যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাজ্জাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব-২

সংখ্যা: ১২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ‘সূরা আনয়াম’-এর ১১২নং আয়াত শরীফ ইরশাদ করেন, “মানুষ ও জ্বিনের মধ্যে যারা শয়তান তাদেরকে আমি প্রত্যেক নবীর শত্রু বানিয়েছি।” ‘সূরা ফুরকান’-এর ৩১নং আয়াত শরীফে আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “যারা গুণাহ্গার বা পাপী তাদেরকেই আমি প্রত্যেক নবীর শত্রু বা বিরোধিতাকারী বানিয়েছি।” উল্লিখিত দু’খানা আয়াত শরীফ দ্বারা যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হলো তা হলো- প্রথমতঃ প্রত্যেক নবী-রসূল বা হাদীরই শত্রু বা বিরোধিতাকারী ছিল এবং থাকবে।  দ্বিতীয়তঃ জ্বিন ও মানুষের মধ্যে যারা শয়তান প্রকৃতির ও গুনাহ্গার বা ফাসিক-ফুজ্জার তথা বিদয়াতী ও গোমরাহ্ তারাই হক্কানী হাদীগণের শত্রুতা ও বিরোধিতা করবে। মূল বিষয় হলো, যিনি হক্কানী ওলী হবেন তাঁর বিরোধিতাকারী বা শত্রু থাকবেই। তাই আমরা দেখতে পাই সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিস্ সালাম, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন, তাবি’ তাবিয়ীন তো অবশ্যই, পূর্ববর্তী সকল ইমাম-মুজতাহিদ বা আউলিয়া-ই-কিরামগণের বিরোধিতা করা হয়েছে, তাঁদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। যেমন, বিরোধিতা করা হয়েছে, জগতখ্যাত আলিমে দ্বীন, সর্বশ্রেষ্ঠ ওলীয়ে কামিল, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, তাঁর লিখিত মহামূল্যবান কিতাবগুলো পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিরোধিতা করেছে, গাউছুল আ’যম, মাহবুবে সুবহানী, কুতুববে রব্বানী, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিরোধিতা করেছে, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, বিরোধিতা করেছে, কাইয়্যুমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, বিরোধিতা করেছে আমীরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহ্মদ ব্রেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, বিরোধিতা করেছে শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, বিরোধিতা করেছে শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর, বিরোধিতা করেছে, গত শতকের মুজাদ্দিদ হযরত আবু বকর ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর। আর বিশেষভাবে যার কথা উল্লেখ্য! তিনি হলেন আমাদেরই হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমামুল মুজতাহিদীন, ইমামুল আইম্মা, হাকিমুল হাদীছ হযরত ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি। যাঁর প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “হযরত ইমাম ছুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমরা ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট এরূপ অবস্থায় আসতাম, যেরূপ চড়ুই পাখি বাজ পাখীর নিকট অবস্থান করত এবং নিশ্চয়ই ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন আলিমগণের মাথার তাজ।” আল্লামা ইবনে খালকান, তারিখে খতীব বাগদাদী হতে বর্ণনা করেন, ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কি ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দেখেছিলেন? তদুত্তরে তিনি বলেছেন, “হ্যাঁ, এরূপ ব্যক্তিকে দেখেছি যে, যদি তিনি এই স্তম্ভকে স্বর্ণের স্তম্ভরূপে প্রমাণ করতে চাইতেন, তবে যুক্তির মাধ্যমে তার প্রমাণ পেশ করতে পারতেন।” (সুবহানাল্লাহ)

হযরত ছুফিয়ান ইবনে ওয়াইনা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “যে ব্যক্তি ফিক্বাহ তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করে, তার জন্য কুফায় গমণ করা ও ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শিষ্যগণের ছোহ্বত লাভ করা আবশ্যক।” পাঠক! এমনিভাবে যাঁরা উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী, তাঁরা হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে ফিক্বাহ শাস্ত্রের পিতৃতুল্য বলে গণ্য করেছেন। কিন্তু সেই ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকেই উলামায়ে ‘ছু’রা তথা দাজ্জালে কাজ্জাবরা নানাভাবে মিথ্যা তোহমত দিয়েছে।  যেমন আল্লামা হাফিয ইবনে আব্দুল বার, “মুখতাদার জামায়িলে ইল্ম” কিতাবে লিখেন, “লোকেরা ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করত, তার মধ্যে যা কিছু নাই, তার উপর সে কথা আরোপ করত এবং তার পক্ষে যা সঙ্গত নয়, এরূপ বিষয়ের মিথ্যা দোষারোপ বা তোহমত তার প্রতি করা হতো।” উল্লেখ্য, তাঁকে মরজিয়া বলেও অভিহিত করা হতো। (শরহে মাওয়াকিফ) (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)। মু’তাজিলা মাহমুদ গাজ্জালী বলেছে- হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি শরীয়তকে উল্টিয়ে তার বাহিরকে ভিতর ও ভিতরকে বাহির করে দিয়েছেন, শরীয়তের পথ বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন এবং শরীয়তের কমরবন্দ কেটে দিয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে আরো মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল যে, তিনি ইসলামকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলতেন। ইসলামে তাঁর অপেক্ষা সমধিক মনহুছ (কুলক্ষণ বিশিষ্ট) কেউ পয়দা হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)  পাঠক! বলার অপেক্ষা রাখেনা, ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে উলামায়ে ‘ছু’রা এরূপ মহা জঘন্য মন্তব্য করেছে ও মিথ্যা তোহমত দিয়েছে, তাঁর সুপ্রসিদ্ধ, সুচিন্তিত, অকাট্য এবং নির্ভরযোগ্য মত ও দলীল সমৃদ্ধ ফতওয়ার কারণেই। ঠিক একইভাবে রাজারবাগ শরীফের ফতওয়া প্রজ্ঞাসম্পন্ন, বাস্তবসম্মত, অকাট্য, নির্ভরযোগ্য, ছহীহ্ ও দলীলসমৃদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে  এবং খারিজী, ওহাবী ও দাজ্জালে কাজ্জাবদের এতদিনের মনগড়া ফতওয়াকে খন্ডিয়ে দেয়ার কারণেই ওরা আজ রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে অপপ্রচারণায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩