যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

সংখ্যা: ১৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।  অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  [ধারাবাহিক]   (১১) হেমায়েতুদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার “……ভ্রান্ত মতবাদ” নামক ভ্রান্ত রেসালায় লিখেছে, “তিনি নিয়মতান্ত্রিক লেখা-পড়া করা কোন আলিম নন।” আর মহা কায্যাব সুলাইমান ওরফে মুসাইলাম তার কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “মাওলানা রুকুনুদ্দীন (ছাহেব)-এর নিকট ……. নাহু ছরফ ও আরবী ভাষা জ্ঞান অর্জন করেছেন ………. কিন্তু প্রতিষ্ঠানিক বা কুরআন-হাদীছ বিশারদের নিকট ইলম শিক্ষা করার কোন প্রমাণ নাই।” কায্যাব গংদের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, তাদের একজনের বক্তব্যই অপরজনকে ডাহা মিথ্যাবাদীরূপে সাব্যস্ত করেছে। অর্থাৎ হেমায়েত উদ্দীন ওরফে  কায্যাবুদ্দীনের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, মহা কায্যাব মুসাইলাম ডাহা মিথ্যাবাদী। অপর দিকে মহা কায্যাব মুসাইলামের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, কায্যাবুদ্দীন ডাহা মিথ্যাবাদী।  কারণ একজন বলেছে, “……… লেখাপড়া করা কোন আলিম নন।” অর্থাৎ তার কথা মতে রাজারবাগ শরীফের  হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আরবী লাইনে কোন পড়া-লিখাই করেননি। অপর দিকে মহা কায্যাব মুসাইলাম অকপটে স্বীকার করলো যে, তিনি “……. নাহু, ছরফ ও আরবী ভাষা জ্ঞান অর্জন করেছেন।” অর্থাৎ তার কথা মতে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যে কোন কিতাব পড়া বা পড়ানোর মত যোগ্যতা রয়েছে। কারণ একটা সাধারণ লোক একথা নিদ্বিধায় স্বীকার করবে যে, যে ব্যক্তির আরবী ব্যাকরণ ও ভাষার উপর দক্ষতা রয়েছে সে ব্যক্তি যে কোন কিতাবের ইবারত পড়ার ও তার তরজমা করার ক্ষমতা রাখেন। এটা মূলতঃ কায্যাব গংদেরই স্বীকারোক্তি। সুতরাং যারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় তাদের কথা দু’রকম হওয়াই স্বাভাবিক।  এখানে কায্যাব গংদের আরেকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী শুধু যে আরবী ব্যাকরণ ও ভাষার উপর দক্ষতা রাখেন তা নয় বরং তিনি সাথে সাথে উর্দূ, ফার্সী হিন্দিসহ বহু ব্যাকরণ ও ভাষার উপর পূর্ণ দক্ষতা রাখেন। উনার ওয়াজ শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতই তার বাস্তব প্রমাণ। দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, আলিম হতে হলে বর্তমান প্রচলিত মাদ্রাসা সিষ্টেমেই পড়া-লেখা করতে হবে অথবা বর্তমান প্রচলিত মাদ্রাসায় না পড়লে যে আলিম হওয়া যাবে না কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ থেকে-এর একটি দলীলও কি কায্যাব গং পেশ করতে পারবে? ক্বিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও তারা এরূপ একটি দলীলও পেশ করতে পারবেনা। মুলতঃ যদি বলা হয় যে, নিয়মতান্ত্রিক বা প্রতিষ্ঠানিকভাবে তথা মাদ্রাসায় না পড়লে আলিম হওয়া যাবে না; তবে কায্যাব গংদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ কেউ আলিম ছিলেন না। কারণ উনারা নিয়মতান্ত্রিক বা প্রতিষ্ঠানিক তথা মাদ্রাসায় পড়েননি। অনুরূপ তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন যেমন হযরত ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম মুহম্মদ, ইমাম যুফার রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ চারশত হিজরীর পূর্ব পর্যন্ত যত ইমাম-মুজতাহিদ ছিলেন তারা কেউ আলিম ছিলেন না। কারণ চারশত হিজরী পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন মাদ্রাসা ছিলনা। তবে কি কায্যাব গং মনে করে যে, যারা মাদ্রাসায় পড়েছে তারাই শুধু আলিম। আর যারা মাদ্রাসায় পড়েনি তারা আলিম নন। মূলকথা হলো, শরীয়ত আলিম হওয়ার জন্যে মাদ্রাসায় পড়াকে শর্ত করেনি। বরং ইল্ম অর্জন করাকে শর্ত করেছে। শরীয়ত সম্মত যে কোন পদ্ধতিতেই তা অর্জন করা যেতে পারে। বস্তুতঃ যদি ফতওয়ার দৃষ্টিতে বলতে হয় তবে বলতে হবে যে, মাদ্রাসা সিষ্টেম হচ্ছে বিদয়াত, যদিও বিদ্য়াতে হাসানা। কারণ খাইরুল কুরুনে মাদ্রাসার এরূপ সিষ্টেম বা পদ্ধতি ছিলনা। মহান আল্লাহ পাক রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, তাজুল মুফাস্সিরীন রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে খাছ সুন্নতী কায়দায় ইল্মের অধিকারী করেছেন। তৃতীয়তঃ মহা কায্যাব মুসাইলাম যে লিখেছে “…….. কুরআন হাদীছ বিশারদের নিকট ইলম শিক্ষা করার কোন প্রমাণ নাই।” তার এ বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, চামচিকা দিনের বেলায় চোখে দেখে না, তাই বলে তো দিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না। ঠিক তদ্রুপ চামচিকারূপী মহা কাজ্জাবের নিকট কোন প্রমাণ না থাকলেই যে তা সত্য বলে মেনে নিতে হবে তারই বা দলীল কোথায়? তবে আমি বলবো মহা কায্যাব মুসাইলাম নিজেকে ‘শাইখুল হাদীছ’ বলে প্রচার করছে, সে কোন হাদীছ বিশারদের নিকট পড়েছে? তার প্রমাণও তো আমার কাছে নেই। দেশের সকলেই কি তার সকল ওস্তাদের নাম জানে বা তাদেরকে চিনে? তদুপরী কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ জানতে বা বুঝতে হলে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ বিশারদের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করতে হবে। অন্যথায়, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ জানা বা বুঝা যাবে না এটা সম্পূর্ণই ভ্রান্ত ধারণা। অর্থাৎ জাহিরী ওস্তাদ ব্যতীত ইল্মে জাহির শিক্ষা করা যাবে না এ কথা বিশ্বাস করা কুফরী। কারণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ কোন নবী-রসূল আলাইহিস্ সালাম-এরই জাহিরী ওস্তাদ ছিল না। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জাহিরী ওস্তাদ ছাড়াও কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফের সঠিক ইল্ম অর্জন করা সম্ভব। যার বহু প্রমাণ রয়েছে। তন্মধ্যে বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে, সুলতানুল আরিফীন হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি কোন জাহিরী ওস্তাদের নিকট পড়া লিখা করেননি। অথচ তিনি তার যামানার বিখ্যাত মুফাস্সির, মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ ছিলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ যেরূপ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট ইল্মে ফিক্বাহ বা জাহির ও ইল্মে তাছাউফ বা বাতিন অর্জন করেছেন। তদ্রুপ রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীও যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা-এর নিকট ইল্মে ফিক্বাহ বা জাহির অর্থাৎ হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ ইত্যাদি ও ইল্মে তাছাউফ বা বাতিনী ইল্ম অর্জন করেছেন। যিনি একজন প্রখ্যাত ও প্রসিদ্ধ তাফসীর, হাদীছ ও ফিক্বাহ বিশারদ ছিলেন। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার একজন স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা ওস্তাদ ও আলিমে দ্বীন ছিলেন।  অতএব, প্রমাণিত হলো যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জাহিরী ও বাতিনী উভয় প্রকার ওস্তাদই রয়েছেন। সুতরাং কয্যাবদের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সর্বৈব মিথ্যা। (চলবে)

 -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন