পূর্ব প্রকাশিতের পর
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يُوْشِكُ اَنْ يَّأْتِـىَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَّبْقٰى مِنَ الْاِسْلَامِ اِلَّا اِسْـمُهٗ وَلَا يَبْقٰى مِنَ الْقُرْاٰنِ اِلَّا رَسْـمُهٗ مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَّهِىَ خَرَابٌ مِّنَ الْـهُدٰى عُلَمَاؤُهُمْ شَرٌّ مِّنْ تَـحْتِ أَدِيْـمِ السَّمَاءِ مِنْ عِنْدِهِمْ تَـخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيْهِمْ تَعُوْدُ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يُوْشِكُ اَنْ يَّأْتِـىَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ
অতিশীঘ্রই আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি সময় আসবে। কি সময় আসবে?
لَا يَّبْقٰى مِنَ الْاِسْلَامِ اِلَّا اِسْـمُهٗ
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থাকবে নাম সর্বস্ব। এছাড়া কিছুই থাকবে না।
وَلَا يَبْقٰى مِنَ الْقُرْاٰنِ اِلَّا رَسْـمُهٗ
পবিত্র কুরআন শরীফ থাকবে রসম রেওয়াজ তিলাওয়াত। এর কোন আমলই থাকবে না। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থাকবে নাম সর্বস্ব, নামধারী মুসলমান। সীরত-ছূরতে ইহুদী নাছারাও পরাস্ত হয়ে যাবে। আবার পবিত্র কুরআন শরীফ থাকবে, তিলাওয়াত থাকবে, বড় বড় ক্বারী সাহেব, মুফাস্সিরে কুরআন, অনেক কিছু থাকবে। কিন্তু এটা তিলাওয়াত সর্বস্ব। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আমল তাদের থাকবে না। তারা উলামায়ে সূ হবে।
مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَّهِىَ خَرَابٌ مِّنَ الْـهُدٰى
মসজিদগুলো হবে বড় বড় অট্রালিকা। অনেক বড় বড় অট্রালিকা হবে। সৌন্দর্যমন্ডিত হবে। কিন্তু সেগুলো হিদায়েত থেকে খালি হবে। সেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের কথা কেউ বলবে না। বরং তার বিরুদ্ধে বলবে। নাউযুবিল্লাহ!
যেমন আজকাল তারা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে ছবির পক্ষে। নাউযুবিল্লাহ! পর্দা করা ফরয। অথচ এরা পর্দার বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়। ছবি তোলা হারাম, আঁকা হারাম, মূর্তি তৈরী করা হারাম। অথচ এরা মূর্তির পক্ষে বলে। নাউযুল্লিাহ! এটা হচ্ছে ক্বিয়ামতের আলামত। মসজিদগুলো আবাদ হবে না বরং বিরান হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরুদ্ধে মসজিদে মানুষ কথা বলবে। এটা ক্বিয়ামতের আলামত।
عُلَمَاؤُهُمْ شَرٌّ مِّنْ تَـحْتِ أَدِيْـمِ السَّمَاءِ
ঐ সময় আলিম, উলামারা অর্থাৎ মালানাগুলো হবে মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে আকাশের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী। নাউযুবিল্লাহ! ঐসমস্ত আলিম, উলামারা অর্থাৎ মালানা সাহেবরা হবে মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী। কারণ এরা দুনিয়ার ফায়দা লাভ করার জন্য রাজা-বাদশা, আমীর-উমরাদের সাথে সম্পর্ক রাখবে। হারামকে তারা হালাল ফতওয়া দিবে। নাউযুবিল্লাহ!
مِنْ عِنْدهِمْ تَـخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيْهِمْ تَعُوْدُ
এই সমস্ত উলামায়ে সূদের থেকেই ফিতনা সৃষ্টি হবে এবং ফিতনাগুলো তাদের উপরই গিয়ে বর্তাবে। নাউযুবিল্লাহ! এরা ছবি তোলা, আঁকা, রাখা হারামকে হালাল ফতওয়া দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! এটা তাদের উপরই বর্তাবে। এজন্য তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। এই হারামের মধ্যে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে তারা কঠিন আযাব-গযবে গ্রেফতার হয়ে যাবে।
এখন এই পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ক্বিয়ামতের যে আলামত বলা হয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে। এখন মসজিদে মসজিদে উলামায়ে ‘সূ’রা এবং মসজিদ মিশনের কিছু উলামায়ে ‘সূ’ তারা নাকি বলেছে নির্বাচন কমিশনারকে তারা ছবির ব্যাপারে সাহায্য করবে। নাউযুবিল্লাহ! এরা নাকি বলেছে, ছবির নাকি প্রয়োজন রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! কেউ যদি বলে, ছবির প্রয়োজন রয়েছে সে কাট্টা কাফির, সে চির জাহান্নামী হয়ে যাবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, কোন প্রয়োজন নেই, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, প্রয়োজন নেই। আর কোন মানুষ যদি বলে, প্রয়োজন রয়েছে তাহলে সে কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। আসলে এ সমস্ত লোকগুলো সন্ত্রাসীদের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এরাই সন্ত্রাসী। এরাই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে ছূরতান দরবেশী করে মানুষকে আমভাবে হারামের মধ্যে ধাবিত করে এদের সার্থ উদ্ধার করতে চায়। এরাই আসলে সন্ত্রাসী শ্রেণীর। যে সন্ত্রাসীগুলোকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, এদেরই অনুসারী যে সন্ত্রাসীগুলো রয়েছে, এরাও এই শ্রেণীর লোক। এরা দুনিয়ার ফায়দা হাছিল করার জন্য হারামকে হালাল করে, হালালকে হারাম করে থাকে।
কাজেই এ বিষয়ে প্রত্যেককে সবধান থাকতে হবে। খুব সতর্ক থাকতে হবে এই উলামায়ে ‘সূ’ দের থেকে। এই উলামায়ে সূ দের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এখন মসজিদ আবাদ করবে কারা? মহান আল্লাহ পাক তিনি যে নিষেধ করলেন, যারা মুশরিক যারা ফাসিক-ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীন এরা মসজিদ আবাদ করতে পারবে না।
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللَّـهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَاٰتَى الزَّكَاةَ وَلَـمْ يَخْشَ إِلَّا اللهَ ۖ فَعَسٰى أُولٰئِكَ أَنْ يَكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ
মসজিদ আবাদ করবে কারা। কারা ইমাম হতে পারবে, কারা মুয়াজ্জিন হতে পারবে, কারা খাদিম হতে পারবে, কারা মসজিদ উনার দায়িত্বে থাকতে পারবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ
কারা মসজিদ আবাদ করবে?
مَنْ اٰمَنَ بِاللّٰـهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ
যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনে, পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানে।
وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَاٰتَى الزَّكَاةَ
যারা নামায আদায় করে, যাকাত প্রদান করে।
وَلَـمْ يَخْشَ إِلَّا اللّٰـهَ ۖ
মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া যারা কাউকে ভয় করে না। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া কাউকে ভয় করে না। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে মসজিদের মধ্যে যারা হক্ব কথা বলতে পারে এরাই মসজিদ আবাদ করতে পারবে। যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় বাদ দিয়ে গইরুল্লাহকে ভয় করে, দুনিয়ার প্রেসিডেন্ট-মিনিস্টার, রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরাদেরকে যারা ভয় করে, ইউরোপ আমরিকা, চীন জাপানকে যারা ভয় করবে তারা মসজিদ আবাদ করতে পারবে না।
أُولٰـئِكَ أَنْ يَّكُونُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ
এই শ্রেণীর যারা রয়েছেন উনারাই আসলে হিদায়েত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই এটা খুব ফিকির করতে হবে। উলামায়ে সূ যুগে যুগে ধ্বংস হয়ে গেছে, ইবলীস, বালয়াম বিন বাউরা, কারূন, ঐ আবুল হারেছা মালানা এবং বানী ইসরায়ীলের মধ্যে এই শ্রেণীর অনেক কথিত ছূফী দরবেশ ইত্যাদি নাম ধারণ করে এরা ধ্বংস হয়ে গেছে। এরা উলামায়ে সূ ছিলো। কাজেই এখনও যারা উলামায়ে সূ এরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। এদের ক্ষণস্থায়ী যিন্দিগীতে এরা কিন্তু কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। এদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লা’নত রয়েছে। সমস্ত কায়িনাতের লা’নত রয়েছে। কাজেই এরা ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন মানুষদেরকে, মুসলমানদেরকে হক্বের উপর ইস্তিক্বামত থাকতে হবে। এখন যদি তারা হক্বের মধ্যে ইস্তিক্বামত না থেকে এই সমস্ত উলামায়ে সূ দের সাহায্য সহযোগিতা করে তাহলে তারাও কিন্তু জাহান্নামী হবে। যারা করবে তারাও জাহান্নামী হবে। সেটাও মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন।
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوْهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُولُوْنَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللّٰـهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُوْلَا
যখন সকলেই জাহান্নামে যাবে যারা উলামায়ে সূ এবং তাদেরকে যারা সামর্থন করেছে, অনুসরণ করেছে তারাও জাহান্নামে গিয়ে কি বলবে? তাদেরকে যখন জাহান্নামের আগুনে ঝলসায়ে দেয়া হবে তখন তারা বলবে, আয় বারে ইলাহী! আমরা যদি সত্যি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতাম তাহলে এ অবস্থা হতো না।
তখন তারা কি বলবে? যখন তাদেরকে আগুনে ঝলসায়ে দেয়া হবে তখন তারা বলবে, হায় আফসুস! আমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতাম। কিন্তু তারা অনুসরণ করতে পারেনি, নফসের তাড়নায় ও দুনিয়ার ওয়াসওয়াসায়। গইরুল্লাহর মুহব্বতে তারা সেটা করতে পারেনি, শয়তানের বদ তাছিরের কারণে। তখন তারা বলবে-
وَقَالُوْا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّوْنَا السَّبِيْلَا
তখন তারা গোসসা করে বলবে, ইয়া বারে ইলাহী! সেই যামানার যারা বড় বড় রাজা-বাদশা, আমীর-উমরা ছিলো, সেই নির্বাচন কমিশনার যা বলেছিল, প্রেসিডেন্ট মিনিস্টার যা বলেছিল, আমেরিকা, ইউরোপ, চীন, জাপান, ফ্রান্স, ব্রিটিশ তারা যা বলেছিল, ইহুদী-নাছারারা যা বলেছিল সেটা অনুসরণ করা হয়েছিল এবং উলামায়ে সূ’রা যা বলেছিল সেটাও অনুসরণ করা হয়েছিল। তখন বিভ্রান্ত লোকগুলি বলবে, এরাইতো তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে।
আয় মহান আল্লাহ পাক! এই সমস্ত উলামায়ে সূ, রাজা-বাদশা, আমীর-উমরারা আমাদেরকে গোমরাহ করেছে।
رَبَّنَا اٰتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيْـرًا
মহান আল্লাহ পাক! তাদেরকে দ্বিগুন শাস্তি দেয়া হোক এবং বড় লা’নত বর্ষন করা হোক। করা হবে। করলে কি হবে, ফায়দাতো নেই। যারা তাদেরকে অনুসরণ করলো এবং তাদের কথা শুনলো তারা জাহান্নামী হয়ে গেলো। এখন উভয়ের অনেক শাস্তি হবে, আযাব-গযব হবে কিন্তু রেহাইতো হবে না। কাজেই, আগে থেকেই ইস্তিগফার তাওবা করে মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হওয়ার জন্য কোশেশ করতে হবে, তাহলে কামিয়াবী রয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ নির্দেশ মুবারক উনাদের একই হুকুম। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা বলেছেন সেটার যে হুকুম আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বলেছেন তার একই হুকুম। এজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
أَلَا إِنِّـيْ أُوتِيْتُ الْقُرْاٰنَ وَمِثْلَهمَعَه
তোমরা সাবধান হয়ে যাও! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ দিয়েছেন এবং তার অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّـمَا حَرَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا حَرَّمَ اللهُ
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন সেটার হুকুম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি যা হারাম করেছেন তার অনুরূপ। সুবহানাল্লাহ! কাজেই এই সমস্ত উলামায়ে সূদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এরা কিন্তু নিজেরা বিভ্রান্ত হয়ে যায় এদের কুফরী মতবাদটাকে জারি করার জন্য, এরা গইরুল্লাহকে হাছিল করার জন্য এদের ভিতরে যে ওয়াসওয়াসা রয়েছে, অর্থাৎ যে শয়তানী রয়েছে তা ঠিক রাখার জন্য আওয়ামুন্নাসকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক ফতওয়া দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামুন্নাস যারা রয়েছে এ বিষয় তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে অর্থাৎ এই উলামায়ে সূদের থেকে।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন এই সমস্ত উলামায়ে সূদের থেকে আমাদের সাবধান রাখেন সেই দোয়া সেই আরজু আমাদেরকে করতে হবে। (সমাপ্ত)