‘যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাতই ঈমান রক্ষার হাতিয়ার’ সাদ্দাম জোশে হুশ না হারিয়ে ইতিহাস থেকে শিক্ষা লাভের আহবান॥ কুরআন-সুন্নাহ্র দৃষ্টিতে সাদ্দাম প্রশংসা ও দোয়ার মূল্যায়ন

সংখ্যা: ১১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘সূরা বাক্বারায়’ বর্ণিত রয়েছে, “মহান আল্লাহ্ পাক ফেরেশ্তাদের কাছে মানুষ সৃষ্টি করার কথা বললেন। ফেরেশ্তারা বললেন, ‘আয় আল্লাহ্ পাক! আপনি কি এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যারা মারামারি করবে, কাটাকাটি করবে।’ আল্লাহ্ পাক বললেন, ‘আমি যা জানি তোমরা তা জাননা।”

এই আয়াত শরীফের তাফসীরে বলা হয়, সাধারণ জ্ঞান বা ধারণা এবং বিশ্বাসের ও প্রচারণার বাইরে প্রকৃত সত্যের অবস্থান থাকে যা মূলতঃ আলীমুল হাকীম আল্লাহ্ পাক এবং ইল্মে লাদুন্নী সমৃদ্ধ হক্কানী-রব্বানী ওলী আল্লাহ্গণই ভাল জানেন। আর সচরাচর সাধারণ মানুষ তা থেকে অনেক দূরে থাকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ফেরেশ্তারা যন্ত্রের মত। আল্লাহ্ পাক-এর মুহব্বত-মারিফাত তথা খোদায়ী ইল্ম ধারণ করার মত ক্বলবী কুয়ত তাদের নেই। তাই ইবলিস শিশুরূপে থাকা অবস্থায় তার আকর্ষণীয় চেহারা দেখে ফেরেশ্তারা তাকে নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ্ পাক-এর কাছে আরজী জানিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে যখন ইবলিসের ইবলিসি জাহির হল তখন আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান, ‘সে পূর্ব থেকেই কাফিরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ কাজেই ফেরেশ্তাদের এ দ’ুটো ঘটনা থেকে মানুষেরও নছীহত হাছিলের অবকাশ থেকে যায়।

শুধু প্রচারণায় বা হুজুগে মেতে উঠে প্রকাশ্য ফাসিক তথা কাফিরের প্রশংসায় গদগদ হওয়া, তার জন্য আনুগত্য, মুহব্বত প্রকাশ করা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ্ পাককে চরম-পরমভাবে রুষ্ট করার মত আমল। যেমন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ফাসিকের প্রশংসা করলে আল্লাহ্ পাক-এর আরশ কাঁপে।”

স্মর্তব্য, মিথ্যা প্রচারণার হুজুগে পড়ে যুগে যুগে সাধারণ মুসলমান বার বার প্রতারিত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ তথা তথাকথিত আলিম সমাজ এ মর্মে আদৌ সচকিত হয়নি।

অথচ ইতিহাস আজও তুষের আগুনের মত সাক্ষ্য দেয় যে, মিশরের নাছের, তুরস্কের কামাল মুসলমান পরিচয়ে থাকার পরও দেশ ও মুসলমানদের সাথে কি চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ইসলাম নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করেছে!

আর এ ধরণের লোকের দৃষ্টান্ত তো খোদ এদেশেই মজুদ। ১৭৫৭ সালে চব্বিশ পরগনা জিলার জমিদারী আর নগদ ৩ কোটি টাকার লোভে কেবলমাত্র ব্যক্তি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পরবর্তী দু’শ বছর গোটা উপমহাদেশের মুসলমানদের পরাধীনতা, শোষণ, অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ কি চরম নিগ্রহ সইতে হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা যে ইতিহাস হতে কেউ শিক্ষা নেয়না।

মূলতঃ আমাদের দেশের সাদ্দাম প্রেমিকরা যখন সাদ্দাম মুহব্বতে আপ্লুত হন, সাদ্দামের কথায় তাদের জোশ এসে যায় তখন কি তাদের এতটুকু হুশ করা উচিত নয় যে,  ফ এই সাদ্দাম নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী, ফিরআউনের বংশধর বলে গর্বকারী একজন ব্যক্তি। ফ একইভাবে তার স্ত্রী শর্টস্কার্ট পরিহিতা ইসলাম বৈরীভাবাপন্না মহিলা।  ফ সাদ্দাম পুত্র-উদে এবং কুসে উভয়েই চরম জালিম ও চরিত্রহীন। তারা নির্বিচারে দেহ-রক্ষীদের দ্বারা ইরাকী নারীদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো। তাদের সতীত্ব নষ্ট করতো। যেহেতু তারা এই শিক্ষা পেয়েছে তাদেরই মদ্যপ ও চরিত্রহীন পিতা সাদ্দামের কাছ থেকে। ফ সাদ্দাম মদ্যপ এবং চরিত্রহীন। তার প্রিয় মদের নাম মতেসু। বলাবাহুল্য নাস্তিক ও ফাসিক সাদ্দামের এরূপ তথ্য আরো অনেক রয়েছে।   সাদ্দাম হোসেন কতো টাকার মালিক?  তার দুইপুত্রেরই বা  কত অর্থ সম্পদ রয়েছে?     এ তথ্য উদঘাটনে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের ইন্টারনেটে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সাদ্দাম হোসেন অবৈধভাবে অর্জিত সমস্ত সম্পদ হয়তো গোপন একাউন্টের মাধ্যমে পানামা, সুইজারল্যান্ড ও সিরিয়ায় পাচার করেছে। বাগদাদে সামরিক অভিযান শুরুর পরই তার এবং ইরাক সরকারের সমস্ত অর্থ প্রাইভেট একাউন্টে ট্রান্সফার করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করেছে। তবে স্বাধীনভাবে কর্মরত কয়েকটি সংস্থার ধারণা যে, এই অর্থের পরিমাণ কয়েক হাজার  কোটি ডলারের নিচে নয়। সাদ্দামের প্রাসাদ ফ প্রত্যক্ষদর্শীর মতে সাদ্দামের প্রাসাদ একটি নয় অনেক। এর মধ্যে একটির চেয়ে আরেকটি অতুলনীয়। এ ধরণের একটির দর্শনকারীর মন্তব্য-“গোটা প্রাসাদটাই এত সুসজ্জিত আর ভেলভেটে মোড়া যে অবাক হতে হয়। দেখলে মনে হয়, সাদ্দাম তার ৩০ বছরের শাসনামলে তেল বিক্রির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রাসাদের পেছনেই ব্যয় করেছেন”। সবখানেই আছে সোনার ছোঁয়া। অধিকাংশ ঘরেই আছে মার্বেল পাথরের পিলার। প্রাসাদের প্রবেশ পথেও আছে অভূতপূর্ব কারুকার্য। প্রাসাদের এক ধার দিয়ে বয়ে যাওয়া সাতইল আরব পানিরাশি পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলছে। প্রাসাদটি তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমমুখ করে। যাতে দিনের শেষে উপভোগ করা যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য।     অর্থাৎ, বলা চলে, নাফরমান সাদ্দাদের অনুকরণে সাদ্দাম হোসেন গড়ে তুলেছিল তার দুনিয়াবী বেহেশ্তী প্রাসাদ। সাদ্দাম ও তার পুত্রদের বল্গাহারা জীবনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে   ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধান না পেলেও সাদ্দাম হোসেন ও তার পুত্রদের বিলাসী জীবন-যাপনের নানা উপকরণের সন্ধান পাওয়া গেছে। সাদ্দাম হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র উদে হোসেনের প্রাসাদে এমন সব জিনিসের সন্ধান পাওয়া গেছে যাতে খুব সহজেই তাদেরকে অমিতাচার ও বল্পাহীন জীবন-যাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে হয়। সাদ্দামের প্রাসাদ অনুসন্ধান করে উদে হোসেনের কক্ষগুলোতে পাওয়া গেছে অসংখ্য বিবস্ত্র নারীর ছবি। আরো পাওয়া গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ২১ বছর বয়স্কা দু’কন্যা জেনা ও বারবারার সংক্ষিপ্ত পোশাক পরিহিতা ছবি। সেলন ডট কম নিউজ নামে একটি ওয়েব সাইট জানিয়েছে- উদে হোসেনের কক্ষে বিবস্ত্র নারীর ছবির বিশাল সংগ্রহ দেখে মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এড ব্যালানকোর তো চোখ কপালে উঠার যোগাড়। বিস্ময়ের সঙ্গে তিনি উদে হোসেনের কক্ষটিকে অভিহিত করেন প্লেবয়ের অট্টালিকা হিসেবে। প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের পিছনের দিকে অবস্থিত উদের কক্ষগুলোতে বিবস্ত্র নারীর পোস্টার সাটানো। বান্ডিল বান্ডিল করা বিবস্ত্র নারীর ছবি। মার্কিন সৈন্যরা তাদের প্রেসিডেন্টের ইজ্জতের কথা ভেবে বুশ তনয়াদের ছবি দেখার পরপরই তা নামিয়ে ফেলে। মার্কিন সেনাবাহিনীর মতে, উদে হোসেনের ঘর জুড়ে শুধু যৌনতার গন্ধ। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ফোন ডাইরী। যাতে রয়েছে অসংখ্য নারীর নাম ও ফোন নম্বর। শুধু বিবস্ত্র নারীর ছবিই নয় সেলন ডট কম নিউজ জানায়, উদের কক্ষগুলোতে পাওয়া গেছে কিউবান সিগার, শ্যাম্পেন, মদ, লিকার এমনকি হেরোইনও। এর মূল্য হবে দশ লাখ ডলার।  উল্লেখ্য, সাদ্দাম ও তার পুত্রদের জীবনধারা কি রকম ছিল তা আক্বল থাকলে এই সংক্ষিপ্ত তথ্যের উপরই উপলব্ধি করা চলে। কিন্তু তারপরেও এদেশের আলিম নামধারী জাহিলরা সাদ্দামের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। মূলতঃ আলিম হিসেবে তারা যে কত অযোগ্য ও বে-খবর এবং সত্যিকার অর্থে জাহিল এ ঘটনা তাই প্রমাণ করে। উল্লেখ্য, আলিম হবার জন্য কেবল সিলেবাসভুক্ত পাঠ্যসূচীই নয় সাথে সমসাময়িক তথা প্রাসঙ্গিক সব বিষয়েরই হাক্বীক্বী জ্ঞান থাকতে হয়। তা না করে নিছক প্রচারণার ফাঁদে পা ফেলা আত্মঘাতী  হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এ প্রচারণাটা সর্বাংশে ইহুদীদের দ্বারাই প্রচারিত হয়। প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, আল্লাহ্ওয়ালাদের আলোচনা করলে সেখানে আল্লাহ্ পাক-এর রহমত নাযিল হয়। আর ফাসিক এর প্রশংসা করলে আল্লাহ্ পাক-এর আরশ কাঁপে। অর্থাৎ তার প্রশংসাকারীদের উপর লা’নত নাযিল হয়। সেখানে শুধু ফাসিক নয় বরং নাস্তিক, মদ্যপ, চরিত্রহীন, ইসলামের শত্রু, যে কিনা মীরজাফরের ভূমিকায় ইরাক, ইরাকের তেলসম্পদ তথা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে আমেরিকা তথা ইসরাইলের করতলগত করার পটভূমি তৈরী করে দিল, যে ছিল পর্যায়ক্রমে কে.জি.বি, সি.আই.এ এবং মূলতঃ ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের চর; মূলতঃ মুসলমানের পরিচয়ে ইসলামের ঘৃণ্যশত্রু।  সুতরাং তার প্রশংসাকারীদের উপর খোদার লা’নত যে কত বেশী মাত্রায় পড়েছে তা তাদের খেদোক্তিতে প্রমাণ মেলে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আজাজিল যেমন লা’নতগ্রস্ত হওয়ার পর ইবলিসে পরিণত হয়েছিল তেমনি সাদ্দাম-এর প্রশংসাকারী গোষ্ঠী ইবলিসের কায়িম মুকামে পরিণত হয়েছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, “আমরা সাদ্দামের জন্য আল্লাহ্ পাক-এর কাছে এত দোয়া করলাম তাও আল্লাহ্ পাক শুনলেন না। আমরা সাধারণ মানুষ না হই পৃথিবীতে কি একজন ওলীআল্লাহ্ও নেই; যার দোয়া আল্লাহ্ পাক শুনতেন”? অর্থাৎ ইসলামের জঘন্য শত্রু সাদ্দামের প্রশংসায় এদের অন্তরে এত বেশী লা’নত বর্ষিত হয়েছে যে, তারা সাদ্দামকে ভাল বলছে কিন্তু মহান আল্লাহ্ পাক এর প্রতি ঈমান হারাচ্ছে, ওলীআল্লাহ্গণকে অস্বীকার করছে।  অথচ আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান, “যমীনে এবং পানিতে যত ফিৎনা-ফাসাদ হচ্ছে সব মানুষের হাতের কামাই।” অতএব, আজকে ইরাকে যা হচ্ছে তা মূলতঃ ইরাকী জনগণ তথা মুসলিম বিশ্বের হাতের কামাই।  যেমন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যখন মানুষ মাপে কম দিবে তখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। যখন যাকাত না দিবে তখন অতি বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি দেখা দিবে। যখন বেহায়াপনা-বেপর্দা বৃদ্ধি পাবে তখন দূরারোগ্য রোগ দেখা দিবে। যখন মানুষ মনগড়া ফতওয়া দিবে তখন তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিবে। আর যখন মুসলমানগণ আল্লাহ্ পাক-এর কাছে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবে অর্থাৎ আমল-আখলাক ছেড়ে দিবে তখন তাদের উপর বিধর্মী শত্রু চাপিয়ে দেয়া হবে।” অতএব, এ হাদীছ শরীফের প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে, আজকে ইরাক, কাশ্মির, আফগানিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিধর্মী আগ্রাসন রয়েছে তা মূলতঃ মুসলমানদের ঈমান, আমল ও দায়িত্ব পালনের ওয়াদা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই। কাজেই পথহারা মুসলমান সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে আল্লাহ্ পাককে দোষারোপ করে নিজেদের গযবের পাল্লা আরো বেশী ভারী করছে।  বলাবাহুল্য, এজন্য নামধারী আলিম তথা উলামায়ে ‘ছূ’দের ইল্ম ও আমলহীনতা বিশেষভাবে দায়ী। কারণ, সাদ্দামের মত একটা নাস্তিক, মুনাফিক, মদ্যপ, লম্পট, জালিমের জন্য তারা কি করে দোয়া করে কামিয়াবী আশা করতে পারে? কারণ আল্লাহ্ পাক-এর রহমত ব্যতীত তো কোন কামিয়াবী আসেনা। আর আল্লাহ্ পাক-এর রহমত কাদের নিকটবর্তী সে প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক-এর রহমত যারা মুহসিন বা ছূফী ব্যক্তি তাদের নিকটবর্তী।”

সুতরাং সাদ্দাম যেহেতু ছূফী নয় তাই তার প্রতি রহমত বা কামিয়াবী কোনটাই আশা করা যায়না। বরং উল্লেখ্য যে নাস্তিক, মদ্যপ, বিশ্বাসঘাতক মুসলমান ও ইসলামের শত্রু সাদ্দাম এর জন্য দোয়া করাও কুফরী। আল্লাহ্ পাক ইরশাদ  ফরমান, “যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয় তবুও যারা কাফির হয়েছে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবেনা। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।” (সূরা আলে ইমরান/৯১) আল্লাহ্ পাক আরো ইরশাদ করেন, “(হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন আর না করুন। যদি আপনি তাদের জন্য সত্তরবারও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তথাপী কখনোই তাদেরকে আল্লাহ্ পাক ক্ষমা করবেন না। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহ্ পাককে এবং তাঁর রসূলকে অস্বীকার করেছে। বস্তুতঃ আল্লাহ্ নাফরমানদেরকে হিদায়েত দান করেন না।” (সূরা তওবা/৮০)

-মুহম্মদ জাকির হুসাইন, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫