যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ২৭

সংখ্যা: ১৫০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৬)

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “………ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “নিজের নামের আগে পিছে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যোগ করেননি।”

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

যাক কায্যাবুদ্দীন গং তাহলে অবশেষে সুর পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। আগে তারা বলতো স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও এত লক্বব ছিলনা। আর এখন বলছে উম্মত এত লক্বব ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মত এত লক্বব ব্যবহার না করলেও উম্মতের যিনি রসূল, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত লক্বব ব্যবহার করেছেন। সুতরাং কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারাই লক্বব ব্যবহার ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হয়। অতএব, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য লক্বব ব্যবহার করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত এবং কায্যাবুদ্দীনও তা অস্বীকার করেনি। সেখানে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এ বক্তব্য প্রদান করা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে উক্ত বক্তব্য একেবারেই মূল্যহীন।  শুধু মূল্যহীনই নয় বরং তার উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যাও বটে। কারণ পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণেরই অসংখ্য লক্বব ছিল। নিম্নে তার কিছু দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পেশ করা হলো-

[ধারাবাহিক]

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, উম্মতের বড় বড় অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণের অসংখ্যা লক্বব রয়েছে। এমনকি কায্যাবুদ্দীনের গুরু থানবী ছাহেবেরও প্রায় ৬১টিরও বেশি লক্বব রয়েছে। এটা কায্যাবুদ্দীন নিজেও তার উক্ত ভ্রান্ত পুস্তিকায় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। যেমন, সে লিখেছে, “ ……… মাওলানা আশরাফ আলী থানবী ছাহেবের লক্বব ছিল প্রায় ৬১ টি। …….. বিভিন্ন জন তাদের প্রশংসায় যেসব শব্দাবলী ব্যবহার করেছেন তা গণনা করলে হয়তবা এ রকম সংখ্যা দেখানো যাবে।”

তবে এক্ষেত্রে কায্যাবুদ্দীন আবারও জিহালতী ও গোমরাহীর পরিচয় দিয়েছে এবং সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা তথ্য সংযুক্ত করেছে। সে লিখেছে,  “….. তারা নিজেদের নামের সাথে জুড়ে দেননি।” তদুপরি তারা ….. খেতাবের বহর জুড়ে দেয়াকে সুন্নত মনে করেননি।”

কে নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দিয়েছে আর কাকে অন্যজন দিয়েছে, সেটা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হচ্ছে নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া। অর্থাৎ নিজের লক্বব নিজে প্রকাশ করা জায়িয় না নাজায়িয?

কায্যাবুদ্দীন এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট ফায়সালা দিতে পারেনি। সে যদি মনে করে যে “নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া জায়িয।” তবে তার উক্ত বক্তব্য অবান্তর ও অযৌক্তিক বলে প্রমাণিত হয়। আর যদি সে নাজায়িয মনে করে, তবে তাকে দলীল দিতে হবে যে, কুরআন-সুন্নাহ্র কোথায় উল্লেখ আছে যে, নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া নাজায়িয?

মূলতঃ শরীয়তের সঠিক ও দলীল ভিত্তিক ফতওয়া হলো, “নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়াকে নাজায়িয বলা কাট্টা কুফরী।” কারণ স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের সাথে বহু লক্বব মুবারক সংযুক্ত করেছেন। হাদীছ শরীফে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

عن ابن عباس رضى الله عنه قال جلس ناس من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج حتى اذا دنا منهم سمعهم يتذاكرون قال بعضهم ان الله اتخذ ابراهيم خليلا وقال اخر موسى كلمه تكليما وقال اخر فعيسى كلمة الله وروحه وقال اخر ادم اصطفاه الله فخرج عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال قد سمعت كلامكم وعجبكم ان ابرهيم خليل الله وهو كذلك وموسى نجى الله وهو كذلك وعيسى روحه وكلمته وهو كذلك وادم اصطفاه الله وهو كذلك الا وانا حبيب الله ولافخر وانا حامل لواء الحمد يوم القيمة تحته ادم فمن دونه ولافخر وانا اول شافع واول مشفع يوم القيامة ولافخر وانا اول من يحرك حلق الجنة فيفتح الله لى فيدخلنيها ومعى فقراء المؤمنين ولافخر وانا اكرم الاولين والاخرين على الله ولافخر.

অর্থঃ- “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কতিপয় ছাহাবী এক স্থানে বসে কথাবার্তা বলছিলেন। এই সময় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই দিকে যাচ্ছিলেন এবং তাঁদের নিকটে পৌঁছে তাঁদের কথাবার্তা ও আলোচনাগুলো  শুনলেন। তাঁদের একজন বললেন, আল্লাহ পাক হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামকে খলীল বানিয়েছেন। আরেকজন বললেন, হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম কালীমুল্লাহ্ ছিলেন, আল্লাহ পাক যাঁর সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। অপর একজন বললেন, হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম ছিলেন কালিমাতুল্লাহ্ ও রূহুল্লাহ্ এবং আরেকজন বললেন, হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে আল্লাহ তা’য়ালা ছফীউল্লাহ্ বানিয়েছেন। ”

এমন সময় রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন, “আমি তোমাদের কথাবার্তা এবং তোমরা যে বিস্ময় প্রকাশ করেছ, তা শুনেছি। ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম যে খলীলুল্লাহ্ ছিলেন এটা ঠিক। মুসা আলাইহিস্ সালাম যে সরাসরি আল্লাহ পাক-এর সাথে কথাবার্তা বলেছেন এটাও সত্য কথা। ঈসা আলাইহিস্ সালাম যে রূহুল্লাহ্ ও কালিমাতুল্লাহ্ ছিলেন এটাও প্রকৃত কথা এবং আদম আলাইহিস্ সালাম যে আল্লাহ পাক-এর মনোনীত ও মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন এটাও সম্পূর্ণ বাস্তব।

তবে জেনে রাখ, আমি হলাম “আল্লাহ পাক-এর হাবীব’, এতে গর্ব নেই এবং ক্বিয়ামতের দিন আমিই হাম্দের ঝাণ্ডা উত্তোলন ও বহনকারী হব। আদম আলাইহিস্ সালাম ও অন্যান্য নবীগণ উক্ত ঝান্ডার নীচেই থাকবেন, এতে গর্ব নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই হব সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবুল করা হবে, এতে গর্ব নেই। আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজার কড়া নাড়া দিব এবং আল্লাহ পাক আমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিবেন এবং আমাকে  প্রবেশ করাবেন। আর আমার সঙ্গে থাকবে খালিছ ঈমানদারগণ, এতে গর্ব নেই। পরিশেষে কথা হল, আর আমিই পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত, এতেও গর্ব নেই।” (তিরমিযী, দারিমী) (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন