যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-২১

সংখ্যা: ১৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

[ধারাবাহিক]

(১৬)

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “………ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “নিজের নামের আগে পিছে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যোগ করেননি।”

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

যাক কায্যাবুদ্দীন গং তাহলে অবশেষে সুর পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। আগে তারা বলতো স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও এত লক্বব ছিলনা। আর এখন বলছে উম্মত এত লক্বব ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মত এত লক্বব ব্যবহার না করলেও উম্মতের যিনি রসূল, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত লক্বব ব্যবহার করেছেন। সুতরাং কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারাই লক্বব ব্যবহার ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হয়। অতএব, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য লক্বব ব্যবহার করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত এবং কায্যাবুদ্দীনও তা অস্বীকার করেনি। সেখানে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এ বক্তব্য প্রদান করা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে উক্ত বক্তব্য একেবারেই মূল্যহীন। শুধু মূল্যহীনই নয় বরং তার উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যাও বটে। কারণ পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণেরই অসংখ্য লক্বব ছিল। নিম্নে তার কিছু দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পেশ করা হলো-

শাফেয়ী মায্হাব-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম

হযরত ইমাম শাফেয়ী রহ্মতুল্লাহি

আলাইহি-এর লক্বব মুবারক

১। الامام الاكبر (আল্ ইমামুল আকবার) ২। المجتهد الاعظم (আল মুজতাহিদুল আ’যম) ৮। سراج لحملة الاثار (সিরাজুন লি হামলাতিল আছার) ৯। نقلة الاخبار (নাক্বলাতুল আখবার) ১০। طويل سائل الخدين (তাবিলু সায়েলিল্ খাদিন) ১১। قليل لحم الوجه (ক্বালীলু লাহ্মিল ওয়াজহি) ১২। خفيف العارضين (খাফীফুল আরিজীন) ১৩। طويل العنق (তাবিলুল্ উনুক্ব) ১৪। طويل القصب (ত্বাবিলুল্ ক্বুসুব্) ১৫। حسن الصوت (হুসনুছ ছাউত) ১৬। حسن السمت (হুসনুছ ছুমত) ১৭। عظيم العقل (আযীমুল আক্বল) ১৮। حسن الوجه (হুসনুল ওয়াজহে) ১৯। حسن الخلق (হুসনুল খুল্ক) ২০। مهيب (মুহীব) ২১। فصيح (ফছীহ্) ২২। كثير الاستقام (কাছীরুল ইসতিক্বাম) ২৩। مقتصد فى لباسه (মুকতাছিদুন ফি লিবাছিহী) ২৪। اشجع الناس (আশজাউন্ নাস) ২৫। اما الشريعة (ইমামুশ্ শারীয়াহ্) ২৬। امام فى كل شيئ (ইমামুন ফিকুল্লী শাইইন) ২৭। امام المذهب (ইমামুল মাযহাব) ২৮। المحدث (আল মুহাদ্দিছ) ২৯। الفقيه (আল ফক্বীহ্) ৩০। الهاشمى (আল হাশেমী) ৩১। الشافعى (আশ্ শাফেয়ী) ৩২। الغازى (আল গাজী) ৩৩। فاتح الفقه من القفل (ফাতেহুল্ ফিক্বাহ মিনাল কুফলি)  ৩৪। كامل كل شيئى (কামিলু কুল্লা শাইয়েন) ৩৫। افهم من قريشى (আফহামু মিন কুরাইশী) ৩৬। افضل اهل زمانه (আফযালু আহ্লে যামানা) ৩৭। افرس الناس (আফরসুন্নাস) মা’রেফুস্ সুনান ওয়াল আছার, আহকামুল কুরআন লিশ্ শাফেয়ী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি, আহ্কামুল কুরআন পৃষ্ঠা ১২, তারগীব ওয়াত্ তাহজীব পৃষ্ঠা ১২)

এই ৩৭টি লক্বব ছাড়াও ইমাম শাফেয়ী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি এর আরো বহু লক্বব মুবারক  কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির বর্ণনা আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো। (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন