যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবের বিরোধীতাই প্রমাণ করে যে,  রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৮

সংখ্যা: ১৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

          মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”      মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,    (৪)

মিথ্যাাবাদী, মুনাফিকের দল সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য আরো মিথ্যা অপপ্রচার করে থাকে যে, “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ‘রসূলে সন্তান’ হওয়ার দাবী করেছেন। কারণ তিনি ‘আওলাদে রসূল’ লক্বব বা উপাধি ব্যবহার করেন।” কেউ কেউ আবার বলে থাকে যে, “পৃথিবীতে বর্তমানে কোন আওলাদে রসূল নেই।” (নাউযুবিল্লাহ্)   তাদের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, যারা বলে যে- ‘রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ‘রসূলের সন্তান’ হওয়ার দাবী করেছেন’ তারা ডাহা মিথ্যাবাদী তো অবশ্যই সাথে সাথে তারা আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিলও বটে।

কারণ, ‘আওলাদে রসূল’ অর্থ ‘রসূলের সন্তান’ নয় বরং ‘আওলাদে রসূল’-এর অর্থ হলো- ‘রসূলের বংশধর।’ অর্থাৎ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যারা বংশধর তাঁরাই ‘আওলাদে রসূল।’

স্মর্তব্য যে, মিথ্যাবাদী ও মুনাফিকদের কথা মতে ‘আওলাদে রসূল’ ব্যবহার করার কারণে যদি ‘রসূলের সন্তান’ হওয়ার দাবী করা হয়, তবে মিথ্যাবাদী ও মুনাফিকদের যারা পূর্বপুরুষ মুরুব্বী এবং বর্তমান মুরুব্বী যেমন, হুসাইন আহমদ মাদানী ও আসয়াদ মাদানী তারাও ‘রসূলের সন্তান’ হওয়ার দাবী করেছে। কারণ, তারাও নিজেদেরকে ‘আওলাদে রসূল’ বলে প্রচার করেছে এবং করছে।

মিথ্যাবাদী, মুনাফিকের দল তাদের মুরুব্বীদের ক্ষেত্রে এটা মেনে নিবে কি? আর পৃথিবীতে বর্তমানে যদি কোন ‘আওলাদে রসূল’ না থাকেন তবে মিথ্যাবাদী ও মুনাফিকদের মুরুব্বীরা কি করে নিজেদের ‘আওলাদে রসূল’ বলে প্রচার করেছে বা করছে? তাদের কথা মতে কি এটাই প্রমাণিত হয় না যে, ‘তাদের মুরুব্বীরা নিজ বংশ বদলিয়ে ফেলেছে?’ মিথ্যাবাদী ও মুনাফিকের দল তাদের মুরুব্বীদের ক্ষেত্রে এটা মেনে নিবে কি? যদি তাদের মুরুব্বীদের ক্ষেত্রে এটা গ্রহণযোগ্য না হয় তবে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ক্ষেত্রে কেন গ্রহনযোগ্য হবে?   মূলকথা হলো- ‘আওলাদে রসূল’ সম্পর্কিত মিথ্যাবাদী ও মুনাফিকদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণই মিথ্যা, বানোয়াট, দলীলবিহীন, বিভ্রান্তিকর ও জিহালতপূর্ণ। সঠিক ও গ্রহনযোগ্য বক্তব্য হলো, ‘আওলাদে রসূল’  অর্থ ‘রসূলের সন্তান’ নয় বরং ‘রসূলের বংশধর।’ হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা-এর যারা বংশধর তাঁরাই আওলাদে রসূল। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ‘আওলাদে রসূল’ রয়েছেন।  বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী একজন খাছ ‘আওলাদে রসূল।’

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ