যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজাবারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওবাহীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫ 

সংখ্যা: ১২৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

والله يشهد ان المنفقين لكذبون.

অর্থাৎ “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)     উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,    (৩)    মিথ্যাবাদী মুনাফিকের দল বলে থাকে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নবী দাবী করেছেন। কারণ তিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীবের খাছ লক্বব ‘হাবীবুল্লাহ’ ব্যবহার করেন। আবার কোন কোন স্থানে মুনাফিকের দল প্রচার করে থাকে যে, রাজারবাগীরা ‘কাদিয়ানী’। (নাঊযুবিল্লাহ)    তাদের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, যদি তাদের বক্তব্য মুতাবিক ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে নবী দাবী করা হয়, তবে তাদেরকে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, দানশীলরা সকলেই নবী। কারণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ  করেন,

السخى حبيب الله.

অর্থাৎ “দানশীল ব্যক্তি ‘হাবীবুল্লাহ’।” (লুগাতুল হাদীছ)        উপরোক্ত হাদীছ শরীফে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দানশীলদেরকে ‘হাবীবুল্লাহ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখন ওহাবী খারিজীদের নিকট প্রশ্ন তাদের মতে সমস্ত দানশীলরা কি নবী? আর আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি তাহলে দানশীলদের নবী বানিয়েছেন?  খারিজীপন্থী ওহাবীরা এর কি জবাব দিবে? মূলতঃ এর কোন জবাবই তাদের নিকট নেই। কারণ তারা মিথ্যা ও মুনাফিকীর সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।  দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, যদি ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে ‘নবী’ দাবী  করা হয় তবে তাদের মতে বিখ্যাত বুযুর্গ ও আলিম হযরত যুননুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সুলতানুল হিন্দ গরীবে নেওয়াজ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘নবী’ দাবী করেছেন। কারণ ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে এবং সকলেরই জানা রয়েছে যে, উভয়েরই ‘লক্বব’ ছিল ‘হাবীবুল্লাহ’। ইন্তিকালের সময় তাঁদের কপাল মুবারকে কুদরতীভাবে নূরানী অক্ষরে লেখা উঠেছিল।

 هذا حبيب الله مات فى حب الله.

অর্থঃ- “ইনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আল্লাহ পাক-এর মুহব্বতেই ইন্তিকাল করেছেন।” এক্ষেত্রে খারিজীপন্থী ওহাবীরা কি বলবে যে, তাঁরা উভয়ে নবী দাবী করেছেন? (নাঊযুবিল্লাহ) যদি ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে তাঁদের নবী দাবী করা না হয়, তবে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে নবী দাবী করা হবে কেন?             মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীবের কোন লক্বব উম্মত ব্যবহার করলে তাতে নবী দাবী করা হয় না। যদি আল্লাহ পাক-এর হাবীবের কোন লক্বব ব্যবহার করলে নবী দাবী করা হয় তবে তো খারেজীপন্থী ওহাবী ‘মাওলানা’রা সকলেই নবী দাবী করেছে। কারণ আমরা সকলেই দরূদ শরীফে পাঠ করে থাকি যে,

اللهم صلى على سيدنا مولنا محمد صلى الله عليه وسلم.

অর্থাৎ দরূদ শরীফে আমরা আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে ‘মাওলানা’ বলে উল্লেখ করি। অথচ খারিজী পন্থী ওহাবীরা সকলেই নিজেদেরকে ‘মাওলানা’ বলে দাবী ও প্রচার করে থাকে। সুতরাং যদি ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে নবী দাবী করা হয় তবে তো ‘মাওলানা’ লক্বব ব্যবহার করলেও নবী দাবী করা হবে। কারণ ‘হাবীবুল্লাহ ও মাওলানা’ উভয়টাই আল্লাহ পাক-এর হাবীবের লক্বব মুবারক। যদি ‘মাওলানা’ লক্বব ব্যবহার করার কারণে নবী দাবী করা না হয় তবে ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করলে নবী দাবী করা হবে কোন যুক্তিতে? কাজেই প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন লক্বব মুবারক ব্যবহার করলেই নবী দাবী করা হয় না।  অতঃপর খারেজীপন্থী ওহাবীরা যে বলে থাকে, ‘রাজারবাগীরা’ কাদিয়ানী। তাদের উক্ত বক্তব্যের দ্বারা মূলতঃ তারা নিজেরাই কাফির সাব্যস্ত হলো, কারণ যে কাদিয়ানী নয় তকে কাদিয়ানী বলার অর্থ হলো কাফির বলা। আর যে কাফির নয় তাকে কাফির বলার অর্থ হলো নিজে কাফির হয়ে যাওয়া। কেননা, হাদীছ শরীফে রয়েছে, “যখন কাউকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয় তখন সে ফতওয়াটি উপরে উঠে আল্লাহ পাক আসমানের দরজা বন্ধ করে দেন, তখন জমিনের দিকে নামে জমিনের দরজাও বন্ধ করে দেন, তখন যাকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে সে যদি সত্যিই কাফির হয়ে থাকে তবে তার উপর পড়ে এবং সে কাফির হয়ে মারা যায়। আর যদি সে কাফির না হয় তবে যে ফতওয়া দিয়েছে তার উপর পরে এবং সে নিজেই কাফির হয়ে মারা যায়।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী)       সুতরাং খারিজীপন্থী ওহাবীরা রাজারবাগীদেরকে ‘কাদিয়ানী’ বলার কারণে তারা নিজেরাই কাদিয়ানী বা কাফির বলে সাব্যস্ত হলো। কারণ খারিজীপন্থী ওহাবীরা একটি প্রমাণও পেশ করতে পারবেনা যে, রাজারবাগীরা কাদিয়ানী বা কাদিয়ানীদের আক্বীদা ও আমলের সাথে রাজারবাগীদের কোন প্রকার মিল রয়েছে। বরং খতমে নুবুওওয়াত এবং কাদিয়ানী সম্পর্কে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ও তাঁর অনুসারীদের আক্বীদা ও বিশ্বাস একেবারেই স্বচ্ছ। অর্থাৎ রাজারবাগীরা এটাই বিশ্বাস ও প্রচার করে যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব সর্ব শেষ নবী-রসূল। তাঁর পর কোন নবী-রসূল পৃথিবীতে আসবেন না। বর্তমানে যে ব্যক্তিই নবী দাবী করবে সে ব্যক্তিই কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে।

তাছাড়া যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কাদিয়ানীদের হাত থেকে মুসলমানদের ঈমানকে হিফাযত করার লক্ষ্যে সবার চেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছেন। তিনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় তথা সর্বত্র ওয়াজ মাহফিল করে, আর বিশেষ করে যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাতের প্রতিটি সংখ্যায় কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে লিখে ও তাতে ছাপিয়ে সারা বিশ্বে প্রচার করে যাচ্ছেন। হাফিযে হাদীছ, বাহরুল উলূম, আল্লামা রুহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘কাদিয়ানীর কুফরী’ বক্তব্যগুলো খ-ন করে ৬ খণ্ডে যে বিশাল কিতাব রচনা করেছিলেন সেই “কাদিয়ানী রদ” কিতাব খানা ধারাবাহিকভাবে হুবহু মাসিক আল বাইয়্যিনাতে পত্রস্থ করা হচ্ছে। সাথে সাথে পাকিস্তানের আদালতে কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা করতে গিয়ে যে রায় পেশ করা হয়েছে তা ইংরেজী ভাষায় কিতাব আকারে বের হয়েছে, উক্ত কিতাব খানাও বাংলায় অনুবাদ করে মাসিক আল বাইয়্যিনাতে প্রচার করা হচ্ছে।            যাতে করে সাধারণ মুসলমানগণ কাদিয়ানীদের কুফরী মতবাদগুলো অবগত হয়ে কাদিয়ানী মত-পথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং নিজের মূল্যবান ঈমানকে হিফাযত করতে পারে, সাথে সাথে কাদিয়ানী ফিৎনা মুলোৎপাটনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

 এরূপ সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও খারিজীপন্থী ওহাবীরা কি করে বলতে পারে যে, রাজারবাগীরা কাদিয়ানী? এতে কি এটাই প্রমাণিত হয়না যে, খারিজীপন্থী ওহাবীরা মহা কায্যাব ও মুনাফিক। উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা দ্বারা অকাট্ট ও সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, খারিজীপন্থী ওহাবীরা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পর্কে যে অপপ্রচার করেছে বা করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যেই এরূপ মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো ঢাকা।

 প্রসঙ্গঃ কমনওয়েলথ ও সি.পি.এ সম্মেলন

বিরোধীতা হওয়া, অপবাদ রটনা হওয়া, মিথ্যা তোহমত যুক্ত হওয়া আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত॥  কুমন্ত্রক ও কায্যাবরাই সুন্নত পালনে সহায়তাকারী

 পিরোজপুরে রাজারবাগ শরীফের প্রধান বিরোধীর জঘণ্য চরিত্র ফাঁস

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৫

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাজ্জাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব-২