যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১১

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে,

রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব।

খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১১


মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

 

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা? থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?


পূর্ব প্রকাশিতের পর

জবাবে আওলাদে রসূল, হযরত ইমাম বাকির আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “আপনিই কি সেই ইমাম আবূ হানীফা কুফী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি আমার নানাজান উনার (পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার) বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে থাকেন। জবাবে ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি যদি সত্যিই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিতাম, তবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মেয়েদের অসুস্থতার সময় নামায কাযা করতে হয় না। কিন্তু রোযার কাযা করতে হয়। অথচ পবিত্র নামায উনার গুরুত্ব পবিত্র রোযা থেকে অনেক বেশি। যদি আমি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধিতা করতাম, তবে ফতওয়া দিতাম যে, পবিত্র নামায কাযা করতে হবে, পবিত্র রোযা কাযা করতে হবে না কিন্তু আমি তা বলিনা। আবার সম্পত্তির ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ফতওয়া হলো- মেয়েরা সম্পত্তির একভাগ পাবে। আর ছেলেরা দু’ভাগ পাবে। যদি আমি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরুদ্ধেই ফতওয়া দিতাম, তবে ফতওয়া দিতাম, মেয়েরা সম্পত্তির দু’ভাগ পাবে, আর ছেলেরা পাবে একভাগ। কারণ মেয়েরা দুর্বলা ও অবলা। কিন্তু আমি তা বলি না। আর লটারীকে আমি নাজায়িয ফতওয়া দেই, যা সম্মানিত শরীয়ত উনারই ফতওয়া। অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছফরে যাওয়ার সময় হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের থেকে একজনকে নিয়ে যেতেন, তা ফয়ছালা করতেন লটারীর মাধ্যমে। আমি সে লটারীকে জায়িয ফতওয়া দেই। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে আমি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিলাম কোথায়?” একথা শুনে আওলাদে রসূল হযরত ইমাম বাকির আলাইহিস সালাম হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কপাল মুবারকে চুমু খেলেন এবং বললেন, “হে ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার গভীর ইলম ও সূক্ষ্ম সমঝ আপনাকে সকলের নিকট শত্রু বানিয়েছে।” (চলবে)

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার