ফুলশয্যায় করণীয়
১৬. নিরিবিলি অবস্থানের সময় বেশী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশী কথা-বার্তা বললে সন্তান বোবা, বধির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৭. মনি বের হওয়ার সময় এ দু’আ পাঠ করা সুন্নত।
وَفِـيْ مُرْسَلِ الْـحَسَنِ رحمة الله عليه عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ رحمة الله عليه” إِذَا أَتَى الرَّجُلُ أَهْلَهٗ فَـلْيَـقُلْ بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْـتَـنَا وَلَا تَـجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ نَصِيْـبًا فِيْمَا رَزَقْـتَـنَا ، فَكَانَ يُـرْجٰى إِنْ حَـمِلَتْ أَنْ يَّكُوْنَ وَلَدًا صَالِـحًا ـ
অর্থঃ ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত ইমাম হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে মুরসাল সনদে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন কোন লোক তার আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করে তখন সে যেন বলে,
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْـتَـنَا وَلَا تَـجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ نَصِيْـبًا فِيْمَا رَزَقْـتَـنَا
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীমা রযাক্তানা ওয়ালা তাজআল লিশ শাইতনি নাছীবান ফীমা রাযাক্তানা ।
“অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকে শুরু করছি। আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তার মধ্যে বরকত দিন। আর তাতে বিতাড়িত শয়তানের কোন অংশ রাখবেননা। তাকে বিতাড়িত শয়তানের অনিষ্টতা থেকে পানাহ্ দান করুন।” আর এই আশা করতে পারে যে, যদি সে সময় সন্তান আসে তাহলে সে হবে নেককার- আল্লাহওয়ালা। সুবহানাল্লাহ্!
১৮. নিরিবিলি অবস্থান শেষ হলে এই দোয়া পড়বে। যা সুন্নত মুবারকের অন্তভুর্ক্ত।
اَلْـحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ جَعَلَ مِنَ الْـمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّصِهْرًا ـ
অর্থঃ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। যিনি পবিত্র পানি দ্বারা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তার ও তাদের মধ্যে নছবগত ও আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৯. নিরিবিলি অবস্থান শেষ হলে সাথে সাথে নেমে যাওয়া যাবেনা। বরং আহলিয়া পরিতৃপ্ত হয়েছে কি না তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আহলিয়ার পরিতৃপ্তির লক্ষণ বুঝা গেলে কিংবা জানতে পারলে এরপর আহাল পরিতৃপ্ত হয়ে নেমে গিয়ে রুমাল বা কাপড় দ্বারা স্বীয় লজ্জাস্থান মুছে নিবে।
২০. সাথে সাথে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবে না। কেননা, তাতে রোগাক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
২১. আবার সাথে সাথে ঘুমানোও ঠিক নয়। তাতে দীর্ঘক্ষণ সময় নাপাকি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
২২. পুনরায় নিরিবিলি অবস্থান করার ইচ্ছে থাকলে ইস্তেন্জা করতঃ নামাযের ওযূর ন্যায় ওযূ করবে। অতঃপর অবস্থান করবে।
২৩. সব শেষে গোসল করে মধু কিংবা খেজুর অথবা অন্য কোন মিষ্টান্ন খাবে।