যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব । খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব – ৩৬

সংখ্যা: ১৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হকের বিরোধিতা করেছে, হকে বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব কিবলা যুদ্দা জিলছল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাটা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যার, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৯)

কায্যাবুদ্দীন তার “ভ্রান্ত মতবাদে” মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭৩তম সংখ্যার ‘মতামত বিভাগে প্রদত্ত একটি বক্তব্য কাঁটছাট করে উপস্থাপন করেছে। যা দ্বারা সে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে যে, “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নিজেকে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন।” (নাউযুবিল্লাহি মিন কাযযাবুদ্দীন)

যেমন সে লিখেছে, কিন্তু রাজারবাগের পীর ছাহেব কিবলা (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। যেমন তার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় লেখা হয়েছেঃ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ- “আমি উরু করতে করতে ছিদ্দীকে আকবার হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাক্কাম অতিক্রম করলাম।

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

(যষ্ঠ অংশ)

এই পত্রখানি পেশ করার দরুন বাদশাহ জাহাঙ্গীর দুঃখিত হইলেন এবং হযরত মুজাদ্দিদ (র) কে শাহী দরবারে ডাকাইয়া আনিয়া এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেন। হযরত মুজাদ্দিদ (র) উত্তরে বলিলেন, “আহলে সুন্নাতগণের নিকট যেমন ঐ ব্যক্তি সুন্নী নহেন যিনি হযরত আলী (রা)-কে হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) হইতে শ্রেষ্ঠ মনে করেন; অনুরূপভাবে সূফীগণের নিকটও ঐ ব্যক্তি সূফী নহেন, যিনি নিজকে সৃষ্ট জীবের মধ্যে নিকৃষ্ট কুকুর হইতে ভালো মনে করেন।

অতএব আমি নিজকে কিরূপে হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) হইতে শ্রেষ্ঠ মনে করিতে পারি। পীরের তাওয়াজ্জুহের দরুন সালেকগণ কিরূপে এক মাকাম হইতে অন্য মাকামে ভ্রমণ করে ও উন্নীত হয় তাহার বর্ণনা এই মকতবে উল্লেখ করা হইয়াছে। সালেকগণের উরুজ বা উত্থান এইরূপ মাকামে অল্প সময়ের জন্য হইয়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, শাহী দরবারে আমীরগণ রাত্র দিবস হাজির থাকেন।

যদি কোন সময় প্রয়োজনবশতঃ বা অন্য কোন অজুহাতের দরুন বাদশাহ কোন সিপাহীকে তলব করিয়া তাহার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করিয়া

তাহাকে সম্মানিত করেন, ডাহা হইলে উহা একটি অস্থায়ী ব্যাপার। ক্ষণিক পরেই সিপাহী নিজ স্থানে প্রত্যাবর্তন করে এবং দরবারী স্বীয় বুলন্দ মাকামেই অবস্থান করেন। এই অস্থায়ী নৈকট্যের দরুন সিপাহীর মর্যাদা বাদশাহের অমাত্যগণ হইতে উচ্চ মনে করা যাইতে পারেনা। এইভাবে আমাদের উরুজ বা উত্থান একটি সাময়িক অবস্থা। এই অবস্থা শেষ হওয়ার পর আমি পুনঃ সিরহিন্দে পুরাতন পর্ণ কুটিরেই ফিরিয়া আসি। এই হাকীকতটি উপলব্ধি করার পর এই উচ্চ মাকামে সিদ্দিকী অর্থাৎ সিদ্দিকে আকবর (রা) হইতে নিজকে শ্রেষ্ঠ হওয়ার ধারণা করাও অসম্ভব।

ইহা বার্তীত এই পত্রে ইহাও লিখিত আছে যে, এই মাকামের প্রতিবিম্বের দরুন আমি নিজকে স্বয়ং রঙিন পাইলাম। সূর্যের আলো এবং ইহা হইতে আলোকপ্রাপ্ত হওয়াকে উদাহরণস্বরূপ পেশ করা যাইতে পারে। সূর্য সূর্যই থাকে- জমিনের উপর উহার আলোক পতিত হইলে জমিন আলোকিত হয়। কিন্তু জমিন কি ইহার কারণে সূর্যের সমকক্ষতার দাবি করিতে পারে ? এইরূপ দলীল ও প্রমাণের দ্বারা হযরত মুজাদ্দিদ (র) বাদশাহকে বুঝাইবার পর বাদশাহ শান্ত হইলেন এবং শান্তি দান করিবার পরিবর্তে তাঁহাকে সসম্মানে বিদায় দান করিলেন। বিরোধীদলের জন্য এই পরাজয় বরদাত্তযোগ্য ছিল না। তাহারা তখন অন্য ব্যবস্থা অবলম্বন করিল।” (হযরত মুজাদ্দিদ আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১ २ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত দলীলভিত্তক বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হলো তা হচ্ছে, (১) “ইমামুছ ছিদ্দীকীন’ লক্বব ব্যবহার করা শরীয়ত সম্মত। কারণ পূর্ববর্তী অনেকেই উক্ত লকব ব্যবহার করেছেন। যেমন তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং বড়পীর ছাহেব কিবলা

অন্যতম। লকবগুলো প্রত্যেকের যামানার জন্যে খাছ।

(২) “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নিজেকে ছিদ্দীকে আকবারের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করেন” কাযযাবুদ্দীনের এ বক্তব্য ডাহা মিথ্যা, প্রতারণা ও উদ্দেশ্যমূলক।

(৩) রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব কিবলা-এর আকীদা হলো, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ নবী-রসূলগণের পর। তন্মধ্যে হযরত আবু বরক ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সর্ব শ্রেষ্ঠ। কাজেই যারা ছাহাবী নন, তারা ছাহাবীর চেয়ে বেশী বা সমপরিমাণ মর্যাদার দাবী করা কুফরী।

(৪) কাযযাবুদ্দীন একজন প্রতারক ও ধোকাবাজ। কারণ সে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আল বাইয়্যিনাভের বক্তব্য কাঁটছাট করেছে। পূর্বাপর বক্তব্য বাদ দিয়ে মাঝখান থেকে একটি বক্তব্য তুলে দিয়ে সে জনগণকে ধোকা দিতে চেয়েছে।

(৫) “আমি উক্রয় করতে করতে ছিদ্দীকে আকবরের মাঝাম অতিক্রম করলাম” এটা অন্তি ভক্তদের দ্বারা রচিত বা বানানো কোন কথা নয়। এটা স্বয়ং মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কুণ্ডল মুবারক, যা তাঁর নিজের লিখা কিতাবেই রয়েছে।

কায্যাবুদ্দীন “এটাকে সত্য বলে মেনে নেয়া যায়না” বলে নিজেকে সত্য প্রত্যাখানকারী এবং মুজাদ্দিদে আলফে ছানী-এর বিদ্বেষী ও আশাদুদ দরজার জাহিল বলেই নিজেকে প্রমাণ করলো।

(৬) উক্ত বক্তেব্যর দ্বারা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি যে, নিজেকে হযরত ছিদ্দীকে আকবরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণ করেননি তাও তাঁর ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। এখন কায্যাবুদ্দীন মুখ লুকাবে কোথায়?

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২