মুসলমানদের উপর জুলূম করলে এমন পরিণতিতেই পড়তে হয় সামান্য হ্যারিকেন ক্যাটরিনা, রিটা আর উইলমার আঘাতে কূপোকাত মার্কিনীরা বড়ই অসহায়- ৩ পাশাপাশি সভ্যতা ও পরাশক্তির দাবীর অন্তরালে তাদের পাশবিকতা আর দারিদ্রতাও প্রকটভাবে প্রকাশপায়

সংখ্যা: ১৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

[“যখন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম বললেন, তিনি আমার প্রতিপালক- যিনি জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। সে বললো, আমিও তো জীবন দেই ও মৃত্যু ঘটাই। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম বললেন, আল্লাহ পাক সূর্যকে পূর্ব দিক হতে উদয় করেন। তুমি পশ্চিম দিক হতে উদয় করাও তো? অত:পর যে সত্য প্রত্যাখান করেছিলো সে হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো।” (সূরা বাক্বারা-২৫৮) সমূহ তাফসীরে বর্ণিত রয়েছে, এই নাফরমান ব্যক্তিই হলো- খোদাদ্রোহী, খোদা দাবীকারী নমরূদ। ১৭শ’ বছর সারা পৃথিবী রাজত্বকারী, খোদা দাবীকারী নমরূদকে শেষ করে দিতে মহান আল্লাহ পাক-এর একটা আদনা কানা-খোড়া মশাও ব্যয় হয়নি। (সুবহানাল্লাহ) সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট বুশের ঔদ্ধত্য যেন নমরূদের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ একে হুমকি কাল ওকে ধাপকি, আজ এ মুসলিম রাষ্ট্র দখল, কাল ওই মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এখন তার নিত্যনৈমিক্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরাক দখল, আফগানিস্তান ধ্বংসের পর মক্কা শরীফে বোমা হামলার ঘোষণাও তারা দিয়েছে। সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে করায়ত্ত করার হিংস্র আস্ফালনে তারা উম্মত্ত হয়েছে। কিন্তু মুসলমানরা যে আল্লাহ পাককে মানেন, সে আল্লাহ পাক যে নিমিষে তাদের সব মিথ্যা গর্ব আর হুমকি কিভাবে ধূলায় ধূসারিত করে দিতে পারেন; গত ২৯ আগস্ট-২০০৫ ঈসায়ী আঘাত হানা হ্যারিকেন ক্যাটরিনা এবং গত ২৪ সেপ্টেম্বর-২০০৫ ঈসায়ী আঘাত হানা হ্যারিকেন রিটা তার নগণ্য উদাহরণ মাত্র।  এর সাথে আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে, আলোচ্য হ্যারিকেন গুলোতে সূর্যের আলোর মত প্রকাশ হয়ে পড়েছে বর্তমান আমেরিকার সভ্যতার মুখোশের অন্তরালে তাদের জঘন্য রূপ। যে মানবাধিকার বুলি কপচিয়ে তারা মুসলিম দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় অথচ তাদের দেশেই রয়েছে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের নির্মম বিভেদ। এছাড়া হ্যারিকেনগুলো আরো উন্মোচিত করেছে তাদের ঢেকে রাখা দারিদ্র, তাদের পৈশাচিক বেহায়াপনা মানসিকতা ও সংস্কৃতি। এছাড়াও খোদ বুশ প্রশাসনের গাফলতি, অনিময়মসহ আমেরিকা তথা গোটা পাশ্চাত্য সভ্যতার বিভিন্ন অপাঙ্ক্তেয় দিক এ প্রসঙ্গেই এ নিবন্ধের আলোচনা।]

আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণ বৈষম্য

ক্যাটরিনার-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সারাদেশে প্রচ- সমালোচনার ঝড় বইছে। ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ে বুশ প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছেন।  সর্বশেষ এ সমালোচনায় শামিল হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল। তিনি বলেছেন, হ্যারিকেন ক্যাটরিনা আঘাত হানার অনেক আগেই থেকেই যথেষ্ট হুঁশিয়ারি দেয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নেয়ার কারণ তার কাছে বোধগম্য নয়। তিনি অভিযোগ করেন, উপদ্রুত এলাকার লোকজন কৃষ্ণাঙ্গ তথা দরিদ্র হওয়ার কারণেই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়নি। নিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের দুই-তৃতীয়াংশই বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট বুশ আরও অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতেন। তারা আরও বলেছেন, তাদের বিশ্বাস হ্যারিকেন ক্যাটরিনা বিধ্বস্ত রাজ্যগুলো যদি শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত হতো তাহলে সরকার আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে ত্রাণ এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর উদ্যোগ নিতো। মূলত: কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত নিউ অরলিন্সে মার্কিন সরকারের উদ্ধারকার্যে যেসব ক্রটি ও গাফিলতি ধরা পড়েছে, তা মার্কিন প্রশাসনের বর্ণবাদী চরিত্রটিই আরেকবার ফুটিয়ে তুলেছে।  এর মানে সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকলেও দেশটির শাসনকর্তারা এখনও সভ্য হয়ে উঠতে পারেননি। যে দেশ পরাশক্তির অধিকারী বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণকারী সে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের এত করুণ অবস্থা তাদের ভেতরকার কুৎসিত চেহারাটাই ফুটিয়ে তুলেছে।

আমেরিকার মিডিয়াগুলোও বর্ণবৈষম্যের দিকই যেভাবে প্রকাশ করেছিল তা প্রকৃত আদর্শের বাইরে। তার কারণ যেসব কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান খাবার বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে লুণ্ঠনকারী হিসেবে। অন্যদিকে যেসব শ্বেতাঙ্গ খাবার লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের বলা হয়েছে খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা গেল একটা দিক, আমেরিকার বর্ণবৈষম্যবাদের বৈশিষ্ট্য। সমগ্র মানবজাতির  ইতিহাসে যে তিনটি সবচেয়ে বড়মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেই তিনটিই করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যার কাছে হিটলারও হার মানে। প্রথমত: তা হলো একটি মহাদেশের পুরো জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। উত্তর আমেরিকায় যেসব আদিবাসী বাস করত, যাদের রেড ইন্ডিয়ান বলা হয়, তাদের পুরো জনগোষ্ঠীকে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করেছে ইউরোপ থেকে আগত শ্বেতাঙ্গরা, যারা এই দেশটি দখল করে এখন পর্যন্ত রাজত্ব করছে। বড় অপরাধ হিটলার বা মধ্যযুগীয় কোন আক্রমণকারী রাজা বাদশা করেনি। দ্বিতীয়টি হলো- আফ্রিকা থেকে মানুষ শিকার করে পশুর মতো গলায়, হাতে, পায়ে শিকল বেঁধে আমেরিকার হাটে দাসরূপে বিক্রি করা। আধুনিক যুগে সেই প্রাচীন ঘৃণ্য দাস ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। তৃতীয়টি হলো- জাপানে দু’দুবার এটম বোমা নিক্ষেপ করা। যুক্তরাষ্ট্রই পৃথিবীতে একমাত্র রাষ্ট্র যারা এটম বোমা ব্যবহার করেছে। এই তিনটির মধ্যে কোনটিই কারোর চেয়ে কম অপরাধের বিষয় নয়। আর এই তিন সর্বাপেক্ষা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আব্রাহাম লিঙ্কন দাস প্রথার উচ্ছেদ ঘটালেও বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক পর্যন্ত সেই দাসদের বংশধর কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের প্রায় মানুষ বলেও গণ্য করা হতোনা। ষাটের দশক পর্যন্ত গরু-ছাগলের মতো কৃষ্ণাঙ্গদের গায়ের চামড়া ছিলে গাছে লটকে হত্যা করা হতো। যাকে বলা হতো লিনচিং। এর বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গদের বড় বড় আন্দোলন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, যা সরকার নির্মমভাবে দম করার চেষ্টা করেছিল। এখন সেটা হয়না ঠিকই, কিন্তু মার্কিন সমাজে বর্ণবৈষম্যবাদ এখনও প্রবলভাবে রয়েছে।   এর মানে সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকলেও দেশটির শাসনকর্তারা এখন সুসভ্য হয়ে উঠতে পারেননি। তা না হলে নিউ অরলিন্সে বসবাসরত কৃষ্ণাঙ্গদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক ৭০ মিলিয়ন প্রস্তাব করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ইকোনমিক পলিসি ইন্সটিটিউটের তিন অর্থনীতিবিদ (লরেন্স মিশেল, জেরার্ড বার্নস্টেইন এবং সিলভিয়া আলেগ্রেটো) একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। নাম “দি স্টেট অব ওয়ার্কিং আমেরিকা ২০০৪-০৫।’ এই গ্রন্থে খুবই পরিশ্রম করে লেখকমাত্র যেসব তথ্য উপস্থিত করেছেন, তাতে আমেরিকান সমাজে ধনী-দরিদ্রের, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ ও নারী-পুরুষের বৈষম্য নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। এই রচনার বাকি অংশে আমরা এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে তুলে ধরতে চেষ্টা করব।

ওই গ্রন্থে উল্লিখিত তথ্যে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র এক শতাংশ নাগরিক গোটা দেশের ৩৩,৪ শতাংশ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ সম্পদের মালিক। অন্যদিকে নিচের দিকের ৯০ শতাংশ মানুষের সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে গোটা গোটা দেশের মোট সম্পদের ২৮.৫ শতাংশ অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশের কম। আরও দেখা যাচ্ছে, ১৭.৬ শতাংশ পরিবারে হয় কোন সম্পত্তি নেই অথবা তাদের সম্পত্তির পরিমাণ নেতিবাচক অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত। ৩০.৩ শতাংশ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার ডলারের কম। সম্পদের বৈষম্যের ক্ষেত্রেও বর্ণগত বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়। তার মানে কৃষ্ণাঙ্গদের সম্পদ নেই বা থাকলেও খুবই কম। ১৩.১ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ পরিবারের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ শূন্য বা নেতিবাচক আর কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের ক্ষেত্রে এই হার ৩০.১ শতাংশ। তার মানে ব্যাপকসংখ্যক বিত্তহীনের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গরাই প্রধান। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে কিছু অংশ এখন মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্তের মধ্যেও সম্পদের পরিমাণের দিকে দিয়ে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ মধ্যবিত্তের গড় সম্পদের পরিমাণ যেখানে মাত্র এক হাজার ডলার, সেখানে শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হল ৪২ হাজার ১০০ ডলার। আরও তথ্য আছে ওই গ্রন্থে। শেয়ার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত সম্পদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পাওয়া যায়। মাত্র এক শতাংশ মার্কিন নাগরিক (এবং তারা শ্বেতাঙ্গ) ধনী শেয়ারহোল্ডারের দখলে রয়েছে ৪৪.৮ শতাংশ স্টক।  অন্যদিকে ৮০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার মাত্র ৫.৮ শতাংশ স্টকের মালিক। লেখকরা বলেছেন, ২০০১ সালের পর থেকে বেকারের হার বেড়েছে এবং সেক্ষেত্রেও কৃষ্ণাঙ্গ, হিম্পানি ও নারীরা অধিক আক্রান্ত। ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ সালে জাতীয় ভিত্তিতে বেকারের হার যথাক্রমে ৪.৭, ৫.৮, ৬.০ এবং ৫.৫ শতাংশ। কিন্তু ওই চার বছরে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে হারটি যথাক্রমে ৮.৬, ১০.২, ১০.৮, ১০.৪ এবং হিম্পানিদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে যথাক্রমে ৬.৬, ৭.৫, ৭.৭ এবং ৭.০ শতাংশ। তার মানে সবচেয়ে বেশি হারে বেকার হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ, তারপর হিম্পানিরা। আরও লক্ষণীয়- সামগ্রিকভাবে বেকারের হার ওঠানামা করলেও কৃষ্ণাঙ্গ ও হিম্পানিদের ক্ষেত্রে তা স্থির রয়েছে। মজুরির ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। সাধারণভাবেও উৎপাদনশীলতার তুলনায় সেদেশে মজুরি বেশ কম। ১৯৭১ সালের তুলনায় ২০০৪ সালে মজুরি বেড়েছে যৎসামান্য। অথচ এই তিন দশকে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে অবিশ্বাস্য রকমের। তার মানে, মার্কসের সেই উদ্বৃত্ত মূল্যের কথাটাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। উৎপাদনশীলতা বাড়লেও শোষণের হার বৃদ্ধি পায়। লেখকত্রয় আরও দেখিয়েছেন, শ্বেতাঙ্গদের গড় মজুরির ৭৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকরা পেয়ে থাকেন, আর হিম্পানিরা পায় ৬৪ শতাংশ। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিম্পানি নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই হার হল যথাক্রমে ৮৬ ও ৭৫ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অতি ধনী দেশ, একমাত্র সুপার পাওয়ার, সামরিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক দিয়েই, সে তো সবারই জানার কথা। কিন্তু সেদেশেও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীর সংখ্যা কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের এক-চতুর্থাংশ দরিদ্র। এই দরিদ্রের মধ্যেও আবার বর্ণভিত্তিক বৈষম্য ও নারী-পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। সেদেশে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে ২৪.৩ শতাংশ। তার মধ্যে শ্বেতাঙ্গ ২০.৪ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ ৩০.৪ শতাংশ,  হিম্পানি ৩৯.৮ শতাংশ। লেখকত্রয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বৈষম্যের চিত্রটি তুলে ধরেছেন। তার ওপর সাম্প্রতিক নিউ অরলিন্সের উদ্ধার কাজের ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্যের দিকটি আরও ফুটে উঠেছে। সাম্প্রতিককালে তাই দেখা যাচ্ছে যে, বঞ্চিত কৃষ্ণাঙ্গরা ইসলামের আদর্শে অভিভূত হয়ে দিন দিন ইসলাম গ্রহণ করছে। একটা অভাবনীয় হারে মুসলমান হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর তাই ইসলামের সে অগ্রযাত্রা বন্ধ করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছিলো মার্কিন প্রশাসন। লাদেন, সাদ্দাম, মোল্লা উমর ইত্যাদি এজেন্টের মাধ্যমে ওরা সারাবিশ্বে তাই মুসলমানদের উপর একটা সন্ত্রাসী পোশাক পড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ওদের নিজেদের দেশেই মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ কল্পেই এটা ছিলো ওদের পরিকল্পিত বিশেষ পরিকল্পনা। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর কুদরতে ওদের সে জুলুমবাজি ওরা ঢেকে রাখতে পারেনি। সাম্প্রতিক কালের হ্যারিকেনে ঠিকই তা উন্মোচিত হয়েছে।

-মুহম্মদ উয়ালীউর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন