নিরিবিলি অবস্থানের উত্তম সময়
১. দিন সমূহ: (ক) ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত ও দিন।
(খ) ইয়াওমুল খমীস বা বৃহস্পতিবার দিন ও রাত।
(গ) জুমুআহ্ শরীফ রাত ও দিন। এছাড়া বিশেষ বিশেষ দিন ও রাত সমূহ।
২. সময় সমূহ্: রাতের শেষ ভাগ- তাহাজ্জুদ নামাযের পর আহালিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া পরনারীর প্রতি দৃষ্টি পড়ার কারণে যদি নিরিবিলি অবস্থানের ইচ্ছা জাগ্রত হয় তাহলে স্বীয় আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করাও উত্তম।
১. আরবী মাসের ১লা তারিখ যদি কারো স্বাভাবিক মাজুরতা শুরু হয়, আর ৩ তারিখ পর্যন্ত থাকে, তাহলে ৪ তারিখ হতে ৯ তারীখ পর্যন্ত মোট ছয়দিন সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই। তবে ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারীখ পর্যন্ত মোট ৭ দিন সন্তান আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ১৮ তারীখ হতে মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য যে, ভ্রুণের জন্ম এবং মৃত্যু তিন দিন এবং তিন রাত। আমরা এখানে ১০ তারিখ হতে ১৭ তারিখ পর্যন্ত উল্লেখ করেছি। ভ্রুণের জন্ম ও মৃত্যু ১০ তারিখ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত, মোট তিন দিন, তিন রাত। আমরা সতর্কতার জন্য আরো ৪ দিন যোগ করে ১৭ তারিখ পর্যন্ত উল্লেখ করেছি। কাজেই ১৮ তারিখ থেকে মাসের শেষ তারীখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
২. আর যদি কারো মাজুরতা ১লা তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত থাকে, তাহলে ৬ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার কোন সম্ভাবনা নেই। আর ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারীখ পর্যন্ত মোট ৭ দিন সন্তান আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১৮ তারিখ থেকে মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
৩. আর যদি কারো মাজুরতা ১লা তারীখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত থাকে, তাহলে ৮ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই। আর ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত মোট ৭ দিন সন্তান আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১৮ তারিখ থেকে মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
৪. আর যদি কারো মাজুরতা ১লা তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত থাকে, তাহলে ৯ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই। আর ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত মোট ৭ দিন সন্তান আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১৮ তারিখ থেকে মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কারো মাজুরতা মাসের যে কোন তারিখে হোক না কেন, উক্ত নিয়মেই হিসেব করতে হবে। অর্থাৎ মাজুরতার শুরু থেকে ৯ম দিন পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই। আর ১০ম দিন থেকে ১৭ তম দিন পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ তম দিন থেকে ৩০ তম দিন পর্যন্ত সন্তান আসার সম্ভাবনা নেই।
উপসংহার: আহলিয়া বা স্ত্রী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে আমানত স্বরূপ। কাজেই তাদের সাথে সদাচারণ করা, তাদের হক গুলো যথাযথ ভাবে আদায় করার সর্বাত্বক কোশেশ (চেষ্টা) করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَعَاشِرُوْهُنَّ بِالْـمَعْرُوْفٍ
অর্থ: তোমরা তাদের সাথে সদাচারণ করবে। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, ছহিবু কুন ফাইয়া কুন, কইউমুয যামান, আযীযুয যামান, আহলু বাইতি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছীলায় আহাল-আহলিয়া পারস্পারিক হক সমূহ জেনে সুন্নতী তারতীব অনুযায়ী যথাযথ ভাবে আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমীন! আমীন!! আমীন!!!