যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৩৫

সংখ্যা: ১৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

 মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

 (১৯)

কায্যাবুদ্দীন তার “ভ্রান্ত মতবাদে” মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭৩তম সংখ্যার ‘মতামত বিভাগে’ প্রদত্ত একটি বক্তব্য কাঁটছাট করে উপস্থাপন করেছে। যা দ্বারা সে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে যে, “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নিজেকে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন।” (নাউযুবিল্লাহি মিন কায্যাবুদ্দীন) যেমন সে লিখেছে, “………. কিন্তু রাজারবাগের পীর ছাহেব ক্বিবলা (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। যেমন তার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় লেখা হয়েছেঃ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ- “আমি উরুয করতে করতে ছিদ্দীকে আকবার হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাক্বাম অতিক্রম করলাম। ………..”

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

(পঞ্চম অংশ)

 মূলতঃ কায্যাবুদ্দীন যেরূপ আল বাইয়্যিনাতে প্রকাশিত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উক্ত বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা না বুঝার কারণে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা-এর  নামে মিথ্যা তোহমত দিয়েছে যে, “তিনি নিজেকে ছিদ্দীকে আকবরের চেয়েও বড় মনে করেন।” (নাঊযুবিল্লাহি)  ঠিক অনুরূপভাবেই কায্যাবুদ্দীনের পূর্বসূরী তৎকালীন সময়ের কুখ্যাত উলামায়ে ‘ছূ’ আবূল ফযল, ফৈজী, মুল্লা মুবারক গংও হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উক্ত বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা না বুঝার কারণে তাঁর প্রতি মিথ্যা তোহমত দিয়েছিল যে, “হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেকে ছিদ্দীকে আকবরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ মনে করেন।” (নাউযুবিল্লাহ)

 সাথে সাথে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিরুদ্ধে তৎকালীন বাদশাকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্যে উলামায়ে ‘ছূ’রা  নালিশ জানায়। তখন বাদশা জাহাঙ্গীর হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট উক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্যে আরয করেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন উক্ত বক্তব্যের  সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন, তখন উলামায়ে ছূদের মুখে চুনকালী পরে যায়। তাদেরই উত্তরসূরী বর্তমান যামানার উলামায়ে ছূ’ কায্যাবুদ্দীন গংদের মুখে চুনকালি মেরে দেয়ার উদ্দেশ্যে এ সম্পর্কিত তথ্যাবলী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নির্ভরযোগ্য জীবনী গ্রন্থ থেকে নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-

 “সম্রাজ্ঞী নূরজাহানের অসীম প্রভাবের দরুন বাদশাহ জাহাঙ্গীরের রাজদরবারে রাফেযীদের  প্রভাব অতিশয় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিল। হযরত মুজাদ্দিদ (র) এই মাযহাবের বিরুদ্ধে কতিপয় পুস্তক-পুস্তিকা রচনা করিয়াছিলেন। যাহার ফলে এই সম্প্রদায় তাঁহার ঘোর শত্রুতে পরিণত হইয়াছিল। তাহারা হযরত  মুজাদ্দিদ (র) কে জব্দ করিবার জন্য তৎপর হইয়া উঠিল। তাহারা সুযোগ বুঝিয়া হযরত মুজাদ্দিদ (র) কর্তৃক হযরত খাজা বাকীবিল্লাহ (র) কে লিখিত একটি পত্র বাদশাহর সম্মুখে পেশ করিয়া বাদশাকে বুঝাইয়া দিল যে, শেখ আহমদ (র) নিজকে হযরত ছিদ্দীকে আকবর (রা) হইতে শ্রেষ্ঠ মনে করেন এবং তিনি বলেন যে, তাহার মাকাম হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) এর মাকাম হইতে উচ্চে। উক্ত পত্র খানির অংশ বিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত করা হইলঃ “দ্বিতীয়বার এই মাকাম অবলোকন করিবার সময় আরও অনেক মাকাম দৃষ্টিগোচর হয়, যাহার একটি অন্যটি হইতে উচ্চ ছিল। যখন উহা হইতে অধিকতর উচ্চ মাকামে পৌছিলাম তখন বুঝিলাম এই মাকামটি হযরত উসমান গনী (রা) এর এবং অন্য খলীফাগণও এই মাকাম অতিক্রম করিয়াছেন। এই স্থান হইতে অধিক উচ্চ হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) এর মাকাম জাহির হইল। এই স্থানেও আসিয়া পৌছিলাম।

 খাজা বুযুর্গ হযরত শাহ্ নক্শবন্দ (র) কে প্রত্যেক স্থানে এই ভাবে আমার সঙ্গীরূপে দেখিলাম যেন মাত্র অতিক্রম করার তফাৎ ছিল। হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) এর মাকাম হইতে উচ্চ কোন মাকাম বুঝিতে  পারি নাই। অবশ্য নবুয়তের মাকাম অত্যন্ত বুলন্দ ও উচ্চ ছিল। হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা) এর মাকামের বরাবর আর একটি অতি উত্তম ও বহুত নূরানী মাকাম দৃষ্টিগোচর হয়, যাহা হইতে অধিক উত্তম অন্য কোন মাকাম দৃষ্টিগোচর হয় নাই। মাকামে সিদ্দিকী হইতে উহা কেবল এতটুকু উচ্চ ছিল যেরূপ জমিন হইতে সভামঞ্চ কিয়ৎ পরিমাণ উচ্চ হইয়া থাকে। আমি জানিতে পারিলাম যে,  ইহা ‘মাহবুবিয়াতের  মাকাম’। এই মাকামটি রঙিন ও নকশা খচিত ছিল। এই মাক্বামের প্রতিচ্ছায়া পড়িবার দরুন এই বান্দা নিজকে রঙ্গিন ও উক্ত নক্শায় নিজকে খচিত দেখিল। তৎপর রঙিন ও নক্শা খচিত এই অবস্থা সত্ত্বেও আমি নিজকে বড়ই সূক্ষ্ম (লতীফ) অনুভব করিতে লাগিলাম এবং বাতাস ও মেঘের টুকরার ন্যায় নিজকে আকাশের চক্রবালে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় অনুভব করিতে লাগিলাম। এই অবস্থায় এক প্রান্তে যাইয়া পৌঁছিলাম। হযরত খাজা বুযুর্গ (র) মাকামে সিদ্দিকের মধ্যে রহিলেন এবং আমি নিজকে ইহার বরাবরের মাকামে উল্লিখিত অবস্থায় দেখিতে লাগিলাম।” (মকতুব নং ১১, দফতর ১)

 -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক,  বাসাবো, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন