১১. নিরিবিলি অবস্থানের দোয়া পড়তে হবে। যা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে –
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْـنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْـتَـنَا ، فَإِنَّهٗ إِنْ يُّـقَدَّرْ بَـيْـنَـهُمَا وَلَدٌ فِيْ ذٰلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ـ
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বিবাহিতদের কেউ যখন তার আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থানের ইচ্ছা করবে তখন যেন সে পড়ে
بِاسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْـنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْـتَـنَا
অর্থ: আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকে শুরু করছি। আয় মহান আল্লাহ পাক! বিতাড়িত শয়তানকে আমাদের থেকে দূরে রাখুন। আর আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও বিতাড়িত শয়তানকে দূরে রাখুন। আর সেইদিন যে সন্তান আসবে সে শয়তানের অনিষ্ট থেকে চিরতরে মুক্ত থাকবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উল্লেখ্য যে, আহাল ও আহলিয়া কেউই তাদের ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টাও করবে না। কেননা পূর্বের জীবনে অনাকাক্ষিত ঘটনা শুনলে ফিতনা-ফাসাদ ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে পারে। তবে তার জন্য খালিছভাবে তাওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। সেগুলো অন্তর থেকে মুছে ফেলতে হবে। কখনোই অন্তরে স্থান দিবে না।
১২. প্রথমতঃ আহলিয়ার কুশলাদী জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তার সাথে আনন্দজনক কথাবার্তা বলবে। আহলিয়ার একান্ত আপন, হিতাকাঙ্খী, মুহব্বতকারীর পরিচয় দিতে হবে। অবস্থা স্বাভাবিক হলে নিরিবিলি অবস্থানের জন্য দূত পাঠাতে পারে। অর্থাৎ আহলিয়ার শরীরে হাত দেয়া, বুছা বা চুম্বন করতে পারবে। অন্যথায় ধৈর্যধারণ করতে হবে যতক্ষণ না স্বাভাবিক হয়।
১৩. প্রথম কয়েক দিন ব্যাথা হলে আহলিয়া গরম পানি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
১৪. আহলিয়ার গোপন অঙ্গে সরাসরি দৃষ্টি দেয়া সুন্নতের খেলাফ বা খাছ সুন্নত না।
১৫. আহলিয়া হচ্ছে আহালের অর্ধাঙ্গিনী। কাজেই তার সমস্ত শরীরে হাত দেয়া, বুছা বা চুম্বন দেয়া, দেখা, স্পর্শ করা জায়েয। তবে মুখে, গালে এমন ভাবে চুম্বন করা যাবে না যাতে দাগ পড়ে লজ্জিত হতে হয়। প্রয়োজনে যাইতুন তেল অথবা কু ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ধৈর্যের সাথে এগুতে হবে। কুমারী মেয়ে হলে একেবারে অথবা তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না। এতে আহলিয়া লজ্জায় কিছু বলতে পারে না। কিন্তু তার কষ্টের কারণ হয়। আহলিয়া উত্তেজনাপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত একান্ত নিরিবিলি অবস্থানের দিকে মনোনিবেশ করবে না। সবক্ষেত্রে ছবর বা ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। অধৈর্য হলে লজ্জিত হতে হয়।
মনে রাখবেন, আহলিয়ার কাছে কখনো দূর্বলতা প্রকাশ করা যাবেনা। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আবার কখনো ভয়ভীতি ও চিন্তা পেরেশান হবে না। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল পুরুষকে কমপক্ষে চার জন আহলিয়াকে সুখ দেয়ার তাওফিক দান করেছেন।