তা করলেন, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এরা তো আসলে দোষী না। তারপর তিনি পুলিশ প্রধানের কাছে গিয়ে বললেন, আমার একটা জরুরী কথা আছে। আপনাকে একা একা বলতে হবে। ঐ পুলিশ প্রধানও ছিলেন একজন আল্লাহওয়ালা লোক। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তিনি সব লোক কামরা থেকে বের করে দিয়ে বললেন, কী কথা? বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, এই লোকটাকে তো আমি হত্যা করেছি।

পুলিশ তখন বললেন, বলেন কি? আপনি বুযূর্গ লোক, আপনি হত্যা করেছেন? বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, হ্যঁা। পুলিশ বললেন, কেন হত্যা করেছেন? বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, ‘এই ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বিদ্বেষী ছিল। যার কারণে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক করেছেন তাকে হত্যা করার জন্য এবং তাকে হত্যা করার জন্য আমাকে একটি ছুরি মুবারক দিয়েছেন। আমি সেই ছুরি মুবারক দিয়ে তাকে জবেহ করেছি, হত্যা করেছি।

কাজেই, যাদেরকে আপনি গ্রেফতার করছেন এরা কেউ দোষী না।’ এটা শুনে সেই পুলিশ প্রধান বললেন, ‘আপনি খুব উত্তম কাজ করছেন। আপনি চলে যান, অসুবিধা নেই। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমি এদেরকে এখনই ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি।’ তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক থেকে সংকলিত)

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা শত্রুতা করবে অথবা যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়ছালা। সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম থাকলে তা অবশ্যই জারী করতে হবে।

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন।)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া প্রকাশিত ফতওয়াসমূহ

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (৩)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (৪)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (৫)