যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৩

সংখ্যা: ১৩৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  [ধারাবাহিক]   (৯) ‘হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন’ লিখেছে “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সম্মানিত পিতা নাকি “তাঁতী ও সুতা ব্যবসায়ী ছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) কায্যাবুদ্দীনের পক্ষেই এরূপ ডাহা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা সম্ভব। রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সম্মানিত পিতা অতি উঁচু স্তরের একজন খালিছ ওলীআল্লাহ। তিনি ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত প্রজ্ঞাবান মানুষ এবং সূক্ষ্মদর্শী আলিমে দ্বীন। তিনি ছিলেন সত্য ও মিথ্যা পার্থক্য করার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং হক্ব প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠার এক অনন্য পুরুষ। তাঁর প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বের আলোয় মানুষ মিথ্যাকে ঘৃণা করতে শিখেছে। আল্লাহ পাক-এর মত এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথে দায়িম-ক্বায়িম  হতে মানুষকে তিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি ছিলেন কুতুবুয্ যামান, আরিফ বিল্লাহ, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল। আজীবন তিনি সুন্নতের উপর পরিপূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জীবন মুবারকের সময়গুলো তিনি অবিরাম ব্যয় করেছেন সত্য প্রতিষ্ঠার জিহাদে। এ জিহাদ তিনি করেছেন কথায়, কাজে, আমলে ও আচরণে। সূক্ষ্মদর্শী মানুষ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে তাঁর কামালতপূর্ণ উদারতা, অন্তরের বিশালতা, চরিত্রের মাধুর্যতা, অন্তর দৃষ্টির গভীরতা, হৃদয়ের নির্মলতা, বদন্যতা, সৌজন্য ও দানশীলতা উপলব্ধির উপায় ছিলোনা। হিদায়েতপূর্ণ মানুষ ও সমাজ নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা এই ক্ষণজন্মা ওলীআল্লাহ আচরণ ও বিচরণে ছিলেন দৃঢ়চেতা ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এক কামিয়াব মানুষ। দানশীল এই ওলীআল্লাহ ছিলেন ফুরফুরা শরীফের হযরত আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশিষ্ট খলিফা। অবশ্য তিনি আরো কয়েকজন প্রখ্যাত মুর্শিদের কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর কামালত ও অধিষ্ঠিত মাক্বাম বিশালতায় পরিপূর্ণ। মহান আল্লাহ পাক পারিবারিক সূত্রেই তাঁকে পরিমিত স্বচ্ছলতা দান করেছিলেন। আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে অত্যাবশ্যক না হওয়া সত্ত্বেও প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে উচ্চ শিক্ষালাভের পর তিনি চাকুরীতে যোগ দেন। তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল দার্জিলিং। তারপর আসাম এবং বিভিন্ন স্থানে সততা, সুনাম ও সাফল্যের সাথে তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত হতে থাকে। মেয়াদপূর্ণ হবার পূর্বেই এক পর্যায়ে তিনি চাকুরী ছেড়ে দেন। তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসায়ি ছিলেন না। তিনিও তাঁদের অনুসারী ছিলেন। তবে তিনি ওভার ক্লাশ ওয়ান গভর্মেন্ট কন্ট্রাকটর অল্প কিছু দিন করেছিলেন। কায্যাবুদ্দীন তার হীন ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থে অসৎ উদ্দেশ্যে বলেছে, “তিনি তাঁতী ও সুতা ব্যবসায়ী ছিলেন।” সামান্য ক্ষুদ-কুঁড়োর লোভে ইহুদী-নাছারাদের কাঙ্খিত স্বার্থ পূরণের নেপথ্য যোগানদার মাদ্রাসায় কেবলমাত্র সিলেবাসের স্বল্প বিদ্যা রপ্তকারী এই মুনাফিক কায্যাব মিথ্যা বলায় তার খান্দান ও কুচক্রী গোষ্ঠীর ক্রণিক ব্যারামে আক্রান্ত হয়েছে। যদিও তার অন্ধকারাচ্ছন্ন মন ও মগজে সত্যের আলো পৌঁছার সম্ভাবনা তিরোহিত, তবু প্রতিষ্ঠিত সত্য বিষয়গুলো তাকে জানানো দরকার। অবশ্য আল বাইয়্যিনাতের সুবাদে এসব তার অজানা থাকার কথা নয়। কুতুবুয্ যামান, আরিফ বিল্লাহ, লিসানুল হক্ব, ফখরুল আউলিয়া, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯০৮ ঈসায়ী সালে বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী গ্রামের সাইয়্যিদ পরিবারের পূণ্য ভূমিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা-মাতা উভয়েই ছিলেন খাছ ওলী। সিলসিলা পরস্পরায় পিতা-মাতার দিক থেকে তিনি ছিলেন যথাক্রমে হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথে সম্পৃক্ত। রক্ত মুবারকের ধারাবাহিকতায় সঙ্গত কারণেই তিনি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী এবং এ কারণেই তিনি আওলাদে রসূল, অর্থাৎ সাইয়্যিদ। পথভ্রষ্ট ও গোমরাহীতে নিমজ্জিত মানুষকে হিদায়েত দানের লক্ষ্যে সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাঁজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী সানজারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিভিন্ন দেশ হিজরত ও সফর শেষে আল্লাহ পাক এবং রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদয় নির্দেশে ছয়শত হিজরীর কাছাকাছি সময়ে আজমীর শরীফে আসেন। তাঁরই অন্তরঙ্গ সঙ্গী হিসেবে ঐ যামানায় আল্লাহ পাক-এর খাছ ওলী হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমীর শরীফে তাশরীফ আনেন। ইসলাম প্রচারের কাজে নিমগ্ন হয়ে তিনি আজমীর শরীফে থেকে যান এবং সেখানেই ইন্তিকাল করেন। তাঁরই অধস্থন মুবারক সন্তান হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি এগারশত হিজরীর শেষার্ধে হিদায়েতের আলো নিয়ে চট্টগ্রাম আগমন করেন। তাঁরা ছিলেন দু’ভাই। চট্টগ্রামে সাময়িক অবস্থানের পর উভয়েই নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও-এ চলে আসেন। হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি সেখানেই হিদায়েতের কাজে ব্যাপৃত থাকেন এবং ইন্তিকাল করেন। হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি সোনারগাঁও-এ অল্প কিছু দিন অবস্থানের পর একই জেলার আড়াইহাজার থানাধীন যে জনপদে এসে হিদায়েতের কেন্দ্রভূমি গড়ে তুলেন, তারই বর্তমান নাম “প্রভাকরদী।” হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ এলাহী বখশ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখশ রহমতুল্লাহ আলাইহি এবং তাঁর পুত্র আলোচ্য হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। কায্যাবুদ্দীন যদি এর সত্যতা পরীক্ষা ও প্রমাণ করতে চায়, তবে সে যেন প্রভাকরদী “সাইয়্যিদ বাড়ী” গিয়ে সংশ্লিষ্ট মাজার শরীফের সামনে উৎকীর্ণ আলোচ্য ওলীআল্লাহগণের “নাম ফলক” দেখে আসে। হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বুযূর্গ পূর্ব পুরুষগণের বেলায়েত ও কামালতের প্রভাব এতো গভীর ও ব্যাপক যে, আজ অবধি তা পূর্ণমাত্রায় বহমান। বংশ পরস্পরায় এমন সাইয়্যিদ পরিবারের সন্তানগণ যে মাদারজাদ ওলী হবেন, মিথ্যা দূরীভূত করে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন এবং কায্যাবুদ্দীনদের ইসলাম পরিপন্থী কায়েমী স্বার্থের মুখোশ উন্মোচন করবেন, এটাই তো আল্লাহ পাক-এর অমোঘ বিধান। তাঁত ও সুতার ব্যবসা হারাম নয়। বৈধ প্রক্রিয়ায় করলে একান্তভাবেই হালাল। হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি -এর পূর্বপুরুষগণ এই ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু কথা হলো, বংশগতভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত মহান ওলীআল্লাহ হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে (যিনি ঢাকা রাজারবাগ শরীফের মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বুযূর্গ পিতা এবং আওলাদে রসূল) হীন ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থে ডাহা মিথ্যায় “তাঁতী ও সুতা ব্যবসায়ী” অপবাদ দিয়ে কায্যাবুদ্দীন জাহান্নামে যাবার পোক্ত দলীল খরিদ করেছে। মাদ্রাসায় নেছাবী কিছু পড়া লেখা করলেও ইচ্ছাকৃতভাবে আওলাদে রসূলকে মিথ্যাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রাণপণ প্রয়াসের কারণে জাহান্নামে বসবাসের শাস্তি তার জানা নেই। পরিত্রাণের জন্য জরুরী মনে করলে সে এখনই খালিছ তওবার পথ বেছে নিতে  পারে। (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন