যা বলেছেন, সত্যি বলেছেন তারা নিজেরাই নিজেদের ইবলিসের দাদা হিসেবেই সাব্যস্ত করেছেন

সংখ্যা: ১৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

 দাদার নাতি থাকে। নাতির বাবার তুলনায়ও দাদার বয়স অনেক বেশী। তবে শুধু বয়স বলেই কথা নয় বরং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে অতি বেশী পারঙ্গমতা প্রকাশেও দাদার উদাহরণ দেয়া হয়ে থাকে। আর সে উদাহরণটিই দিয়েছেন তথাকথিত ইসলামী জামাতের এক চিহ্নিত তল্পীবাহক তথা ক্যানভাসার, তথাকথিত এক মুফাস্সিরে কুরআন। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী/২০০৫ ঈসায়ী, ঢাকার পল্টন ময়দানে এক তাফসীর মাহফিলে তিনি বলেছেন, “আল্লাহ পাক-এর একটি মাত্র আদেশ অমান্য করার কারণে ফেরেশ্তাদের সর্দার, আজাজিল ইবলিসে পরিণত হয়েছে। আর আমরা (তারা যাবতীয় ধর্মব্যবসায়ীরা) আল্লাহ পাক-এর হাজার হাজার আদেশ অমান্য করে চলছি। আমরা হয়েছি ইবলিসের দাদা।” আলোচ্য স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে একটি ঐতিহাসিক স্বীকারোক্তি উদ্বৃত করা যায়। স্বীকারোক্তিটি কুখ্যাত খোদাদ্রোহী ফিরআউনের। যাকে আল্লাহ পাক বিশাল রাজত্ব, অভূতপূর্ব ক্ষমতা, লম্বা হায়াত ও বিশেষ কুয়ত দিয়েছিলেন। তার প্রায় চারশ’ বছরের জীবনে একদিন সামান্য ঠান্ডা সর্দি-কাশিও হয়নি। আল্লাহ পাক-এর নির্দেশে একদিন এক ফেরেশ্তা মানবীয় ছূরতে তার কাছে হাজির হলো। তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা, বলুনতো কোন মনিব যদি তার গোলামকে অনেক নেয়ামত, রাজত্ব ইত্যাদি দেয় তারপরও সে গোলাম তার মনিবকে অস্বীকার করে তবে তার কি শাস্তি হওয়া উচিৎ?’  ফিরআউন সাথে সাথে জবাব দিলো, ‘তাকে লোহিত সাগরের পানিতে চুবিয়ে মারা উচিৎ।’ আল্লাহ পাক-এর কুদরত, ফিরআউনের পরিণতি তার যবানেই প্রকাশ পেয়েছিলো। ঠিক এখনও আল্লাহ পাক-এর আরেক কুদরত প্রকাশ পেলো। তথাকথিত মুফাস্সিরে কুরআনের যবানেই তাদের গোটা গং-এর পরিচিতি প্রকাশ পেলো। তার ভাষাতেই তাবত ধর্মব্যবসায়ীদের হাক্বীক্বত ফুটে উঠলো।  উল্লেখ্য, ইবলিস ছয় লক্ষ বছর ইবাদত করেছিলো। যা আল্লাহ পাক-এর যমীনে আর কেউ কখনো পারবে না। তারপরে সেই ইবলিস যদি আল্লাহ পাক-এর একটা আদেশ অমান্য করার কারণে ‘মুয়াল্লিমুল মালাকুত’ বা ‘ফেরেশ্তাদের ওস্তাদ’ থেকে ইবলিসে পরিণত হয় তাহলে যারা  ইসলামের নামে ছবি তোলে যারা  ইসলামের নামে বেপর্দা হয়  ইসলামের নামে গণতন্ত্র করে যারা ইসলাম বিক্রি করে নির্বাচন করে যারা  ইসলাম বিক্রি করে ভোটের রাজনীতি করে যারা  ইসলামের নামে কট্টর কমুনিষ্ট মাওসেতুং-এর লংমার্চ করে যারা  ইসলামের নামে জাতি হিন্দু গান্ধীর হরতাল করে যারা  ইসলামের নামে মূর্তি পূজা করে কুশপুত্তলিকা দাহ করে যারা  ইসলামের নামে ইহুদী-খ্রীষ্টানদের ধর্ম রক্ষার আইন ব্লাসফেমী তলব করে যারা  হাদীছ শরীফে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছবি তুলে, যারা  হাদীছ শরীফে হারাম ঘোষিত নারী নেতৃত্ব জায়িয করে যারা  মদের দাম কমানোতে চুপ থাকে যারা  ইরাকে মার্কিন হামলায় চুপ থাকে যারা  জঙ্গীবাদ, খ্রীষ্টানদের মৌলবাদ বিস্তারে ব্যস্ত থাকে যাদের ইন্ধনে বোমা হামলা হয়, মাজার শরীফের মাছ হত্যা করা হয় যারা দেশে বিরাজমান সব অনৈসলামিক আইনকে কবুল করে নেয় যারা সব হারামকে হালাল করে আর হালালকে হারাম করে তারা আসলেই ইবলিসের চেয়ে অনেক বেশীবার আল্লাহ পাক-এর আদেশকে অমান্য করে। তারা কুরআন-সুন্নাহ্য় বিবৃত জ্বলজ্বল হুকুমগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখায়, তাদের হঠকারিতা, স্পর্ধ তথা কুফরীর মাত্রা দেখে খোদ ইবলিসও ডরায়। ইবলিসের কাহিনীতেও এর নজীর পাওয়া যায়। ইবলিস একবার ফিরআউনের দরবারে হাজির হয়ে বললো, ‘হে ফিরআউন! আমি ইবলিস, ছয় লক্ষ বছর ইবাদত করলাম। এত কিছু দেখলাম, আল্লাহ পাক-এর কাছে চেয়ে এত ক্ষমতা নিলাম। আমি কোনদিন খোদা দাবী করার কথা চিন্তাও করতে পারিনি। আর তুই সেদিনকার ছেলে, তুই কিরূপে খোদা দাবী করে বসলি?’ ইবলিসের একথা শুনে ফিরআউন একটু শঙ্কিত হলো। সে বললো, ‘গুরু! আমি কি তবে তওবা করবো।’  ইবলিস দেখলো ফিরআউন তার পথ থেকে সরে যাবে। সে তাই তাড়াতাড়ি কথা ঘুড়িয়ে বললো, ‘আরো না, না। আমি তোকে পরীক্ষা করলাম মাত্র।’  ইবলিসের সে সান্তনার পর ফিরআউন তার খোদা দাবীতে আরো অটুট থাকার কথা ঘোষণা করলো।  ইবলিস তখন ভয় পেয়ে অতি দ্রুত সে স্থান ত্যাগ করলো। আর যাবার সময় আস্তে আস্তে বলে গেলো, ‘অতি দ্রুতই তোর উপর শক্ত গযব পড়বে।’ গযব সত্যিই পড়েছিলো। ফিরআউন অচিরেই তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই লোহিত সাগরের পানিতে চুবে মরেছিলো। ঠিক তদ্রুপ আজকের ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, নামধারী মুফাস্সিরে কুরআন, তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, খতীব, তথাকথিত পীর তারা একের পর এক হারামকে হালাল করার কারণে  আল্লাহ পাক-এর হাজার হাজার আদেশকে লক্ষ-কোটিবার অমান্য করার কারণে সত্যিই তারা ইবলিসের দাদায় পরিণত হয়েছে।  আর আল্লাহ পাক-এর কুদরতে ফিরআউনের মতই তাদের যবানীতেই তাদের অবস্থান ঘোষিত হয়েছে। ইবলিস তাদেরকে ফিরআউনের চেয়েও বেশী ভয় পাচ্ছে।

-মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩