যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

সংখ্যা: ১৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।

অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,    (৭)    আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাজ্জাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত রেসালায় লিখেছে, “….তিনি কোন পীর থেকে খেলাফত লাভ করেননি। তবে তিনি বলেন স্বয়ং আল্লাহ ও রসূল তাকে খিলাফত দান করেছেন।….”

  মিথ্যাবাদীদের উক্ত বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, “কাটা দিয়ে কাটা উঠানো সবচেয়ে সহজ।” তাই আমাদের নিজস্ব বক্তব্য দ্বারা নয় বরং কাজ্জাবুদ্দীনের ‘জাত ভাই’ মহা কাজ্জাব মুসাইলামের বক্তব্য দ্বারাই প্রমাণ করবো যে, কাজ্জাবুদ্দীনের বক্তব্য ডাহা মিথ্যা।  কাজ্জাবুদ্দীন লিখেছে, “তিনি কোন পীর থেকে খিলাফত লাভ করেননি।” অথচ তার জাত ভাই জামেয়া দ্বীনিয়ার তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মহা কাজ্জাব মুসাইলাম তার কলঙ্কিত রেসালায় লিখেছে, “তিনি ফুরফুরা সিলসিলার পীর জনাব মাওলানা ওয়াজিহ উল্লাহ (রহমতুল্লাহি আলাইহি) এর মুরীদ হন এক পর্যায়ে তাঁর থেকে খিলাফত প্রাপ্ত হন।”

   কাজ্জাবুদ্দীন গং যে মিথ্যার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে তা কি এরপরও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার কারণেই তো তাদের একজনের কথার সাথে আরেক জনের কথার কোনই মিল নেই। বরং দু’জনের কথা সম্পূর্ণই বিপরীত।        স্মর্তব্য যে, মহা কাজ্জাব মুসাইলাম তার অনিচ্ছা সত্ত্বে যদিও খিলাফত সম্পর্কে সত্য কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। তবে “উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক” প্রসঙ্গে সে অতিরিক্ত রকমের মিথ্যাচারিতা করেছে। মহা কাজ্জাব লিখেছে, “……. বিভিন্ন মতবাদ ও কর্মকা-ে ক্ষিপ্ত হন তিনি।” মহা কাজ্জাব মুসাইলামের এ বক্তব্য  শুধু মিথ্যাই নয় বরং উদ্দেশ্য প্রণোদিতও বটে। মুলতঃ যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর যত খলীফা ও মুরীদ রয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর সাথে সবচেয়ে বেশী গভীর সুসম্পর্ক ছিল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সাথেই। আর বর্তমানেও তাঁর সাথে রয়েছে পরিপূর্ণ রূহানী নেছবত বা সম্পর্ক। যা কেবল তাছাউফে পূর্ণতাপ্রাপ্ত লোকদের পক্ষেই বুঝা ও অনুধাবন করা সম্ভব। মহা কাজ্জাব মুসাইলাম তাছাউফ শূন্য বা রূহানী দিক থেকে অন্ধ হওয়ার কারণেই এ ব্যাপারে এরূপ ডাহা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে।

স্মর্তব্য যে, যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাথে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর কতখানী গভীর সুসম্পর্ক ছিল তার কিছু বাস্তব প্রমাণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-     “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মূলতঃ মাদারজাদ ওলী।” অর্থাৎ ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ওলীয়ে মাদারজাদ হিসাবেই যমীনে তাশরীফ এনেছেন। শুরু থেকেই অসংখ্য আউলিয়ায়ে কিরামগণের সাথে তাঁর রূহানী তায়াল্লুক ছিলো।

    একদা আফযালুল আউলিয়া, ক্বাইয়্যূমে আউয়াল, ইমামুল আইম্মা, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সাথে রূহানীভাবে বিশেষ সাক্ষাতে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি মুজাদ্দিদ হবেন?

ওলীয়ে মাদারজাদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিনয়ের সাথে জবাব দেন, আমার ইলম্-কালাম কিছুই নেই আমি কি করে মুজাদ্দিদ হব। তখন আফযালুল আউলিয়, ক্বাইয়্যুমে আউয়াল, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আপনাকে আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে সমস্ত কিছুই দান করা হবে।” যেহেতু বাইয়াত হওয়া ফরয তাই এ ফরয আদায়ের  লক্ষ্যে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মুফাস্সিরে কুরআন, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, কুতুবুল আলম, মুফতিউল আযম হযরতুল আল্লামা আবূ খায়ের মুহম্মদ ওয়াযীহুল্লাহ নানুপুরী (যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা) রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বাইয়াত হন। মাত্র প্রায় দেড় বছরে তিনি চার তরীক্বায় র্পর্ণতাপ্রাপ্ত হয়ে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলার চূড়ান্ত সন্তুষ্টি হাছিল করে খিলাফত লাভ করেন। এবারেও তিনি দীর্ঘদিন পীর ছাহেব ক্বিবলার দরবার শরীফে যাতায়াত করেন। ব্যক্তিগত যোগ্যতা, আল্লাহ পাক প্রদত্ত চূড়ান্ত পর্যায়ের আদব-কায়দা, খাছল ইল্মে লাদুন্নী, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতের হুবহু অনুসরণ ও দায়েমী তায়াল্লুক তথা াতুলনীয় ইল্ম, আমল ও ইখলাছে সন্তুষ্ট হয়ে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সম্মানে তাঁকে নামধরে না ডেকে শাহ ছাহেব বলে সম্বোধন করতেন।     এমনকি কুতুবুল আলম যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি সন্তুষ্ট হয়ে একথাও বলেছিলেন যে, আল্লাহ পাক যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি আমার জন্য উল্লেখযোগ্য কি করেছেন? আমি বলবো, হে আল্লাহ পাক! যামানার মুজাদ্দিদ ও লক্ষ্যস্থল আপনার খাছ ওলী রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলাকে যমিনে রেখে এসেছি।    জীবনের শেষ দিকে তিনি প্রায়ই রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রশংসা করতেন। একদা তিনি প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, আমার শাহ ছাহেব হচ্ছেন রসূলে নোমা, তিনি যে কোন সময় যে কোন লোককে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দীদার ঘটিয়ে দিতে পারেন। (সুবহানাল্লাহ)

তিনি প্রায়শঃই স্বীয় মুরীদ-মু’তাকিদদের লক্ষ্য করে বলতেন, “সাবধান! তোমরা কেউ কখনো আমার শাহ ছাহেব-এর সাথে বেয়াদবী করবেনা। যে ব্যক্তি তাঁর সাথে বেয়াদবী করবে সে অবশ্যই হালাক্ব হয়ে যাবে।”    অনুরূপ অসংখ্য অগণিত প্রশংসা তিনি নিজ যবান মুবারকে করেছেন, যার অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও আজও বিদ্যমান রয়েছে। যে কারণে যাত্রাবাড়ীর অনেক মুরীদ বর্তমানে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর হাতে পূনরায় বাইয়াত গ্রহণ করেছেন ও করছেন।    অতএব, প্রমাণিত হলো যে, মহা কাজ্জাব মুসাইলাম “পীর ছাহেবের সাথে সম্পর্ক” প্রসঙ্গে যে তথ্য পরিবেশন করেছে তা সম্পূর্ণরূপেই” ডাহা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলো। সে মূলতঃ সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার কুট উদ্দেশ্যেই এ ধরনের জঘন্যতম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ