যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৯

সংখ্যা: ২৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসব মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

১৪. প্রসঙ্গ: “সরকারী সাহায্য”

উল্লেখ্য, ধোঁকাবাজ ও প্রতারকগোষ্ঠীর ১৪নং বক্তব্যও ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া দলীলবিহীন। কেননা তারা কস্মিনকালেও প্রমাণ করতে পারবে না যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সরকারী কোন আমলাদের সাহায্য নেয়ার জন্য তাদের দরবারে যান। বরং ঐ সমস্ত মুনাফিক গোষ্ঠীরাই সরকারী ফায়দা লুটার জন্য সরকারী আমলাদের দরবারে ধর্না দিয়ে থাকে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “ঐ আমীর তথা রাজা-বাদশা উত্তম যে অলীআল্লাহগণ উনাদের দরবার শরীফে ঘুরাফিরা করে।

মূলত, আমীর উমরাহ থেকে শুরু করে সর্বশ্রেণীর লোকেরা ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দরবার শরীফে দ্বীনি ফায়দা গ্রহণের জন্য আসে। তিনি কোন সরকারে মুখাপেক্ষী নন। তাছাড়া মুনাফিক গোষ্ঠী কি প্রমাণ করতে পারবে যে, সরকারী সাহায্য গ্রহণ করা নাজায়িয বা সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ। সরকার এবং তার সকল ব্যবস্থাপনা তো জগনণের সাহায্য সহযোগিতা করার জন্যই। এজন্য জনগণ তাদেরকে টেক্স দিয়ে থাকে। মুনাফিক গোষ্ঠীরাও তো অনেক ক্ষেত্রেই সরকারী সাহায্য-সহযোগিতা নিচ্ছে, এটা তারা অস্বীকার করতে পারবে কি? পারবে না। তাহলে তাদের বক্তব্য মুতাবিক তারাই কাদিয়ানী।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

খতীব-মাহিউদ্দীন গং ও দাজ্জালে কাজ্জাবা এবং একজন সাইফুল্লাহ মুনীর-এর কথা 

তথাকথিত ইসলামী রাজনীনিতে মশগুল হয়ে, ইসলাম ফেলে তারা এখন ভোটের রাজনীতির অনিবার্য অঙ্গ লোক দেখানো প্রবণতায় মশগুল হয়ে এক একজন মহা ‘রিয়া’ কারে পরিণত হয়েছে        

সরকার বনাম আলিমের অবস্থান ॥  হাইকোর্টের ফতওয়া বিরোধী রায় ও ফতওয়ার মূল্যায়ন এবং কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণায় সরকারের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গেঃ  এখনকার মাওলানা নামধারীদের তুলনায় আগেকার রাজা-বাদশাহরাও অনেক বেশী ধার্মিক ছিলেন। ধর্ম নিজেরা যতটুকু পারতেন করতেন কিন্তু ধর্মের প্রতি, ধর্মবেত্তাদের তথা আলিমদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ ছিল অনেক বেশী।   

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১