২৮. ফুলসজ্জা বা বাসর রাতে আহালের (স্বামী) পক্ষ থেকে আহলিয়াকে (স্ত্রী) হাদিয়া দেয়া সুন্নত।
২৯. একবার আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করার পর পুনরায় আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করার ইচ্ছা করলে নামাযের ন্যায় অযু করে নেয়া সুন্নত।
৩০. নিরিবিলি অবস্থানের পরে গোসল করে নেয়া উত্তম। তবে যদি সময় থাকে অথবা দ্বিতীয়বার নিরিবিলি অবস্থান করার ইচ্ছা থাকে তাহলে পরে গোসল করাও সুন্নত। তবে অযূ-ইস্তিঞ্জা করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। আর নামায যেন কখনো কাযা না হয় তার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
৩১. নাপাক অবস্থায় মাটিতে পা না দেয়া। বরং তায়াম্মুম করতঃ বিছানা থেকে নামতে হবে।
৩২. যে কাপড় পরিধান করে আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা হয়, সেই কাপড় পবিত্র। তবে যদি কোনো অংশে নাপাকি লাগে সে অংশটুকু ধুয়ে ফেললেই হয়ে যাবে।
৩৩. আহাল বা স্বামী অনেক দিন পর বাড়িতে আসতে হলে সাথে সাথে বাড়িতে না যাওয়া। বরং একটু বিলম্ব করে প্রবেশ করা যাতে আহলিয়া পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে সাজসজ্জা করে নিতে পারে।
৩৪. ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে আহলিয়াকে বুছা দেয়া সুন্নত।
ফুলশয্যার পূর্বে করণীয়:
১.বিবাহ করার নিয়ত করলে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কীয় ইলিম হাছিল করা ফরয। বিশেষত: বিশুদ্ধ নিয়ত, আহাল-আহলিয়ার হক বা অধিকারসমূহ, তালাক, হুরমতে মুছাহারাহ্ ইত্যাদি।
২.এক পাত্র পানি রাখা। যাতে আহলিয়া প্রথম বাড়ীতে বা বাসায় প্রবেশ করার পর পা ভিজাতে অর্থাৎ ধুঁতে পারে। আর ঐ পা ভিজানো পানি বাড়ীতে কিংবা বাসায় ছিটিয়ে দিতে পারে। যা রহমত, বরকত লাভের কারণ।
৩.আহাল ও আহলিয়া একান্ত নিরিবিলি অবস্থানের পূর্বে পরিপাটি হওয়া, সাজ গোছ করা, আতর-গোলাপ মাখা সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভূক্ত।
৪.একটি মশারী রাখা। যাতে মশারীর নীচে একান্ত নির্জনবাস করা যায়। যত পর্দার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা যায় ততই উত্তম।
৫. আহাল আহলিয়ার জন্য রাত্রিকালীন পোশাক সংগ্রহে রাখা সুন্নত। গায়ে দেয়ার জন্য বড় আকারের একটি চাদর রাখা। নিরিবিলি অবস্থানের পর লজ্জাস্থান মোছার জন্য দুটি রুমাল বা কাপড় রাখা উচিত। তবে তার পরিবর্তে টিস্যু রাখা যেতে পারে। একজনের ব্যবহৃত রুমাল অপরজন ব্যবহার করা যাবেনা। তাতে আহাল ও আহলিয়ার মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে পারে।
৬. বিছানায় বিছানোর জন্য একটি অতিরিক্ত চাদর রাখা। যা শোয়ার সময় বিছানো এবং ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে উঠিয়ে রাখা উচিত। কেননা তাতে কিছু লেগে যাওয়া, দাগ লাগা অস্বাভাবিক নয়।
৭. একটি পাক -পবিত্র মাটির টুকরা কিংবা পাথর অথবা ইটের টুকরা রাখা। যাতে নির্জনবাসের পর তায়াম্মুম করা যায়। কেননা নিরিবিলি অবস্থানের পর তায়াম্মুম করা ব্যতিত, নাপাক অবস্থায় মাটিতে পা দেয়া উচিত নয়।
উল্লেখ্য যে, বাসায় মাহরাম কেউ থাকলে তাকে দিয়ে উক্ত পানি সমস্ত বাসায় ছিটানো যেতে পারে । অন্যথায় আহাল নিজেই ছিটিয়ে দিবেন।