যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৪৭

সংখ্যা: ১৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)   উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

 (১৪-১৫-১৬) স্বপ্ন সম্পর্কে কায্যাবুদ্দীনের মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার কলঙ্কিত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” কয়েকটি স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছে। যেমন- “(১) কাঁচের ঘরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারজন ওলীকে প্রবেশ করানো, (২) চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি খাছ সুন্নত হওয়া প্রসঙ্গে, (৩) স্বপ্নে “আওলাদে রসূল” হওয়ার সংবাদ পাওয়া।” “মিথ্যাচারিতার খ-নমূলক জবাব” কায্যাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, কায্যাবুদ্দীন স্বপ্নের ব্যাপারে উপরে যে তিনটি তথ্য উল্লেখ করেছে তন্মধ্যে দু’টি সত্য, অর্থাৎ “কাঁচের ঘর… ও চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি” সম্পর্কিত স্বপ্ন দু’টি অবশ্যই সত্য। আর তৃতীয় তথ্যটি, অর্থাৎ স্বপ্নে ‘আওলাদে রসূল’ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার তথ্যটি সম্পূর্ণই মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ আওলাদে রসূল সম্পর্কে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এরূপ কোন বক্তব্য প্রচার করেছেন তার একটি প্রমাণও কায্যাবুদ্দীন দেখাতে পারবেনা। দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, স্বপ্ন শরীয়তেরই একটি অংশ। নবুওওয়াতের ৪৬ ভাগের একভাগ হচ্ছে স্বপ্ন। নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের স্বপ্ন হচ্ছে ওহীর অন্তর্ভুক্ত। যা বিশ্বাস করা ও মানা সকলের জন্যেই ফরয। আর কামিল ও হক্কানী ওলীগণের স্বপ্ন হচ্ছে ‘ইল্হাম-ইল্ক্বা’-এর অন্তর্ভুক্ত, যদি তা কুরআন-সুন্নাহর খিলাফ  না হয়। এ ধরনের স্বপ্ন অবশ্যই শরীয়তে গ্রহণযোগ্য ও অনুসরণীয়। সুতরাং কুরআন সুন্নাহ্র খিলাফ স্বপ্ন যেরূপ দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তদ্রুপ কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কোন স্বপ্নকে অস্বীকার বা অবজ্ঞা করার অধিকারও কারো নেই। কারণ “স্বপ্ন শরীয়তে দলীল নয়” এ ধরনের পাইকারী ফতওয়া দিয়ে যদি হক্ব স্বপ্নকেও অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা হয়, তবে তো শরীয়তে স্বপ্নের কোন গুরুত্বই থাকেনা। অথচ শরীয়তে স্বপ্নের গুরুত্ব রয়েছে বলেই প্রায় সকল আউলিয়ায়ে কিরামই স্বপ্ন বর্ণনা করেছেন এবং কিতাবেও লিপিবদ্ধ করেছেন। আর সকলেই সেগুলো সাদরে গ্রহণও করেছেন। ‘শরফুন নবী’ বা ‘স্বপ্নযোগে রসূল’ কিতাব দু’খানাই এর দলীল হিসেবে যথেষ্ট। কায্যাবুদ্দীন যেন ভাল করে উক্ত কিতাব দু’খানা অধ্যায়ন করে নেয়। শুধু তাই নয় বরং অনেক হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ থেকে স্বপ্ন শুনেছেন ও তার ব্যখ্যাও করেছেন। (চলবে)

– মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২