যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৬

সংখ্যা: ১৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  [ধারাবাহিক]   (১৩) উক্ত মহা কায্যাব তার ভ্রান্তিমূলক রেসালা “আদদ্বীনে” আরো লিখেছে, “………… মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘দিল্লুর রহমান’ নামটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, রহমান (আল্লাহ পাক) যাকে গোমরাহ করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) মহা কায্যাব মুসাইলাম এবার প্রমাণ করলো যে, সে শুধু  মহা কয্যাবই নয় বরং সে মহা জাহিল অর্থাৎ আশাদুদ্ দরজার জাহিলও বটে। কারণ সে নিজে ‘শায়খুল হাদীছ’ বলে দাবী  করছে অথচ মীযান বা তৃতীয় শ্রেণীর জ্ঞানও তার নেই। আর মহা জাহিল হওয়ার কারণেই সে ‘নাম মুবারক’-এর ভুল অর্থ করেছে এবং মহান আল্লাহ পাক-এর প্রতি তোহমত দিয়ে কুফরী করে বসেছে। তার বক্তব্য হলো, “আল্লাহ পাক মানুষকে গোমরাহ করেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) অথচ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো, আল্লাহ পাক বান্দাকে গোমরাহ করেন না। বরং বান্দাই তার বদ আক্বীদা ও আমলের কারণে গোমরা হয়ে যায়। কাজেই প্রমাণিত হলো, তার মধ্যে কুফরী আক্বীদা রয়েছে।  স্মর্তব্য যে এ ধরনের জিহালতী ও কুফরীমূলক বক্তব্য মহা কায্যাবের গুরু শাইখুল কায্যাব মাহিউদ্দীনও তার মদীনা পত্রিকায় দিয়েছিল। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৩তম সংখ্যায় মতামত বিভাগে তার দাঁতভাঙ্গা দলীল ভিত্তিক জবাব দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সে নাম মুবারকের ব্যাপারে টু শব্দ করার সাহস পায়নি। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে জাহিলদের জিহালতী দূর করার উদ্দেশ্যে আল বাইয়্যিনাত-এর ৪৯তম সংখ্যার সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে নাম মুবারকের দলীল ভিত্তিক তাহক্বীক্ব উল্লেখ করা হয়। মহা কায্যাব ও মহা জাহিল মুসাইলামের দাঁতভাঙ্গা জবাব স্বরূপ উক্ত মতামত ও সুওয়াল জবাবটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো- নাম মুবারক ও লক্বব সম্পর্কে মদীনা সম্পাদকের জেহালতপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ মাসিক মদীনার ডিসেম্বর ’৯৩ইং সংখ্যায় সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে মুহম্মদ রফীকুল ইসলাম-এর প্রশ্নের জবাবে আমার মামদূহ্ পীর সাহেব ক্বিবলা ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহিউস্ সুন্নাহ্, মুজাদ্দিদুয্ যামান হযরত মাওলানা শাহ্ ছুফী শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহ্মান (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী)-এর নাম মুবারকের যে অর্থ করা হয়েছে এবং লক্বব সম্পর্কে যে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কারণ মাসিক মদীনার সম্পাদকের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া, বানোয়াট, কল্পনা প্রসূত ও হিংসাত্মক, অজ্ঞতাপূর্ণ এবং কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী। মদীনা সম্পাদক ছাহেবের বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি আউলিয়ায়ে কিরাম ও ইলমে তাসাউফ সম্পর্কে নিতান্তই অজ্ঞ ও জাহেল। এ ব্যাপারে তার জ্ঞান একেবারেই সীমিত, যার কারণেই তিনি এরূপ বক্তব্যের অবতারণা করেছেন এবং এব্যাপারে তার মতাদর্শীরাও তথৈবচ। এ প্রসঙ্গে কালামে পাকে ইরশাদ হয়েছে,

 وما لهم به من علم ان يتبعون الا الظن وان الظن لا يغنى من الحق شيئا.

 অর্থঃ- “এ বিষয়ে তারা একেবারেই জাহেল, তারা শুধু জল্পনা-কল্পনার অনুসরণ করে এবং সত্যের মোকাবেলায় জল্পনা-কল্পনা মোটেই ফলপ্রসূ নহে।” (সূরা নজম/২৮) সম্পাদক ছাহেবের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। তিনি বিনা তাহ্ক্বীকে শুধু জল্পনা-কল্পনার অনুসরণ করে নাম মুবারক ও লক্ববের এক মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও জেহালতপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছেন। সম্পাদক সাহেব আমাদের পীর সাহেব ক্বিবলা (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী)-এর নাম মুবারকের যে মিথ্যা, ভ্রান্তিকর, ও জেহালতপূর্ণ অর্থ করেছেন, আমি সর্ব প্রথম তার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং নাম মুবারকের সঠিক অর্থ ও তাহ্ক্বীক পাঠক সম্মুখে তুলে ধরছি। সম্পাদক ছাহেব নাম মুবারকের যে অর্থ করেছেন, তা মোটেও শুদ্ধ হয়নি, কারণ তিনি বাংলা শব্দের উপর কিয়াস করে এরূপ বিরূপ অর্থ পেশ করেছেন। কেননা বাংলায় দাল (د) -এর উচ্চারণ ও দোয়াদ (ض) -এর উচ্চারণ একই রকম হয়। অতএব, সম্পাদক ছাহেবের প্রথমে তাহক্বীক করা উচিত ছিল, বিনা তাহ্ক্বীকে ক্বিয়াস বা ধারণা করে এরূপভাবে হাক্কানী আলিম ও সর্বজন স্বীকৃত আল্লাহ্র ওলীর নাম মুবারকের বিরূপ অর্থ করা মোটেও জায়িয হয়নি। সম্পাদক ছাহেবের অবশ্যই জানা থাকার কথা একজন সাধারণ মুসলমান ব্যক্তি তার কোন সন্তান হলে সে আলিমদের দ্বারা তার সন্তানের একটি সুন্দর ও শরীয়তসম্মত নাম রাখার চেষ্টা করেন। যদি একজন সাধারণ মুসলমানের বেলায় এটা হয়ে থাকে, তবে যিনি বিজ্ঞ আলিম হাক্কানী আল্লাহ্ওয়ালা তিনি কি করে বিরূপ অর্থবোধক নাম ধারণ করতে পারেন? এটা কোন মূর্খ লোকের পক্ষেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। মূলতঃ সম্পাদক ছাহেব হিংসার বশবর্তী হয়ে নাম মুবারকের মনগড়া অর্থ করেছেন। কেননা সম্পাদক ছাহেব একখানা দলীলও পেশ করতে পারবেন না যে, আমাদের পীর সাহেব ক্বিবলা (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) দোয়াদ (ض) অর্থাৎ (ضل) দিয়ে নাম লিখে থাকেন বরং আমি বহু দলীল পেশ করতে পারবো যে, আমাদের পীর সাহেব ক্বিবলা (মাদ্দা জিল্লাহুল আলী) দাল (د) অর্থাৎ (دل) দিয়ে নাম লিখে থাকেন। সুতরাং সম্পাদক ছাহেবের নিকট যদি (ضل) দিয়ে নাম লেখার প্রমাণ না থাকে তবে তিনি কিভাবে বুঝলেন যে, নামের অর্থ দয়াময় আল্লাহ্র পক্ষ হতে পথভ্রষ্টকারী। অথচ আল্লাহ্ পাক বলেন,

 هاتوا برهانكم ان كنتم صدقين.

 অর্থঃ- “যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক, তবে দলীল পেশ কর”। (সূরা বাক্বারা/১১১) আর যদি সম্পাদক ছাহেব বাংলা শব্দের উপর কিয়াস করে নামের অর্থ করে থাকেন, তবে আমি বলবো আপনি “জিল্লুর রহমানের” কি অর্থ করবেন? যাল (ذ) দিয়ে করবেন? না (ظ) যোওয়া দিয়ে করবেন? কারণ “জ” অক্ষরটি তো যাল ও যোওয়া উভয় অক্ষরের জন্য ব্যবহৃত হয়। সুতরাং সম্পাদক ছাহেব যদি “জিল্লুর রহমানের” অর্থ বাংলা শব্দের উপর ধারণা করে (ذ) অর্থাৎ (ذل) দিয়ে করে থাকেন তবে তার অর্থ হবে দয়াময় আল্লাহ্র পক্ষ হতে লাঞ্ছিত ব্যক্তি। আর যদি (ظ) অর্থাৎ (ظل) দিয়ে করে থাকেন তবে তার অর্থ হবে দয়াময় আল্লাহ্র পক্ষ হতে ছায়াপ্রাপ্ত। কাজেই বাংলা শব্দের উপর ধারণা করে কোন নামের অর্থ করলে সেটা অবশ্যই ভুল হবে।  অনুরূপভাবে যদি “দিল্লুর রহমানের” অর্থ বাংলা শব্দের উপর ধারণা করে (ض) অর্থাৎ (ضل) দিয়ে করা হয়, তবে তার অর্থ সম্পাদক ছাহেবের দেওয়া অর্থ হবে। আর যদি (د) অর্থাৎ (دل) দিয়ে করা হয়, তবে তার অর্থ হয়, (অর্থাৎ دل الرحمن -এর অর্থ হয়) দয়াময় আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ হতে শান্তিপ্রাপ্ত ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী। আর এ নাম মুবারকের বাস্তব উদাহরণ হলো নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্ববসমূহ। যে সকল লক্ববগুলো আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ হতেই আল্লাহ্ওয়ালাদেরকে দেওয়া হয়ে থাকে। এগুলো কোন অভিধান গ্রন্থ হতে কুড়িয়ে নেওয়ার বস্তু নয়। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যদি দাল্লুন (دل) মাছদার হয়ে থাকে, তবে দিল্লুন (دل) না হয়ে দাল্লুন হবে, দাল-এর মধ্যে যের হ’ল কেন? এর জবাব হলো আরবী ব্যকরণে এমন অনেক শব্দই রয়েছে, যে শব্দগুলোকে খেলাফে কিয়াস (خلاق قياس) যবরের পরিবর্তে যের দিয়ে পড়া হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে দাল্লুনকেও খেলাফে কিয়াস দিল্লুন বলা হলে অশুদ্ধ হবে কেন? সুতরাং আমাদের পীর সাহেব ক্বিবলা (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী)-এর নাম মুবারক হলো-

 “محمد دل الرحمن – (مد ظله العالى)”

  যার অর্থ হলো- “দয়াময় আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে শান্তিপ্রাপ্ত ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী।” কাজেই সম্পাদক ছাহেবের বিনা দলীলে এবং তাহ্ক্বীক না করে শুধুমাত্র বাংলা শব্দের উপর ধারণা করে এরূপ একটি জঘণ্য মিথ্যা বক্তব্য পেশ করা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। এবং সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, সম্পাদক ছাহেবের আরবী ভাষা ও ব্যকরণের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। আরবী ভাষার প্রতি যে সম্পাদক সাহেবের দুর্বলতা রয়েছে, তার বক্তব্যই তার প্রমাণ বহন করে, কেননা সম্পাদক ছাহেব নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্ববসমূহ জটিল অর্থবোধক বলে নিজেই স্বীকার করেছেন। কাজেই যার নিকট লক্ববসমূহ জটিল অর্থবোধক মনে হয়, সে যে আরবী ভাষা ও ব্যকরণের প্রতি দুর্বল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। যদি আরবী ভাষা ও ব্যকরণের প্রতি দুর্বলতা নাই থাকতো, তবে তিনি কেন বুঝলেন না যে, (دل) দাল্লুন মাছদার হতেও (دل الرحمن) দিল্লুর রহ্মান লেখা যেতে পারে। সুতরাং শুধু বাংলা শব্দের উপর ধারণা করে নামের অর্থ করা ঠিক হয়নি। কেননা আল্লাহ্ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে ইরশাদ ফরমান, ان بعض الظن اثم. অর্থঃ- “নিশ্চয় অনেক ধারণাই গুনাহ্র কারণ।”(সূরা হুজরাত/১২) সুতরাং ধারণা করে কোন কথা বলা ঠিক হবে না, কোন বিষয়ে মন্তব্য করতে হলে প্রথমে সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানতে হবে এবং দলীল-প্রমাণসহ তা পেশ করতে হবে। (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন