সুনামগঞ্জের গাজীনগরের আঙ্গুর মিয়া হতচকিত, হতভম্ব ও হতবাক। জীবনের পরিক্রমায় অনেক লাশ দেখেছেন তিনি। যেমন নেক্কারের তেমনি বদ্কারেরও। নেক্কারের ক্ষেত্রে নূরানী চেহারা। আর বদ্কারের ক্ষেত্রে কালো বা বিকৃত ইত্যাদি বদছূরত। বিশেষ করে মদখোর আর সুদখোরের চেহারাগুলো দেখেছেন তুলনামূলক বেশী বিকৃত হয়। কিন্তু তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ঝুলিকে স্তব্ধ করে দিলো গত ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ঈসায়ী এর ঘটনা। সেদিন মারা যায় আব্দুল বাছিত মাওলানা। দেখতে সে সুন্দরই ছিলো। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তার যে বিভৎস অবস্থা আর জঘন্য চেহারা বিকৃতি। দেখে সে আশ্চার্যান্বিত হয়ে গেলো। চোখ যেন চড়ক গাছে উঠে গেলো। ২১ ফেব্রুয়ারি ৭.৩০ মিনিটে মারা যাওয়া লাশ ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরেই প্রকাশ্য পচন ধরে মহা দুর্গন্ধ ছড়াতে লাগলো। ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পারছিলো সবাই। আঙ্গুর মিয়া হিসেব মিলিয়ে দেখলো, সবই তো ঠিক আছে। কারণ, হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যে আমার ওলী’র বিরোধিতা করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি।’ আর এই কথিত মাওলানা তো সেই ব্যক্তি যে, বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে তোহমতের পাহাড় রচনা করে ‘কাদিয়ানী’ বলতো। তাঁর মাহফিলকে কাদিয়ানীদের মাহফিল বলতো। (নাঊযুবিল্লাহ) জানাযার নামাযের পর দোয়াকে বিদ্য়াত বলতো। আঙ্গুর মিয়ার মনে হলো, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ্র চরম বিরোধিতা এবং তাঁর মুখালিফ কুফরী আক্বীদার কারণেই বাছেত মাওলানার এই করুন পরিণতি।
মূলত: তার এ ঘটনা বর্তমান জীবিত উলামায়ে ‘ছূ’দের জন্য এক মহা নছীহত। যদি তারা তা বুঝতে পারে। যেমন, সূরা ইউসূফের শেষে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “পূর্ববর্তীদের ঘটনা পরবর্তীদের জন্য নছীহত স্বরূপ।”
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২