মুসলিম ধর্মব্যবসায়ীর মত খ্রিস্টান ধর্মব্যবসায়ী তথাকথিত প-িতরাও ইসলামের অবমূল্যায়নে সচেষ্ট টয়েনবী থেকে হান্টিংটন একই পথের পথিক

সংখ্যা: ১৫৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

বলতে গেলে আজ মুসলমানরা ইসলাম, ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে যতটা গাফিল পশ্চিমা বিশ্ব ততোধিক সক্রিয়। সক্রিয় বলতে ইসলামের পক্ষে নয় বরং ইসলাম ও মুসলমানকে অপদস্থ করার অপচেষ্টায়।

এক্ষেত্রে পশ্চিমারা যে শুধু সামরিক আগ্রাসনেই সচেষ্ট, বিষয়টি তা নয়। বরং দু’দিক থেকেই ওরা সমান সক্রিয় এবং সিদ্ধহস্ত।

ডেনমার্কে যে ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে আলোড়ন হয়েছে সেটাই সাম্প্রতিক কালের একমাত্র উদাহরণ নয়। এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনাও নয়। আর ডেনিশ পত্রিকা সম্পাদকের এ কাজ স্বপ্রণোদিতও নয়। এবং তা একক প্রচেষ্টার ঘটনাও নয়।

ধর্ম নিয়ে ব্যবসা শুধু ইসলামের লেবাসধারীদের মাঝেই হয়না। খ্রিস্টান পরাশক্তিও এক্ষেত্রে আরো বেশী কূটকৌশলী। ক্লিনটন থেকে বুশ সবাই অভ্যন্তরীণ ইমেজ সঙ্কটের দৃষ্টি ঘোরাতে মুসলিম বিদ্বেষী খ্রিস্টানী চেতনার খোড়াক যোগাতে বারবার ইরাক আক্রমন তথা কল্পিত মুসলিম সন্ত্রাসবাদ তৈরীতে ব্রতী হয়েছেন বিশেষ পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন।

টাকা খেয়ে হারামকে হালাল করার মত প্রবণতা বা ফতওয়া উল্টিয়ে দেবার মত ঘটনা ওদের মাঝেও আছে। এদেশের শাইখুল হাদীছ বা মুফতী আর খতীবের মত লক্ববের ব্যবহারে ব্যবসা ওরাও করে থাকে।

এদেশের অসৎ বুদ্ধিজীবিদের মত ওদেরও পণ্ডিত পরিচয়ে ধান্দাবাজ ও সত্য বিকৃতকারী রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খ্যাত অনেক ব্যক্তিও ওদের মদদপুষ্ট হয়ে ‘বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতের’ লেবাসে ভাড়াটিয়া লেখক হয়ে ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় নিয়োজিত ও নিবেদিত হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গতঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামুয়েল হান্টিংটনের বহুল আলোচিত “ঞযব ঈষধংয ড়ভ ঈরারষরুধঃরড়হ ধহফ জবসধশরহম ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ” “সভ্যতার সংঘর্ষ ও বিশ্ব পূননির্মাণ” বইটি তার সাক্ষাত ও সাম্প্রতিক উদাহরণ।

“তিনি মানব জাতিকে নয়টি সভ্যতায় ভাগ করেছেন। তার মধ্যে তার মতে পশ্চিমা সভ্যতা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ। তিনি পশ্চিমা মূল্যবোধকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করেছেন।

 পাশ্চাত্যের জগৎ, ধনসম্পদ ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আপাতভাবে উন্নত হয়েছে বলা যেতে পারে।

যদিও তার সাথে মুসলিম বিশ্বকে শোষণ ও তার সম্পদ অপহরণের বিষয়টি যোগ করতে হবে।

কিন্তু মূল্যবোধ অথবা সভ্যতা? কোন্ বিচারে তারা সে দিক দিয়ে উন্নত? যে পাশ্চাত্যের কথা বলা হচ্ছে, যার মধ্যে আছে উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, তা হচ্ছে ঐসব দেশে ইউরোপ থেকে আগত সাদা চামড়ার মানুষদের সভ্যতা।

যারা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের গোটা জনগোষ্ঠীকে খুন করে নিশ্চিহ্ন করেছে।

দ্বিতীয় যে জিনিসটি পাশ্চাত্যের সভ্যতার মধ্যে রয়েছে তা হলো, আধুনিক যুগে অতীতের ঘৃণ্য দাসপ্রথা পুনঃপ্রবর্তন। তারা আফ্রিকা থেকে মানুষ শিকার করে আমেরিকার হাটে বিক্রি করত। তাহলে এটাই কি শ্রেষ্ঠত্বের নমুনা।

 শুধু কি তাই? আজকে তাদের দেশে ঋধসরষু ঞরবং বা পারিবারিক মূল্যবোধ ও বন্ধন বলতে কিছুই নেই। বুড়ো বাবা-মা’রা যেখানে অবাধে পরিত্যাজ্য। শৈশবেই চরম বল্গাহারা জীবনেই যাদের আসক্তি। সমকামিতা, এইডস, অবাধ পতিতাবৃত্তি ও চরম অসম বণ্টন ও পুঁজিবাদী ব্যবস্থার কুফল যে সমাজের বৈশিষ্ট্য। এরপরেও পুঁজিবাদীদের ভাড়াটে লেখকরা সাম্রাজ্যবাদী পাশ্চাত্য সভ্যতাকে শ্রেষ্ঠ বলতে বদ্ধ পরিকর।

হান্টিংটনের আগেও আরেকজন পাশ্চাত্যের পণ্ডিত অধ্যাপক আরনল্ড টয়েনবি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে “অ ঝঃঁফু রহ ঐরংঃড়ৎু” দশ খণ্ডে এক বিশাল গ্রন্থ লিখেছিলেন। সেখানে বর্তমান পৃথিবীকে পাঁচটি সভ্যতায় ভাগ করেছেন এবং একইভাবে পাশ্চাত্যের খ্রিস্টান সভ্যতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে চেয়েছেন।

এই অধ্যাপক টয়েনবির গ্রন্থ রচনার সব ব্যয়ভার বহন করেছিলো এবং তার পক্ষে ব্যাপক ঢাক-ঢোল পিটিয়েছিলো, আমেরিকার একচেটিয়া পুঁজিপতিদের অন্যতম রকাফেলারের নামে পরিচিত রকাফেলার ফাউন্ডেশন।

সেদিনের পুঁজিবাদের স্বার্থে কথা বলতে গিয়ে টয়েনবি প্রধান শত্রু নির্ধারণ করেছিলেন সমাজতান্ত্রিক রাশিয়াকে।

রাশিয়ানদের পতনের পর পশ্চিমা সভ্যতার বিকৃতস্বরূপ উপলব্ধিতে ইসলামের জাগরণ এখন সময়ের দাবী। তাই পুঁজিবাদের আরেক কলমপেশা পণ্ডিত হান্টিংটন শত্রু চিহ্নিত করেছেন ইসলামকে। হান্টিংটন ছাহেব বলছেন, তার মতে যা সর্বশ্রেষ্ঠ, সেই পাশ্চাত্যের সভ্যতার সঙ্গে ইসলামী সভ্যতার সংঘাত অনিবার্য।

হান্টিংটন বলেছে, পাশ্চাত্যের সভ্যতা মানে সভ্য ও ভদ্র (যা আসলে একেবারেই অসত্য।)

 অন্যদিকে তার মতে, ইসলাম মানে বর্বর, অসহিষ্ণু ও অনুন্নত। ঐতিহাসিকভাবে দেখলেও যা আদৌ সত্য নয়।

অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু একটি বিষয় উল্লেখ করলেই তা প্রতিভাত হয়। পশ্চিমারা যে সম্পদের প্রলোভন অথবা নির্যাতন দ্বারা অজ্ঞ ও অসহায় মানুষকে ধর্মান্তরিত করেছে আজকে মোট জনগোষ্ঠীর পাঁচভাগের একভাগ মুসলমানও কিন্তু আদৌ সেভাবে হয়নি। ইসলাম তরবারীর জোরে নয় আদর্শের মহাত্মেই প্রসারিত হয়েছে।

 এখনোও তাই পশ্চিমাদের মাঝেও যারাই কুরআন-সুন্নাহ্র ইলমের পরশ পেয়েছে তারাই মুসলমান হচ্ছে।

এমনকি যে দুর্বিনীত ব্লাকদের ওরা শাস্তির জন্য জেলে পাঠাচ্ছে তারাও জেলে বসে কুরআন শরীফ পড়ে মুসলমান হচ্ছে।

পাশাপাশি ওদের ঠুনকো সভ্যতার অন্তঃসারশুন্যতার উপলব্ধির জোয়ার তো রয়েছেই। সে অনুভূতির জোয়ার যে কোন মুহূর্তেই নিবদ্ধ হতে পারে ইসলামের দিকে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শঙ্কাগ্রস্থ পশ্চিমারা ইসলামের বিরুদ্ধে তারা একের পর এক বর্জ উদগীরন করলেও আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকরা এক্ষেত্রে যুগপত অজ্ঞতা আর নিষ্ক্রিয়তাই দেখিয়ে চলছে। তাদের সব উদ্যম কেবল মৌসুমী আন্দোলন আর ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রতি। মূলতঃ তাদের কারণেই আজকে পাশ্চাত্য তথা সাম্রাজ্যবাদীদের এত আস্ফালন।

অথচ নামধারী ইসলামী রাজনীতিকরা, ইসলামের নামে ব্যবসা ছেড়ে দিলে নিমিষেই মিটিয়ে দেয়া যেত পশ্চিমাদের সব অহংকার আর হুংকার। প্রতিশোধ নেয়া যেত মুসলমানের প্রতি অবমাননার আর লাঞ্ছনার।

-মুহম্মদ মাহবুর্বু রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন