اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْـمَةُ اللهِ.
اَلْـحَمْدُ لِلّٰهِ نَـحْمَدُه وَ نَسْتَعِيْنُه وَنَسْتَغْفِرُه وَ نُؤْمِنُ بِهٖ وَ نَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ وَ نَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّاٰتِ اَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِي اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَه وَ مَنْ يُّضْلِلْهُ فَلَا هَادِيَ لَه وَ نَشْهَدُ أَنْ لَّا إلٰهَ إلَّا اللهُ وَ نَشْهَدُ أَنَّ سَيِّدَنَا نَبِيَّنَا حَبِيْبَنَا شَفِيْعَنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدًا عَبْدَه وَ رَسُوْلُه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَمَّا بَعْدُ: فَأَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ. بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمٰنِ الرَّحِيْمِ. إِنَّ اللهَ وَ مَلٰئِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ. يَأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَ نَبِيِّنَا وَ حَبِيْبِنَا وَ شَفِيْعِنَا وَ مَوْلٰنَا وَسِيْلَتِـيْ إِلَيْكَ وَ اٰلِهٖ وَ سَلِّمْ. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَ نَبِيِّنَا وَ حَبِيْبِنَا وَ شَفِيْعِنَا وَ مَوْلٰنَا مَعْدَنِ الْـجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَ اٰلِهٖ وَ سَلِّمْ. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَ نَبِيِّنَا وَ حَبِيْبِنَا وَ شَفِيْعِنَا وَ مَوْلٰنَا اَلنَّبِيِّ الْاُمِّيِّ وَ اٰلِهٖ وَ سَلِّمْ.
خُطْبَةُ الْيَوْمِ فِيْ فَضَائِلِ وَ أَحْكَامِ الْـحَجِّ وَ الْعُمْرَةِ.
আজকের খুতবা পবিত্র হজ্জ ও উমরাহ উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম ও আহকাম সম্পর্কে। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বান্দা-বান্দী, উম্মত, জ্বিন-ইনসান সকলের জন্য বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যে বিষয়গুলো সম্পর্কে সকলের জন্য ইল্ম্ অর্জন করা প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যাদের জন্য পবিত্র হজ্জ করা ফরয হবে তাদের জন্য পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে ইলম অর্জন করাটা অবশ্যই ফরয। আর আমভাবে এ বিষয়ে ইল্ম্ অর্জন করা প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَأَتِـمُّوا الْـحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّٰهِ
হজ্জ এবং উমরাহকে পূর্ণ করো অর্থাৎ আদায় করো যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার রেজামন্দী সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে। যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেজামন্দী সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِـيَ الْإِسْلاَمُ عَلٰى خَـمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَ أَنَّ مُـحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُه، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَ إِيْتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْـحَجِّ وَ صَوْمِ رَمَضَانَ.
হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি বিষয়ের উপর। পর্যাক্রমে তিনি সেটা উল্লেখ করেন। প্রথম হচ্ছে, সাক্ষী দেয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি রব, তিনি একমাত্র মা’বূদ এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আবদ্ এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এরপর বলা হচ্ছে-
وَإِقَامِ الصَّلَاةِ
নামায ক্বায়িম করা।
وَ إِيْتَاءِ الزَّكَاةِ
যাকাত আদায় করা।
وَالْـحَجِّ،
হজ্জ পালন করা।
وَ صَوْمِ رَمَضَانَ.
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা রাখা।
পাঁচটা ভিতের মধ্যে একটা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জ। যে পবিত্র হজ্জের গুরুত্ব, তাৎপর্য, ফযীলত বলার অপেক্ষা রাখে না।
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا ۚ وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِـيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ.
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি বলে দিচ্ছেন, জানিয়ে দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই মানুষদের জন্য, জ্বিন ইনসানের জন্য পবিত্র কা’বা শরীফে হজ্জ করা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিযামন্দী সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে ফরয করে দেয়া হলো।
وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا
যাদের পথ এবং পাথেয়, মাল, জান, ঈমানের নিরাপত্তা থাকবে, তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দী ও সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষে হজ্জকে ফরয করা হলো-
وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ
যে এ বিষয়গুলো অস্বীকার করবে, সে যেন এটা জেনে রাখে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব তিনি গণী, বেনিয়াজ সমস্ত কায়িনাত থেকে, সমস্ত আলম থেকে তিনি বেনিয়াজ, তিনি ছমাদ, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। যারা এটা অস্বীকার করবে তারা কাফির হবে এবং মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক রব তিনি এর মুহতাজ নন তিনি বেনিয়াজ, ছমাদ। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মত যাদের পথ, পাথেয় ঈমানের নিরাপত্তা, মালের ও জানের নিরাপত্তা থাকবে, সামর্থ্য থাকবে তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে রেজামন্দী হাছিলের লক্ষ্যে হজ্জ করা ফরয হবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تعالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوْجِبُ الْـحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ.
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন বিষয়গুলো কোন জিনিসগুলো পবিত্র হজ্জকে ফরয করে দেয়, ওয়াজিব করে দেয়?
قَالَ اَلزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ
পাথেয় এবং বাহন।
একটা লোক যে হজ্জ করতে যাবে তার যাবতীয় খরচ, যাতায়াত, সংসারের খরচ এবং বাহন, ঈমানের নিরাপত্তা, জানের নিরাপত্তা যদি থাকে তাহলে তার জন্য পবিত্র হজ্জ আদায় করা ওয়াজিব অর্থাৎ ফরয হয়ে যায়। (অসমাপ্ত)