বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক (২)
১৯. বিবাহ পড়ানোর পর খুতবা দেয়া সুন্নত।
২০. বিবাহ পড়ানোর পর ছেলে ও মেয়ের জন্য নিম্নের দু’আ পড়া সুন্নত।
بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَـيْـنَكُمَا فِيْ خَيْرٍـ
বাংলা উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা। ওয়া জামায়া বাইনাকুমা ফী খাইর।
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার জন্য বরকত দান করুন। আপনার উপর রহমত-বরকত নাযিল হোক। আপনাদের উভয়ের দাম্পত্য জীবন কল্যাণময় হোক।
২১. ছেলের বাড়ীতে একটি পাত্রে পানি রেখে দিবে। আহলিয়া যখন বাড়ীতে বা ঘরে প্রবেশ করবে তখন সেই পানিতে দু’ পা রাখবে। সেই পা ধোয়া পানি সমস্ত বাড়ী বা বাসায় ছিটিয়ে দিবে।
২২. বিবাহের পর যখন আহলিয়া বা স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাত হবে তখন প্রথমে, আহলিয়ার (স্ত্রী) কপালে হাত রেখে নিম্নোক্ত দু’আ পড়া সুন্নত।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّهَا وَ شَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ ـ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আছয়ালুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবাল-তাহা আলাইহি। ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবাল-তাহা আলাইহি।
অর্থ: আয় মহান আল্লাহ পাক! আমি আপনার নিকট আহলিয়ার (স্ত্রীর) যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং যে সকল কল্যাণ দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেসব কল্যাণ ও বরকত প্রার্থনা করছি। আর আপনার নিকট তার অকল্যাণ থেকে পানাহ্ বা আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর যে সকল অকল্যাণ তার মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে রয়েছে তা থেকেও পানাহ্ চাচ্ছি।
২৩. আহলিয়ার সাথে হাসি-খুশি করা সুন্নত।
২৪. দুই বা ততোধিক আহলিয়া থাকলে সকলকে সমানভাবে রাখতে হবে। অন্যথায় হাশরের ময়দানে অর্ধাঙ্গ অবস্থায় উঠতে হবে।
২৫. আহাল-আহলিয়ার মধ্যকার গোপনীয় বিষয়াদি অপরের কাছে বর্ণনা করা যাবে না। কেননা তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অত্যন্ত অপছন্দনীয়।
২৬. নিরিবিলি অবস্থানের পূর্বে এই দুআ’ পড়া সুন্নত। এই দোয়া না পড়লে আগত সন্তানের উপর শয়তানের প্রভাব পড়ে। যার ফলে সন্তান শয়তানী স্বভাববিশিষ্ট হয়। নাউযুবিল্লাহ্!
بِاسْمِ اللهِ اللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিব-নাশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ্ শায়তানা মা রাযাক্ তানা
অর্থ: আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নামে (নির্জনবাস করছি)। আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং যে সন্তান আমাদেরকে দান করবেন তার থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন।
২৭. মনি বের হওয়ার সময় এ দু’আ পাঠ করা সুন্নত।
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا وَلَا تَـجْعَلْ لِّلشَّيْطَانِ نَصِيْبًا فِيْمَا رَزَقْتَنَا ـ
বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিমা রাযাক্ তানা ওলা তাজয়াল লিশ শাইতানা নাছীবান ফিমা রাযাক্ তানা।
“অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকে শুরু করছি। আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তার মধ্যে বরকত দিন। আর তাতে বিতাড়িত শয়তানের কোন অংশ রাখবেন না। তাকে বিতাড়িত শয়তানের অনিষ্টতা থেকে পানাহ্ দান করুন।