যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ৩৮

সংখ্যা: ১৬৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  (২০) হাবীবুল্লাহ লক্বব ব্যবহার করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, চরম বেয়াদব কায্যাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “তার খেতাবের মধ্যে জঘন্য বেয়াদবী সূচক খেতাবও রয়েছে যেমন, তিনি “হাবীবুল্লাহ” খেতাব ব্যবহার করেছেন। অথচ হাবীবুল্লাহ বলতে একমাত্র রাসূল (সাঃ) কেই সকলে বুঝে থাকেন। এখন নিজের  জন্য এই খেতাব ব্যবহারকে হয় জঘন্য বেয়াদবী বলতে হবে নতুবা বলতে হবে তিনি রাসূল (সাঃ) এর সমান মাকাম বা মর্যাদার দাবী করছেন, যা হবে কুফরীর পর্যায়ভূক্ত ……।” “মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব” (দ্বিতীয় অংশ) দ্বিতীয়তঃ কায্যাবুদ্দীনের ফতওয়া মতে “হাবীবুল্লাহ” নাম ধারণকারী সকলেই বেয়াদব  ও কাফির বলে সাব্যস্ত হয়। কারণ “হাবীবুল্লাহ” বলতে কায্যাবুদ্দীনের মতে রসূল  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয। তাই কায্যাবুদ্দীনের মতে “হাবীবুল্লাহ” নাম রাখা কুফরী। কারণ এতে রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাবী  করা হয়। গোমরাহ আর মূর্খ কাকে বলে? তৃতীয়তঃ  কায্যাবুদ্দীনের  মতে হযরত উছমান যিন্ নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কাফির। (নাঊযুবিল্লাহ)। কারণ সকলেই জানে যে, ‘গনী’ হলেন আল্লাহ পাক।  কেননা কালামে পাকে আল্লাহ পাক নিজেই নিজেকে ‘গনী’ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন ইরশাদ  হয়েছে,

والله الغنى وانتم الفقراء

 অর্থাৎ “আল্লাহ পাক ‘গনী’ আর তোমরা ফক্বীর।” (সূরা মুহম্মদ/৩৮) অথচ দুনিয়ার সকলেই জানে যে, হযরত  উছমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর অসংখ্য খিতাবের মধ্য হতে একখানা খেতাব বা  লক্বব হচ্ছে ‘গনী’। নিশ্চয়ই কায্যাবুদ্দীনের মতে তিনি আল্লাহ পাক-এর সমান মাক্বাম মর্যাদা দাবী করার কারণে বেয়াদব ও কাফির। (নাঊযুবিল্লাহ) চতুর্থতঃ কায্যাবুদ্দীনের মতে পূর্ববর্তী দু’জন মশহুর ‘ওলীআল্লাহ’ কাফির। তাদের একজন হলেন, হযরত যুননুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আর অপরজন হচ্ছেন, সুলতানুল হিন্দ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। কারণ উভয়েরই লক্বব বা খেতাব  ছিল ‘হাবীবুল্লাহ’। পঞ্চমতঃ কায্যাবুদ্দীনের ফতওয়া মতে ‘হাবীবুল্লাহ’ খিতাব ব্যবহার করলে যদি  রসূল-এর  সমান মাক্বাম দাবী করা হয় তবে বলতে হবে যে, স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই উম্মতকে এ মাক্বামে অধিষ্ঠিত করেছেন। কারণ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

السخى حبيب الله ولو كان فاسقا

অর্থাৎ “দানশীল ব্যক্তি ‘হাবীবুল্লাহ’ যদিও সে ফাসিক হয়।” (লুগাতুল হাদীছ) কি কায্যাবুদ্দীন? দানশীল ব্যক্তিকে ‘হাবীবুল্লাহ’ খেতাব দিয়ে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি দানশীলের মাক্বাম ও মর্যাদা নিজের সমান করে দিয়েছেন? (নাঊযুবিল্লাহ) তাছাড়া যারা সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন, তাঁরা সকলেই ‘হাবীবুল্লাহ’। কারণ ‘হাবীবুল্লাহ’ তাঁকেই বলা হয়, আল্লাহ পাক যাকে মুহব্বত করেন। আর আল্লাহ পাক তাকেই মুহব্বত করেন যিনি সুন্নতের পূর্ণ ইত্তেবা করেন। এটা কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। যেমন ইরশাদ হয়েছে,

قل ان كنتم تحبون الله فا تبعونى يحبب كم الله

অর্থাৎ “(হে হাবীব!  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহ পাককে মুহব্বত করতে চাও তবে আমার ইত্তেবা কর। (যদি আমাকে ইত্তেবা কর) তবে আল্লাহ পাক তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন।” (সূরা আলে ইমরান/৩১) অতএব, আমভাবে সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরামগণই ‘হাবীবুল্লাহ’। তবে খাছভাবে প্রকাশ পেয়েছে হযরত জুন্নুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সুলতানুল হিন্দ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহ-এর ক্ষেত্রে। তাঁদের কপাল মুবারকে কুদরীতীভাবে লিখা উঠেছিল,

هذا حبيب  الله مات فى حب الله

অর্থাৎ “ইনি ‘হাবীবুল্লাহ’ ইনি আল্লাহ পাক-এর মুহব্বতে ইন্তেকাল করেছেন।” (তাযকেরাতুল আউলিয়া, মুঈনুল হিন্দ) উপরোক্ত বিস্তারিত ও দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করা বেয়াদবী বা কুফরী নয়। কারণ স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব দানশীলকে “হাবীবুল্লাহ” বলে হাদীছ শরীফে উল্লেখ করেছেন। পৃথিবীর দু’জন শ্রেষ্ঠ, সর্বজনমান্য, অনুসরণীয় ও মাকবূল ওলীর লক্বব ছিল ‘হাবীবুল্লাহ’। তবে কি আল্লাহ পাক-এর হবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আউলিয়ায়ে কিরামগণ জানতেন না যে উম্মতের জন্যে ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব ব্যবহার করা বেয়াদবী ও কুফরী বা এতে রসূলের সমান মাক্বাম বা মর্যাদা দাবী করা হয়? তাছাড়া ‘হাবীবুল্লাহ’ বলতে রসূলকে বুঝালে যদি তা বেয়াদবী ও কুফরী হয় তবে তো মাওলানা, গণী, হাকীম লক্বব ব্যবহারকারীও বেয়াদব ও কাফির। কারণ মাওলানা, গণী ও হাকীম বলতে মানুষ আল্লাহ পাককেই বুঝে থাকে। “সুতরাং কায্যাবদ্দীনের বক্তব্য মনগড়া, বানোয়াট, কল্পনা প্রসূত, বিদ্বষমুলক, স্ববিরোধী, দলীলবিহীন ও কুফরীমূলক প্রমাণিত হলো।”

 -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২