প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
গত ৮ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ১৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত এনটিভিতে প্রচারিত ৬ পবের ধারাবাহিক ‘মামলাবাজ সিন্ডিকেট’ শীর্ষক কথিত অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রতারক সাংবাদিক সফিক শাহীন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, হক্ব দরবার শরীফ পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মহাসম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট প্রতিবেদন প্রচার করে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে তথা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নামে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছে।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনটি সম্পর্কে অবহিত হওয়া মাত্রই পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে গত ১৬/১০/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এনটিভি কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়। সেই প্রতিবাদলিপি পাওয়ার পর এনটিভি কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল উল্লেখিত মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনটি প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করে দুঃখ প্রকাশ করা এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরা। কিন্তু তা না করে এনটিভি কর্তৃপক্ষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মূলঘটনা ও প্রদত্ত প্রতিবাদের বিষয়বস্তু উল্লেখ না করে অসততার সাথে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জোর অপচেষ্টা চালিয়েছে- যা আইনতঃ ও ন্যায়তঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা!
প্রতারক সাংবাদিক সফিক শাহীনের সেই মিথ্যা, বানোয়াট, দূরভিসন্ধিমূলক ও সাজানো প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ও প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে আপনাদের সম্মুখে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়েছি।
প্রতারক প্রতিবেদক শফিক শাহীন পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনাকে মামলাবাজ সিন্ডিকেট হিসেবে চিহ্নিত করতে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! এবারে আমরা এনটিভি’র মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ প্রতিবেদনের কিছু সুস্পষ্ট জবাব প্রদান করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রথমতঃ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছবি হিসেবে প্রতারক সফিক শাহীন যে ফটোগ্রাফটি দেখিয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভুয়া। ভিন্ন কোনো ব্যক্তির ফটোগ্রাফকে জালিয়াতিপূর্ণভাবে হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছবি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে পবিত্র জুমুয়াবার পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে এসে সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে স্বচক্ষে দেখে যেতে পারেন, তাতেও প্রমাণিত হবে এনটিভির সেই কথিত ফটোগ্রাফটি সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার না। একইসাথে কথিত ফটোগ্রাফটিকে সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছবি হিসাবে প্রমাণ করার জন্য এনটিভির প্রতি আমরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে এক হাজার কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম।
দ্বিতীয়তঃ উল্লেখিত প্রতিবেদনে সাভারের শিশু সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার আহরারের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামীদের পক্ষে কৌশলে প্রচারণা করা হয়েছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ওই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বিবরন আজকের সংক্ষিপ্ত পরিসরে দেয়া সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে ওই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড সম্পর্কে নানান তথ্য এসেছে। শিশু আহরারের খুনিরা বহুদিন ধরে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। শুধু তাই নয়, খুনীদের আত্মীয় এমপি ইলিয়াস মোল্লাহ এই হত্যা মামলাকে প্রভাবিত করতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন রকম তদবির করে আসছিল।
এতেও কাজ না হওয়ায় এই নৃশংস হত্যাকান্ডের খুনীদের বাঁচাতে, মামলার স্বাক্ষীরা যেন ভয়ে স্বাক্ষী দিতে না আসে সেজন্য খুনীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এনটিভিতে নিহতের পরিবারের সদস্য মামলার বাদি মুফিজুল ইসলাম সাহেবের নামে মিথ্যা জালিয়াতিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রচার করেছে। অথচ উক্ত প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, তিনি নাকি ১০টি মিথ্যা মামলার বাদী। মফিজুল ইসলাম সাহেব গত ১৭/১০/২০১৯ ইং তারিখে সংবাদ সম্মেলন করে সফিক শাহীনসহ খুনীদের চ্যালেঞ্জ করেন যে, তাদের দাবি অনুযায়ী মফিজুল ইসলাম সাহেব যদি কথিত ১০টি মিথ্যা মামলা করে থাকেন তাহলে তারা পারলে মামলা নাম্বারসহ প্রমাণ দেখাক। তা কিন্তু তারা তাদের প্রতিবেদনে দেখাতে পারেনি। বরং উল্টো প্রতারক সফিক শাহীন তথা এনটিভি তাদের প্রতিবেদনে বাদির অগোচরে দূর থেকে ভিডিও ধারন করার মাধ্যমে দেখায় যে, বাদি মুফিজুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের ২য় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেই ভিডিও দিয়ে সে প্রচার করে যে, উক্ত বাদি দেশব্যাপী মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য আদালত পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়। অথচ তিনি সেদিন উক্ত মামলার স্বাক্ষীদের নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। মুহম্মদ মুফিজুল ইসলাম সাহেবের শ্যালক আহমদুল্লাহ মাসুম নিহত শিশু আহরারের আপন বড় ভাই এবং অত্র মামলার একজন স্বাক্ষী। তার সাক্ষাৎকার নেয় এনটিভির কথিত প্রতিবেদক। সেই সাক্ষাৎকারে আহমদুল্লাহ মাসুম তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। কিন্তু এনটিভির প্রতিবেদনে প্রতারক সফিক শাহীন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে প্রাসঙ্গিক অংশটুকু কেটে কথিত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয় যে, কথিত সাংবাদিক সফিক শাহীন ইচ্ছাকৃতভাবে খুনীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
প্রকৃত সত্য হলো, খুনী সোহরাব, সায়মনগংদের বিরুদ্ধে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুরিদ মুহম্মদ মুফিজুল ইসলাম সাহেব কোন মামলা করেননি। শিশু আহরারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে আশুলিয়া থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তিতে যে ব্যক্তি নিহত শিশু আহরারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এবং এলাকা ছেড়ে পরিবারসহ পালিয়ে গিয়েছিল তার নামে মুহম্মদ মুফিজুল ইসলাম অপহরণ মামলা করেন। মামলার এজাহারে সোহরাবগংদের কোন নাম ছিলনা। বরং তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং মৃতের হাড়ের ডিএনএ টেস্টে আহরারের হত্যা নিশ্চিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশীটে “তদন্তে প্রকাশিত আসামী” হিসেবে সোহরাব, সায়মনগংদের নাম আদালতে দাখিল করে এবং তারা খুনী হিসেবে চিহ্নিত হয়। (আহরার হত্যা মামলা সংক্রান্ত বিবরণ ও কাগজপত্র সংযুক্ত)
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা।
উপরোক্ত বিষয়টি মুহম্মদ মুফিজুল ইসলাম সাহেবের একান্ত ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয় যা কোনভাবেই পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে জড়িত না হওয়া স্বত্বেও কুটকৌশলে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উক্ত বিষয়টি সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়ানো হয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
তৃতীয়তঃ এনটিভির উল্লেখিত প্রতিবেদনে রাজধানীর শান্তিবাগের ১০৭ নং বাড়ী সম্পর্কেও সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। এনটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বাড়ীটি রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার মুরিদের নামে জোর করে লিখে নেন। অথচ প্রকৃত সত্য হলো যে, ওই বাড়ীটি মরহুম ডাঃ আনোয়ার উল্লাহ সাহেবের নামে ছিল এখনো তার নামেই আছে। এখানে ওই বাড়ীটির মালিকদের একজন মরহুম ডাঃ আনোয়ার উল্লাহ সাহেবের বড় ছেলে সাইয়্যিদ মুহম্মদ আক্তারী কামাল সাহেব তিনি এখানে উপস্থিত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কেউ আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনারা পরবর্তীতে উনার সাথে কথা বলে জেনে নিতে পারেন। (কাগজপত্র সংযুক্ত)
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
এনটিভির প্রতিবেদনে আরো দেখানো হয়েছে, মামলার আসামী কাঞ্চনের স্ত্রী তামান্না বলেছে, তার স্বামীর ফতুল্লার জায়গা নাকি রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি লিখে নিয়ে গেছেন। এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা। ফতুল্লার ওই জায়গাটি জনাব আক্তারী কামাল সাহেবের মায়ের নামে ছিল। সেখান থেকে তিনি কিছু জমি মাদরাসায় দান করেছেন। ওই দানকৃত অংশে কাঞ্চনের কোন মালিকানা নেই। কাঞ্চনের মালিকানাধীন অংশের জায়গা এখনো তার নামেই রয়েছে। একটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়টিকে এনটিভি চক্রান্তমূলকভাবে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চরম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
চতুর্থতঃ এনটিভির উল্লেখিত প্রতিবেদনে আরেকটি চরম মিথ্যাচারের ঘটনা শুনুন, গত ৯ই অক্টোবর এনটিভির সাংবাদিক সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনৈক খলীল হাওলাদারের বক্তব্য প্রচার করে। যে বক্তব্যে খলীল দাবি করে যে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাদরাসা তার জমি দখল করেছে এবং তার ঘর উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, ঐতিহ্যবাহী হক্ব ও সহীহ দরবার, পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ সিলসিলাভূক্ত মসজিদণ্ডমাদরাসা সারাদেশেই রয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ দিঘীনালা শাখার ক্রয়কৃত ৬ একর জমি রয়েছে। এলাকার শতভাগ জনগণ অবগত আছেন যে, জমিটি মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসার নিজস্ব। উল্লেখিত জমিটি তিন দশকের বেশী সময় ধরে মাদরাসার মালিকানাধীন। এই জমিটি মাদরাসার নামে স্থানীয় প্রতিনিধি ১৯৮৭ সালে রশিদুল ইসলামের কাছ থেকে ২ একর এবং শহিদুল হোসেনের কাছ থেকে ৪ একর জমি মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের পক্ষে স্থানীয় সভাপতি হিসেবে ক্রয় করেন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে ১৫/৫/৮৭ সালেই উক্ত জমির নামজারী করা হয়।
আপনারা দেখুন এই যে জমাবন্দীর মধ্যে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে। জমির জমা বন্দী ও খাজনা প্রদানের রশিদের কপিও দেখুন। এখানে খলীল হাওলাদার নামক কোন ব্যক্তির নাম আছে কিনা? নেই।
তাহলে এনটিভি এখানে জনৈক খলীল হাওলাদার নামক ব্যক্তিকে কান্নার ভান ধরিয়ে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য কি? এ ঘটনার মাধ্যমেও প্রমাণিত হয় যে, প্রতারক সফিক শাহীন মূলত পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মানহানী করার লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মিথ্যা কাহিনী সাজিয়েছে। (কপি সংযুক্ত- প্রমাণ স্বরুপ জমির জমা বন্দী ও খাজনা প্রদানের রশিদ)
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
পঞ্চমতঃ আরো উল্লেখ করতে চাই, এনটিভি’র বানোয়াট মিথ্যা প্রতিবেদনে বি-বাড়ীয়ার জনৈক কমিন শাহ, সোহেল চৌধুরী ও রেহানা বেগমের সাথে পারিবারিক সম্পর্কিত জনৈক কামাল মিয়ার বিষয়টির অবতারণা করে। এ বিষয়টিও পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়িত করে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে প্রতারক প্রতিবেদক সফিক শাহীন তথা এনটিভি। অথচ দেখা যায় জনৈক কামাল মিয়া, যে কিনা কমিন শাহর সাবেক বিয়াই, সোহেল চৌধুরীর বর্তমান শশুড় ও রেহানা বেগমের বিয়াই। কামাল মিয়া তার লিখিত প্রতিবাদে এনটিভিকে জানায় যে, “তার সাবেক বিয়াই কমিন শাহ, বর্তমান মেয়ের জামাই সোহেল চৌধুরী ও বর্তমান বিয়াই রেহানা বেগম ‘মামলাবাজ চক্রের’ সাথে জড়িয়ে যে ভুক্তভোগী হয়েছেন তা মিথ্যা। এছাড়া মামলার জালে জড়িয়ে সোহেল চৌধুরী ও রেহানা বেগমের কাছ থকে পঞ্চাশ লাখ টাকার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন কামাল মিয়া। বরং রেহানা বেগমের কাছ থেকে তিনি পয়ত্রিশ লাখ টাকা পাওনা। সেই টাকারই চেক নিয়েছেন বলে দাবি কামাল মিয়ার।” এনটিভি কামাল মিয়ার পাঠানো সেই প্রতিবাদটিও প্রচার করে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো- বিভিন্ন লোকের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সাথে জড়ানোর অপচেষ্টা করেছে এনটিভির প্রতারক সফিক শাহীন। যার সাথে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নেই।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
ষষ্ঠতঃ জালিয়াতিপূর্ণ মিথ্যা প্রতিবেদনে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুরিদদেরকে ‘লাদেন বাহিনী’ খ্যাত বলা হয়েছে। অথচ সারাদেশে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার ভক্তরা আল বাইয়্যিনাত উনার লোক হিসেবে পরিচিত এবং খোদ আল বাইয়্যিনাতেই ওসামা বিন লাদেনসহ সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস, আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জিহাদের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে লিখা হয়েছে এবং হচ্ছে দৈনিক আল ইহসান শরীফ এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফে। (কপি সংযুক্ত- মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ১০১ থেকে ১০৩ নং সংখ্যা)
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
সপ্তমতঃ এছাড়াও এনটিভির প্রতারক সফিক শাহীন তার প্রতারণাপূর্ণ কথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করে, পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে নাকি নিরপরাধ মানুষকে মামলার জালে জড়িয়ে তাদের সহায়-সম্পদ হাতিয়ে নেয়। অথচ পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পৈতৃকভাবেই অনেক সম্পদশালী। তিনি উনার সমস্ত সম্পদ সম্মানিত ইসলামী এবং কল্যাণমূলক ও জনহিতকর কাজে তথা মসজিদণ্ডমাদরাসা, ইয়াতিম, দুস্থ ও অসহায় রোগীদের জন্য ব্যয় করছেন। তিনি নিজ দায়িত্বে উনার পবিত্র দরবার শরীফ উনার মধ্যে হাজার হাজার অসহায়-দুঃস্থ ও ইয়াতিমকে ফ্রী থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে এনটিভির প্রতারণাপূর্ণ প্রতিবেদনে ‘অসহায় মানুষদের সম্পদ’হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা সম্পূর্ণ অমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা ও মানহানী করার উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু নয়। নাঊযুবিল্লাহ!
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
আমরা দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে কোনো ধরণের টিম দ্বারা প্ররিচালিত কোন মামলাবাজ সিন্ডিকেট নেই। কোন ভূয়া মামলায় কোন ব্যক্তি যদি অভিযুক্ত হয় তার জন্য কি থানা পুলিশ বা আইন আদালত নেই? প্রতিবেদনে উল্লেখিত কথিত ধনী বা শিক্ষিত লোক দাবীদার ব্যক্তিরা ভূয়া মামলার ভিকটিম বলে দাবী করছে। তারা আইন আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে না কেন? এবং কে কোন ভূয়া মামলার বাদী হলো, তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করছে না কেন? আর কে কোন মামলা করলো, তার সাথে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্ক কী?
যেখানে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনী ব্যবস্থায় যে কোনো অভিযোগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকেই দোষী বা অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় না, সেখানে প্রতারক সাংবাদিক সফিক শাহীন তথা এনটিভি প্রাথমিকভাবে আইন ও আদালত কর্তৃক অভিযুক্তদের যোগসাজসে সারা বিশ্বে সমাদৃত ও বিশেষভাবে সম্মানিত ওলী আল্লাহ, পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন, উনার কাল্পনিক ও ভূয়া ছবি দেখানো এবং উনাকে অপরাধী হিসেবে তুলে ধরার শিষ্টাচারবর্হিভূত মানহানিকর প্রতিবেদন এনটিভি চ্যানেলে প্রচারের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক হুমকী-ধামকী দিয়ে প্রতারক সফিক শাহীন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতেও স্ট্যাটাস পর্যন্ত প্রকাশ করে চরম গর্হিত কাজ করেছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
এমন একতরফা, ঢালাও অভিযোগপূর্ণ মিথ্যা প্রতিবেদনকে এনটিভি কর্তৃপক্ষ তাদের সংবাদে প্রচারের যোগ্য মনে করায় উক্ত প্রতারক সাংবাদিক সফিক শাহীনের অপকর্মের দায় এনটিভি কর্তৃপক্ষের উপরও বর্তায়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে সুপরিচিত, যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবির চক্রের বিচার দাবির পথিকৃৎ, লক্ষ কোটি ভক্ত-মুরীদ ও গুণগ্রাহীদের দ্বারা মহাসম্মানিত পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার বিরুদ্ধে জঘন্য সব অভিযোগ সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এনটিভি কর্তৃপক্ষের অবশ্যই রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে যোগাযোগ করে প্রকৃত সত্য জানতে চাওয়া উচিত ছিল। প্রতারক সফিক শাহীনের কথিত অনুসন্ধানী রিপোর্টটি পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রচার করে এবং পরবর্তীতে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পক্ষ থেকে প্রেরিত প্রতিবাদলিপি যথাযথভাবে প্রচার না করে ও ক্ষমাপ্রার্থনা না করে এনটিভি কর্তৃপক্ষ গর্হিত অন্যায় করেছে।
এমন দায়িত্বহীন অপকর্মের দায়ে এনটিভির চেয়ারম্যানসহ জড়িত সকলকেই অবিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আমরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেশের অন্য সব দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি প্রতারক সফিক শাহীনের মিথ্যাচারপূর্ণ বক্তব্যের বিপরীতে প্রকৃত সত্য দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরতে। এ ব্যাপারে আমরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে সব সময় সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।
পরিশেষে মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি মহান আয়াত শরীফ বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, হে হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা দূরীভুত হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভুত হওয়ারই যোগ্য।” [পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১]
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সত্যের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আহ্বানে
(আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম)
মুখপাত্র- রাজারবাগ দরবার শরীফ
সম্পাদক- দৈনিক আল ইহসান এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত
সভাপতি- আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটি
সেক্রেটারী- মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন।
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭১৩-০০২৪৫৪
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভুমিকা-৯