যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৩১

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা, লিফলেট, বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  (১৮) আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তাঁর গোমরাহী মূলক রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “………. তাঁর ব্যবহৃত এসব খিতাবের মধ্যে আহলুস্ সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বহির্ভুত অনেক দাবীও এসে গেছে। যেমন- ইমামুস সিদ্দীকীন বা সিদ্দীকগণের ইমাম। এই সিদ্দীকীনদের মধ্যে রয়েছেন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) ও, যার মর্যাদা উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ঊর্ধ্বে।” মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব- ২ এতো গেল পূর্ববর্তী ইমাম-মুজতাহিদগণের ব্যাপার। এবার কায্যাবুদ্দীনের মুরুব্বী দেওবন্দীদের ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। কায্যাবুদ্দীনের মুরুব্বী তার কাছে নবীতুল্য আশরাফ আলী থানবী ছাহেবের একটি লক্বব হচ্ছে “হাকীমুল উম্মাতিল মুহম্মদিয়া” অর্থাৎ সমস্ত উম্মতে মুহম্মদীর হাকীম। অথচ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালামসহ সমস্ত নবী-রসূলগণ, সকল ছাহাবাগণ, সকল তাবিয়ীগণ, সকল তাবে তাবিয়ীগণ, সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও ওলীগণ, এমনকি হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস্ সালাম।  তাহলে কায্যাবুদ্দীনের ফতওয়া মুতাবিক আশরাফ আলী থানবী ছাহেব বড় কাফির। কারণ প্রথমতঃ সে আল্লাহ হওয়ার দাবী করেছে। কারণ আল্লাহ পাক হচ্ছেন ‘হাকীম’। যেমন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,  “আল্লাহ পাক আলীম ও হাকীম।” (সূরা নিসা/২৬)

দ্বিতীয়তঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত সে সকল নবী-রসূল ছাহাবী ও ওলীগণের হাকীম বা শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী করেছে।  থানবী ছাহেবের এ ধরনের আরো বহু লক্বব রয়েছে, যা দ্বারা কয্যাবুদ্দীনের ফতওয়া মুতাবিক প্রমাণিত হয় যে, থানবী ছাহেব হযরত ছাহাবাগণের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী করেছে। যেমন- আ’যামুল মুফাস্সিরীন, আমীরুল মু’মিনীন ফিত্ তাফসীর ওয়াল হাদীছ ওয়াল ফিক্বাহ, আশরাফুল উলামাই ওয়াল আউলিয়াইল কামিলীন, রঈসুল মুফাস্সিরীন, তাজুল মুহাদ্দিছীন। (তথ্যসূত্র- আহকামুল কুরআন লি জাফর আহমদ ওছমানী, মুকাদ্দমায়ে ইলাউস্ সুনান, ইমদাদুল আহকাম, তাবলীগে দ্বীন, ফজলুল মাজহুদ, ইমদাদুল ফতওয়া, আত তানবীহুত ত্ববারী।) কাজেই কায্যাবুদ্দীনের ফতওয়া মুতাবিক শুধু থানবী ছাহেবই নয় বরং কায্যাবুদ্দীনসহ যে বা যারা থানবী ছাহেবকে “হাকীমুল উম্মত” বলে প্রচার করে ও বিশ্বাস করে তারা সকলেই কাফির। এবার আমরা দেখতে চাই হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন নিজের ও নিজের মুরুব্বীদের উপর দেয়া কুফরী ফতওয়া কি করে রদ করে। প্রবাদ রয়েছে- “উপর দিকে থুথু দিলে নিজের গায়েই তা পরে।” কায্যাবুদ্দীন “ইমামুছ ছিদ্দিকীন”-এর অপব্যাখ্যা করে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে কাফির বানাতে গিয়ে সে নিজে ও তার মুরুব্বীরাই কাফির বলে সাব্যস্ত হলো। কাজেই প্রমাণিত হলো যে, “ইমামুছ ছিদ্দিক্বীন” লক্বব ব্যবহার করা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদা বহির্ভুত কোন বিষয় নয়। বরং তা অবশ্যই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদা সম্মত।  যদি তা “ফি যামানিহী” অর্থাৎ যার যার যামানার ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়। কেননা কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক যামানাতেই ছিদ্দীক্বগণ থাকবেন। এটা কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। যেমন কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় কর এবং ছিদ্দীক্বগণের সঙ্গী হও।” (সূরা তওবা/১১৯)

এতে বুঝা গেলো যে, প্রতি যামানাতেই পৃথিবীতে ‘ছিদ্দীক্বগণ’ থাকবেন। ছিদ্দীক্বগণের যিনি প্রধান তিনিই হচ্ছেন সে যামানার “ইমামুছ্ ছিদ্দিক্বীন।” (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন