যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধীতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব- ২৪

সংখ্যা: ১৪৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

[ধারাবাহিক]

(১৬)

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “………ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “নিজের নামের আগে পিছে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যোগ করেননি।”

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

যাক কায্যাবুদ্দীন গং তাহলে অবশেষে সুর পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। আগে তারা বলতো স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও এত লক্বব ছিলনা। আর এখন বলছে উম্মত এত লক্বব ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মত এত লক্বব ব্যবহার না করলেও উম্মতের যিনি রসূল, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত লক্বব ব্যবহার করেছেন। সুতরাং কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারাই লক্বব ব্যবহার ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হয়।

অতএব, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য লক্বব ব্যবহার করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত এবং কায্যাবুদ্দীনও তা অস্বীকার করেনি। সেখানে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এ বক্তব্য প্রদান করা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে উক্ত বক্তব্য একেবারেই মূল্যহীন। শুধু মূল্যহীনই নয় বরং তার উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যাও বটে। কারণ পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণেরই অসংখ্য লক্বব ছিল। নিম্নে তার কিছু দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পেশ করা হলো-

ক্বাদেরিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত

বড় পীর আব্দুল ক্বাদির জ্বিলানী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর লক্বব মুবারক

 

১। غوث الثقلين. (গাউছুছ্ ছাক্বালাইন) ২। نجيب الطرفين. (নাযীবুত্তরফাইন) ৩। قطب ربانى (কুতুবে রব্বানী)  ৪। محبوب سبحانى  (মাহবুবে সুবহানী)  ৫। غوث فاك (গাউছে পাক) ৬। امام اجل واكرم (ইমামে আযাল ওয়া আকরাম) ৭। شيخ المشائخ. (শায়খুল মাশাইখ) ৮। قدوة الاولياء (কুদওয়াতুল আউলিয়া) ৯। قطب الاقطاب (কুতুবুল আক্বতাব) ১০। فرد الاحباب (ফরদুল আহবাব) ১১। غوث الاعظم (গাউছুল আ’যম) ১২। حضور فور نور (হুযূরে পূর নূর) ১৩। سيد الافراد. (সাইয়্যিদুল আফরাদ) ১৪। قطب الارشاد. (কুতুবুল ইরশাদ) ১৫। محى الدين (মুহিউদ্দীন) ১৬। سيد الناس (সাইয়্যিদুন্ নাস) ১৭। سيد سعادة القيام (সাইয়্যিদু সায়াদাতিল ক্বিয়াম) ১৮। سيد الاولياء العظام. (সাইয়্যিদুল আউলিয়াইল ইযাম) ১৯। شيخ السماء والارض (শায়খুস্ সামাই ওয়াল র্আদ) ২০। نور رحمانى (নূরে রহ্মানী) ২১। شيخ الجن والانس (শায়খুল জ্বিন্নে ওয়াল ইন্স) ২২। امام الطريقة (ইমামুত্ ত্বরীকত) ২৩। محى السنه  (মুহিয়ুস্ সুন্নাত) ২৪। قامع البدعة (কামিউল বিদ্য়াত) ২৫। جامع الكملات (জামিউল কামালাত) ২৬। نائب رسول (নায়েবে রসূল) ২৭। উর্দূ কম্পোজ করতে হবে (পীরানে পীর) ২৮। دستكير (দস্তগীর) ২৯। আমি উম্মুক্ত তলোয়ার ৩০। আমি বিধ্বংসী কামান ৩১। আমার তীর লক্ষ্যস্থির ৩২। আমার বর্শা নির্ভুল ৩৩। আমার ঘোড়া জ্বীন বিহীন ৩৪। আমি আল্লাহ্র আগুনে বিদগ্ধ প্রেমিক ৩৫। আমি অতলান্তিক মহা সমুদ্র ৩৬। আমি যুগের নকীব ৩৭। আমি মুহিব্ব ৩৮। মাহ্বুবদের হাল আমার হাতের মুঠায় ৩৯। আমি আল্লাহ্র তরফ হতে মাহফুয ৪০। আমি তাঁর নেক নজর দ্বারা বেষ্টিত ৪১। আমার দৃষ্টি লাওহে মাহফুযের দিকে সনির্বদ্ধ ৪২। আমি ইল্মের সমুদ্র ৪৩। আমি আল্লাহ্র দীদারে মশগুল ৪৪। আমি তোমাদের সকলের চেয়ে আল্লাহ্ পাক-এর অধিক মাহ্বুব ৪৫। আমি নায়েবে রসূল ৪৬। আমিই তাঁর ওয়ারিছ ৪৭। আমি জ্বিন ইনসান ও ফেরেশ্তাদেরও পীর ৪৮। আমি পীরদেরও পীর ৪৯। আমার সৃষ্টি সকল সৃষ্টির ঊর্ধ্বে ৫০। আমি মানুষের জ্ঞান ও আক্বলের বাইরে ৫১। আমি তাদেরই অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আল্লাহ্ পাকই চিনেন। (আশয়াতুল লুময়াত-১/১৭, ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, সাইয়ি্যুদুল আউলিয়া, আখবারুল আখইয়ার)

এই ৫১টি লক্বব ছাড়াও বড় পীর ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো। (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন